ভূরুঙ্গামারীতে মেলা শুরু হওয়ার আগেই সার্কাসের জন্য হাতি নিয়ে এসে সেটি   দিয়ে শুরু করছে চাঁদাবাজি।  চলন্ত ট্রাক, মোটরবাইক ও  অটোরিকশা থামিয়ে জোরপূর্বক  চাঁদাবাজির কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে  রোডের চালক ও যাত্রীরা।চাঁদার কবল থেকে মুক্ত নয় রাস্তার পাশের দোকানিরাও। হাতিকে টাকা দেওয়া ছাড়া কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারেনা সামনে দিয়ে।


আবার টাকা কম দিলেও না নেওয়ার অভিযোগ হাতি পরিচালকের বিরুদ্ধে। আর এতে ভোগান্তিতে আছে এই রোডে চলাচলকারী চালক ও যাত্রীরা।


 

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মঙ্গলবার  (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে  ভূরুঙ্গামারী  উপজেলার বাস স্টান্ড, কুরাড়পাড়, ও আন্ধারীঝাড় এলাকায় হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করছেন এক যুবক। 


উপজেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যস্ততম সড়কের মাঝে যানবাহন থামিয়ে ইচ্ছে মতো চাঁদা আদায় করছিলেন তিনি। চাঁদা আদায় ছাড়া কোনোভাবেই তার বাধা অতিক্রম করতে পার ছিলনা চালকরা। কেউ কেউ হাতিকে এড়িয়ে যেতে দ্রুতগতিতে বিপদজনকভাবে রাস্তার পাশ দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যেতেও দেখা গেছে। চাঁদা না দিলে হাতি দিয়ে ভয় দেখানোর অনেক অভিযোগও পাওয়া গেছে।


ভুক্তভোগী সাংবাদিক মাহমুদ হাসান বলেন,  উপজেলা  কুড়ারপাড় বাজারে হাতি দিয়ে  আমার  মোটরবাইকের সামনে পথ রুদ্ধ করে চাদা দাবি করে। আমি চাদা না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে হাতি দিয়ে  আমাকে ধাওয়া করে এতে পরে গিয়ে আহত হই।


চর-ভূরুঙ্গামারী গ্রামের এক অটোরিকশা চালক বলেন, হাতিকে টাকা না দিয়ে দ্রুত সামনে চলে যেতে চেয়েছিলাম। হাতির ভয়ে যাত্রীরা হুড়াহুড়ি করতে গিয়ে আমার অটোটা প্রায় পড়েই গিয়েছিল। আমরা গরীব মানুষ, ১০ টাকা কামাতে গিয়ে যদি ২০ টাকা চাঁদা দিতে হয় আমরা যাবো কোথায়?


সার্কাস পরিচালক শাহিনুর রহমান  বলেন আমার  অনুমতি  ছাড়া  হাতির পরিচালক রাস্তায়  কিছু টাকা তুলেছে। পরে বিষয়টি শুনে নিষেধ  করে দিয়েছি। আর এমন হবে না।


ভুরুঙ্গামারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি হাতির মালিককে প্রাথমিকভাবে আমি সতর্ক করেছি পরবর্তীতে এরকম ঘটনা ঘটলে আইনানুক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024