◾মুনীরুল ইসলাম


মানুষ সামাজিক জীব। সমাজের যে মানুষগুলো আমাদের আশপাশে বসবাস করে, তারাই আমাদের প্রতিবেশী। সুখে-দুঃখে, যেকোনো প্রয়োজনে প্রতিবেশীরাই সবার আগে এগিয়ে আসে। তাই সহমর্মিতা পাওয়ার অধিকারও তাদেরই বেশি। ইসলাম প্রতিবেশীর অধিকার রক্ষায় গুরুত্বারোপ করেছে। একজন মানুষের জন্য তার প্রতিবেশীর প্রতি রয়েছে বেশ কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য। হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের ওপর প্রতিবেশীর অধিকার হলো—অসুস্থ হলে সেবা-শুশ্রূষা করা এবং খোঁজখবর নেওয়া। মারা গেলে জানাজায় অংশ নেওয়া। কর্জ চাইলে সাধ্যানুযায়ী কর্জ দেওয়া। ভুল করলে তা গোপন রাখা। উপকার করলে কৃতজ্ঞতা জানানো। বিপদগ্রস্ত হলে সমবেদনা জানানো। নিজের বাড়ি প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে এ পরিমাণ উচ্চতায় নির্মাণ না করা, যাতে তার ঘরে আলো-বাতাস প্রবেশ করা বন্ধ হয়ে যায়। আর তোমাদের খাবারের সুঘ্রাণ যেন তাদের কষ্টের কারণ না হয়।’ (তাবরানি)


প্রতিবেশীকে অভুক্ত রেখে নিজে সুখে দিনযাপন করা ব্যক্তি কখনো প্রকৃত মুমিন হতে পারে না। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি নিজে তৃপ্তি ভরে খায় আর তার প্রতিবেশীরা ক্ষুধার্ত দিন কাটায়, সে মুমিন হতে পারে না।’ (মিশকাত) অন্য হাদিসে খাওয়া-দাওয়াসহ সব বিষয়ে প্রতিবেশীর খবর রাখার প্রতি গুরুত্বারোপ করে এরশাদ করেন, ‘কোনো খাবার রান্না করলে ঝোল বাড়িয়ে দাও এবং প্রতিবেশীদের প্রতি খেয়াল রাখো।’ (মিশকাত) আর প্রতিবেশীকে কষ্ট দেওয়া মানুষের ব্যাপারে মহানবী (সা.) কসম করে বলেন, ‘আল্লাহর কসম, সে ইমানদার নয়। আল্লাহর কসম, সে ইমানদার নয়। আল্লাহর কসম সে ইমানদার নয়।’ সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, কে সেই ব্যক্তি?’ তিনি বললেন, ‘যার অনিষ্ঠতা থেকে পাড়া-প্রতিবেশী নিরাপদ নয়।’ (বুখারি ও মুসলিম)


লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2023