◾ শায়খ ওবাইদুল্লাহ 


রমজান সংযমের মাস, আত্মশুদ্ধির মাস এবং বছরের সেরা মাস। সিয়াম সাধনার মাধ্যমে নিজেকে সব ধরনের গুনাহ ও প্রবৃত্তি থেকে মুক্ত রেখে চলার অভ্যাস গড়ার মাস রমজান। তাই মুমিনের জীবনে রমজান মাসের গুরুত্ব অপরিসীম। এ কারণেই এ মাসের আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন মহানবী (সা.)। রমজানের দুই মাস আগ থেকেই তিনি প্রস্তুতি শুরু করতেন। 


রজব মাসের নতুন চাঁদ দেখার পর থেকেই মহানবী (সা.) রমজানের মানসিক প্রস্তুতি নিতেন। মহান আল্লাহর দরবারে অবারিত ফজিলত ও নিয়ামতের মাস রমজান পর্যন্ত বেঁচে থাকার আকুতি জানাতেন। রজবের শুরু থেকেই এই দোয়া পড়তেন—আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজাবা ওয়া শাবান ওয়া বাল্লিগনা রমাদান। অর্থাৎ, হে আল্লাহ, আমাদের জন্য রজব ও শাবানে বরকত দিন এবং রমজান পর্যন্ত আমাদের পৌঁছিয়ে দিন। (জামিউস সাগির) 


অসুস্থতা, ঋতুস্রাব বা অন্য অপারগতার কারণে গত রমজানের কোনো রোজা কাজা থাকলে তা রমজানের আগে-আগে আদায় করে নেওয়া উচিত। কারণ সামর্থ্য থাকার পরও অবহেলা করে রমজানের রোজার কাজা আদায় না করা বড় গুনাহের কাজ। পরকালে এ জন্য আল্লাহর দরবারে জবাবদিহি করতে হবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি মাসটিতে (রমজানে) থাকবে, সে যেন তাতে রোজা রাখে। আর যে ব্যক্তি অসুস্থ বা মুসাফির হয়, সে অন্য দিনে সংখ্যা পূরণ করে নেবে অর্থাৎ কাজা আদায় করে নেবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজটাই চান, কঠিন করতে চান না।’ (সুরা বাকারা: ১৮৫)


এ ছাড়া রমজানের আগে নফল রোজা রেখে উপোস থাকার অভ্যাস করা উচিত। বিশেষ করে শাবান মাসে বেশি বেশি নফল রোজা রাখা মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.)-কে আমি শাবানে প্রায় পুরো মাসেই নফল রোজা রাখতে দেখেছি।’ (মুখতাসারুশ শামায়েল) 


লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024