নোয়াখালী জেলা শহরের প্রানকেন্দ্র  হসপিটাল রোড়ে হসপিটালের শেয়ারের কথা বলে  প্রতারণা করে আসছে তাজুল ইসলাম  সহ প্রতারক চক্র।  চটকদার কথা আর লোভনীয় অপার দিয়ে শেয়ারের কথা বলে  গ্রহণ করেছে  কোটি টাকার উপরে ।টাকা গ্রহণ শেষ হলে পাল্টে যার তার রুপ।রিস্কা চালকের সন্তান হয়েও বর্তমানে কোটি টাকার মালিক।দালিলিক প্রমানে প্রতিষ্ঠানের মালিক  না হয়েও কখনো ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবার কখনো প্রধান উপদেষ্টা পরিচয়ে গ্রহণ করেছে  কোটি টাকা। তার  প্রতারণা বুঝতে পেরে একজন শেয়ার হোল্ডার প্রথমে শেয়ার উত্তলনের আবেদন করেন এবং পরে উকিল নোটিশ প্রেরণ করেন। উকিল নোটিশের খবর জানতে পেরে প্রতারক তাজুল ইসলাম হসপিটাল রোড়ে অবস্থিত পূবালী ব্যাংক থেকে তার নাম প্রত্যাহার করে তার অনুসারী দিদারুল ইসলাম কে প্রদান উপদেষ্টা  ও ব্যাংক একাউন্টে স্থলাভিষিক্ত করেন।


অভিযোগকারী গত ০৬/১০/২২ ইং তারিখ নোয়াখালী সিভিল সার্জন অফিসে প্রতারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থ্যা গ্রহন এবং   শেয়ার উত্তলন,লভ্যাংশ ও ক্ষতিপূরন আদায়ের জন্য  লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।অভিযোগের ভিত্তিতে সিভিল সার্জন মোঃমাসুম ইফতেখার ১৭/১০/২২ইং তারিখ  অভিযোগকারীর শেয়ারের টাকা   লভ্যাংশ সহ   তিন কর্মদিবসে পরিশোধের আদেশ প্রদান করেন এবং সকল মালিক গনের তালিকা নোটারী পাবলিক করে তার দপ্তরে দাখিল করতে নির্দেশ প্রদান করেন। প্রতারক তাজুল অভিযুক্ত ব্যক্তির বিনিয়োগকৃত টাকা এবং লভ্যাং পরিশোধ না করে  ঐ দিন তার অনুসারী মোঃ দিদারুল  ইসলামকে দিয়ে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান এমডি সহ উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের কারো সাথে কোন পরামর্শ না করে  অগ্রহণযোগ্য ও আপত্তিকর নোটারি করে মালিকগনের তালিকা তৈরি করে সিভিল সার্জন অফিসে দাখিল করেন ।সিভিল সার্জন অফিস তদন্ত করে উক্ত শেয়ার হোল্ডারদে তালিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ২৭/১০/২২ ইং তারিখ পুনরায় স্মারক প্রেরন করেন এবং পাঁচ  কর্ম দিবসে অভিযোগ কারির  শেয়ার ও লভ্যাংশের টাকা পরিশোধ করে  সকল মালিকগনকে সিভিল সার্জন অফিসে উপস্থিত করার  জোর তাগিদ দেন  অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের হুশিয়ার করেন। পাছ কর্মদিবসের কথা উল্লেখ থাকলেও প্রায় পাছ মাস পেরিয়ে গেলেও  এই বিষয়ের কোন সমাধান না করে প্রতারক চক্ররা প্রতারনা করেই আসছে।


 উক্ত বিষয়ের কোন সমাধান না হওয়ায় অভিযোগকারী বিষ্ময় প্রকাশ করেন এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।


অনুসন্ধানে জানা যায় প্রতারক তাজুল এর আগেও  এশিয়া ট্রমা ও ইসলামি হসপিটাল নামে আরো দুইটা  হসপিটাল করেছিল।প্রতারণা ও অনিয়মের কারণে বহুবার সিভিল সার্জন অফিস  মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে  জরিমানা ও সিলগালা করার পরেও  সংশোধন না হওয়ায় পরবর্তীতেব স্থায়ীভাবে সিলগালা করেন।


সচেতন মহলের অভিমত এই প্রতারককে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দিয়ে ভবিষ্যতে আর যেন হসপিটাল ব্যাবসার নামে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা না করতে পারে সেই ব্যবস্থ্যা গ্রহনের সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।


উল্যেখ্য প্রতিষ্ঠানটি চালু করার প্রায় বছর গনিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোন মালিককে মালিকানা দলিল হস্তান্তর না করে সময় ক্ষেপন করে আত্মসাৎ করার পায়তারা করছে।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024