|
Date: 2023-01-18 01:16:33 |
◾ আবদুল আযীয কাসেমি
মহানবী (সা.)-কে আল্লাহ তাআলা পুরো মানবজাতির জন্য রহমত বানিয়ে পাঠিয়েছেন। তাঁকে আল্লাহর বার্তাবাহক, সুসংবাদদাতা ও ভীতি প্রদর্শনকারী বানানো হয়েছে। মানুষের প্রতি মহানবী (সা.)-এর অনুগ্রহ অসামান্য। আল্লাহ তাআলা সে জন্যই আমাদের তাঁর প্রতি দরুদ পাঠ করার নির্দেশ দিয়েছেন। স্বয়ং আল্লাহ তাআলা ও ফেরেশতাগণ নবী (সা.)-এর শানে দরুদ পড়েন। বিপুলসংখ্যক হাদিসে নবীজির প্রতি দরুদ পাঠের গুরুত্ব উঠে এসেছে। এখানে আমরা দু-একটি উল্লেখ করছি—
আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার ‘সালাম’ পাঠাবে (দরুদ পড়বে), আল্লাহ তাআলা তার প্রতি দশবার ‘সালাম’ পাঠাবেন (রহমত বর্ষণ করবেন)।’ (মুসলিম) অন্য হাদিসে আরও যোগ করা হয়েছে, ‘তার দশটি গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে এবং দশবার তার মর্যাদা উন্নীত করা হবে।’ (নাসায়ি, ইবনে হিব্বান)
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেন, ‘কিয়ামতের দিন সকল মানুষের মধ্য থেকে আমার অধিক নৈকট্য লাভ করবে সে ব্যক্তি, যে আমার প্রতি সবচেয়ে বেশি সালাম পাঠাবে। (ইবনে হিব্বান)
কিয়ামতের কঠিনতম সময়ে নবীজির সাক্ষাৎ লাভ করা, তাঁর নিকটভাজন ও প্রিয়ভাজন হওয়ার চেয়ে বড় নিয়ামত আর কী হতে পারে? এ নিয়ামত লাভ করার সবচেয়ে সহজ ও কার্যকর উপায় অধিক পরিমাণে দরুদ শরিফ পাঠ করা। কেয়ামতের দিন যে নবীজির নৈকট্য ও স্নেহ লাভে সক্ষম হবে, তার জন্য অবশ্যই তিনি সুপারিশ করবেন। নবীজির সুপারিশ পেয়ে যে ধন্য হবে, তার ঠিকানা হবে জান্নাত। এমন সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত হতে না চাইলে নিয়মিত দরুদ পাঠের বিকল্প নেই।
© Deshchitro 2024