◾ তালুকদার সুকান্ত লেনিন


আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে উত্তপ্ত রাজনৈতিক ময়দান। ঢাকঢোলে বহুদল থাকলেও আপাতদৃষ্টিতে প্রতিষ্ঠিত দুটি রাজনৈতিক মতাদর্শের মাঝে বিরাজ করছে টান টান উত্তেজনা। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী, এদেশের আপামর জনসাধারণের আত্মার সাথে মিশে থাকা রাজনৈতিক দল "বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ"টানা তিনবার ক্ষমতায় থেকে জনগনের প্রত্যাশা পূরণে কতটুকু সফল অথবা কতটা ব্যর্থ সে প্রসঙ্গে আলোচনা অযৌক্তিক নয়। কারণ,  এদেশের প্রেক্ষাপটে আওয়ামীলীগের সমলোচনা করা ঠিক যতটা সহজ, তার বিপরীত নির্ধারণ করা ততটাই কঠিন।স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তী পার করেও প্রিয় মাতৃভূমিতে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে আর কোন প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে না ওঠা যে রাজনৈতিক ব্যর্থতা তা স্বীকার করে নিতে হবে। কারণ, অপ্রতিদ্বন্দী ভালো'র মূল্যায়ন দূরহ।




হ্যাট্টিক বিজয়ী সরকারের বিপক্ষে ডান বামের সংমিশ্রণে গঠিত সাম্প্রদায়িক রাজনীতির পৃষ্ঠপোষকরা বেশ সরব।একের পর এক জনসম্পৃক্ততাহীন কর্মসূচী সেই সাথে টানা রাজনৈতিক ভুলে বিহ্বল বিরোধীশক্তির শিড়দাড়া টান করতে না পারাকে পুরোটা আওয়ামীলীগের ক্রেডিট দিলে ভুল হবে। কারণ, প্রকৃতপক্ষে ক্ষমতায় থেকে স্বদেশের স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তী পার করা সরকারটির উন্নয়ন কার্যক্রমের সাথে সাথে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি সমানুপাতিক হারে কাজ করতে পারে নি। বিপরীত পক্ষে বিরোধীরা ভুল ধরতে যতটা চৌকস ভাবে কাজ করছে। কতিপয় অতি উৎসাহী নেতা সেই উপাদানের যোগানও দিচ্ছেন সমানতালে। অথচ মাদার অফ হিউম্যানিটি বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরত্ম শেখ হাসিনার প্রশ্নাতীত নেতৃত্ব আরো জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার কথা।যা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে কিছু হাইব্রিডের কারণে। আগামীর রাজনৈতিক সংকট মোকাবেলায় এইসব কতিপয় হাইব্রীডদের দমিয়ে, দক্ষ ও ত্যাগী তৃনমূলকে সংগঠিত না করতে পারলে রাজনৈতিক মেরুকরন ইতিবাচক ধারায় প্রবাহমান করা দুষ্কর হয়ে পরবে।তাই প্রত্যাশা সুন্দর ও সফল রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে আলোকিত হোক রাষ্ট্রের আগামী।


লেখক : 

শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ

ঢাকা কলেজ, ঢাকা

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024