শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে প্রভাবশালী কৃষক আব্দুল মান্নান তিনি বিএডিসি অনুমোদিত সেচ ছাড়পত্র সুবিধা নিতে তারই চাচাতো আপন বড় ভাই মিস্টার আলীর বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ প্রত্যাহার চাওয়ায় কৃষক মিস্টার আলীর শ্যালক মোস্তাফা ও তার পরিবারের উপর অতর্কিত ভাবে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে।


২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে সরজমিন গেলে কৃষক মিস্টার আলীর পক্ষে তার শ্যালক মোস্তফা ও তার পরিবার জানান রাণীশিমুল মৌজার ৬৯০ নম্বর দাগে গত ৩ বছর যাবৎ বিএডিসি অনুমোদিত সেচ ছাড়পত্রের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন দপ্তরে আবেদন করে আসছিলেন মিস্টার আলী । কিন্তু একই দাগের পাশে ওছিমদ্দিনের পুত্র আব্দুল মান্নান এর নামে সেচ ছাড়পত্র -২০২০ সাল থেকে ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদ থেকে অনুমোদন দেওয়া আছে। বিএডিসি অনুমোদিত সেচ সংযোগ নিয়ম অনুযায়ী তাহার সেচ ছাড়পত্র হতে আমার আবেদন কৃত সেচ ছাড়পত্র দূরত্ব ৮ শত ৭৭ ফিট। এমতাবস্থায় বিএডিসি অনুমোদিত নতুন সেচ ছাড়পত্র নিতে শ্রীবরদী উপজেলার বিএডিসি কার্যালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেন মিস্টার আলী।


এদিকে মিস্টার আলী যাতে বিএডিসি অনুমোদিত সেচ ছাড়পত্র নিতে না পারেন সে লক্ষ্য নানান ষড়যন্ত্র করে আসছেন আব্দুল মান্নান। পরবর্তীতে মিস্টার আলীর সেচ আবেদনটি বাতিল চেয়ে মিথ্যা অভিযোগ করেন মান্নান। যে কারণে কৃষক মিস্টার আলীর নামে বার বার আবেদন করেও নতুন করে বিএডিসি অনুমোদিত সেচ ছাড়পত্র আজও মিলেনি। তিনি আরও বলেন, আব্দুল মান্নান ২০১৭ সালে বিএডিসি অনুমোদিত ১টি সেচ নেন। ওই সেচের আওতায় নিচু এলাকার জমির চাষাবাদ হয়। উঁচু জমিতে চাষাবাদের জন্য মিস্টার আলী সেচের আবেদন করলে তিনি ষড়যন্ত্র করে মিস্টার আলীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে মিস্টার আলীর সেচ ঠেকাতে তিনি আরও একটি সেচ ছাড়পত্র আনেন। এ নিয়ে গত পাঁচ বছরের মধ্য ২টি বিএডিসি অনুমোদিত সেচ নেন আব্দুল মান্নান। জমি অল্প থাকায় তার দ্বিতীয় সেচ টি তার নিজের জন্য আবারও নিচু এলাকায় স্থাপন করে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও লাইন সংযোগ সম্পন্ন করতে বেপরোয়া হয়ে পড়েন।


অধিকাংশ উঁচু জমি গুলো শ্রীবরদী উপজেলার আওতায় হওয়ায় চলতি মৌসুমে স্কীম আবাদ থেকে বঞ্চিত রাণীশিমুলসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার কৃষকরা। গত ২০ জানুয়ারী শুক্রবার বিকালে আব্দুল মান্নান ও তার ভাড়াটিয়া লোকজনসহ কিশোর গ্যাংদের মাধ্যমে ভয়ভীতি ও প্রান নাশের মারাক্তক হুমকি দেন। সেদিন থানা পুলিশ সহ এলাকাবাসীর সামনে মিস্টার আলীর বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ তিন দিনের মধ্য তুলে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন আব্দুল মান্নান। প্রায় দুই সপ্তাহ সময় অতিবাহিত হলেও তার দেওয়া প্রতিশ্রুতি না রেখে আজ আবারও তিনি পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে বৈদ্যুতিক খুঁটি বসানোর নামে ভাড়াটিয়া লোকজন ও লাঠিসোটা নিয়ে রাণীশিমুল বাজার সংলগ্ন রাস্তার পুর্বপাশে অবস্থান নিয়ে চারপাশ ঘেরাও করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। একি সাথে বৈদ্যুতিক খুঁটি নিয়ে যাবার সময় তাদেরকে মিস্টার আলীর বিরুদ্ধে আনিত মিথ্যা অভিযোগ তুলে নিতে বলা হলে সাথে সাথে তারা অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়।


এ হামলার ঘটনায় মোস্তফা, তার স্ত্রী ও শাশুড়ি সহ আরও বেশ কয়েকজন দিন মজুর ও কৃষক আহত করে নিলাফুলা জখম করে। বর্তমানে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন বলেও জানান তারা। এ ব্যাপারে রাণীশিমুল ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হামিদ সোহাগ বলেছেন বিষয়টি সমাধানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে যাতে কোনও সংঘর্ষ না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে উভয় পক্ষের সেচ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।


প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024