|
Date: 2023-02-13 13:25:40 |
◾ স্পোর্টস ডেস্ক
এবার সব ধরনের ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক এউইন মরগ্যান। দেশের হয়ে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন গত বছরের ১৯ জুন নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ওয়ানডেতে।
এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আজ সব ধরনের ক্রিকেট থেকেই বিদায় বলে দিলেন। গত বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগে পার্ল রয়্যালসের হয়ে সেমিফাইনালই পেশাদার ক্রিকেটে তার শেষ ম্যাচ হয়ে রইল।
মরগ্যানের হাত ধরেই সাত-আট বছরে সীমিত ওভারে নিজেদের পাল্টে ফেলেছে ইংল্যান্ড। সে পথ ধরেই প্রথম দল হিসেবে এখন সীমিত ওভারের দুই সংস্করণেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। কাউন্টি ক্রিকেটে মিডলসেক্সেই পুরো ক্যারিয়ার কাটানো এই ক্রিকেটার দলটির হয়ে ১০২টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৩৩.৩৯ গড়ে ১১ সেঞ্চুরিসহ ৫০৪২ রান করেছেন।
সব মিলিয়ে ৩৭৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১৩১.৫৯ স্ট্রাইক রেটে ৭৭৮০ রান করেছেন। খেলেছেন আইপিএল, পিএসএল, বিগ ব্যাশের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেও। আইপিএলের দল কলকাতা নাইট রাইডার্সকে নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি।
২০ বছরের পেশাদার ক্যারিয়ারের ইতি টেনে সবশেষে ক্রিকেটকে ধন্যবাদ জানিয়ে মরগ্যান বলেছেন, ‘ক্রিকেটকে ধন্যবাদ, কারণ বিশ্বের নানা জায়গায় দুর্দান্ত সব মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। তাদের অনেকের সঙ্গে সারা জীবনের বন্ধুত্বও হয়েছে। পেশাদার ক্রিকেট খেলার এই চ্যালেঞ্জ ও রোমাঞ্চ আমি নিঃসন্দেহে মিস করব।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া অবসরবার্তায় ৩৬ বছর বয়সী মরগ্যান লিখেছেন, ‘খুব গর্বের সঙ্গে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করছি। অনেক ভাবনাচিন্তার পর মনে হয়েছে, যে খেলাটার জন্য বছরের পর বছর এত কিছু পেয়ে এসেছি, সেটা ছাড়ার এখনই সময়। ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের মিডলসেক্সে যোগ দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার লিগে পার্ল রয়্যালসের হয়ে খেলা পর্যন্ত-প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি।’
২০০৬ সালে ১৬ বছর বয়সে আয়ারল্যান্ডের হয়ে অভিষেক হয় মরগ্যানের, স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে সে ম্যাচে ৯৯ রানে আউট হন। ইংরেজ মা ও ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী হওয়ায় ইংল্যান্ডের হয়ে তার খেলার ইচ্ছাটার ২০০৯ সালেই বাস্তবায়ন হয়ে যায়।
অভিষেক ঘটে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে। পরের বছর লর্ডসে টেস্ট অভিষেক। যে টেস্টে প্রতিপক্ষ ছিল বাংলাদেশ, যে ম্যাচে দারুণ এক সেঞ্চুরি করেছিলেন তামিম ইকবাল। মরগ্যানের সঙ্গে বাংলাদেশের পেসার রবিউল ইসলামেরও সে ম্যাচ দিয়ে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল।
২০১২ সালে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বশেষ টেস্ট খেলেন মরগ্যান। মনোযোগ দেন সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্রিকেটে। গত বছর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজ খেলছিলেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। ব্যাট হাতে সময়টা অবশ্য সুবিধার যাচ্ছিল না, এরপর হুট করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেন। পরে জস বাটলারের নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতে ইংল্যান্ড।
১৬ টেস্ট, ২৪৮ ওয়ানডে ও ১১৫ টি-টোয়েন্টি খেলা মরগান স্কাই স্পোর্টসের সঙ্গে খেলার সম্প্রচারে নিজের নতুন ক্যারিয়ার শুরুর পাশাপাশি স্ট্র্যাটেজিক লিডারশিপ অ্যান্ড গভর্ন্যান্স বিষয়ে দুই বছরের পোস্টগ্র্যাজুয়েশন করছেন। খেলা ছাড়ার পর ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে কোচিংও করাতে পারেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ।
© Deshchitro 2024