|
Date: 2022-08-18 13:35:58 |
◾ নিউজ ডেস্ক
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য তিন মাস সময় বেঁধে দিয়ে গত মে মাসে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্ধারিত সেই সময়সীমা শেষ হচ্ছে আগামী ২৯ আগস্ট অর্থাৎ সময় বাকি আছে আর ১২ দিন। কিন্তু নিবন্ধনের জন্য নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে তেমন সাড়া পাচ্ছে না ইসি। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত আবেদন জমা পড়েছে মাত্র দুটি।
২০০৮ সালে দেশে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনার উদ্যোগ নেয় এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন নির্বাচন কমিশন। এর আগে নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে নামসর্বস্ব ও ভুঁইফোড় রাজনৈতিক দলগুলোর কারণে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো প্রতিবার। নিবন্ধন প্রথা চালুর পর প্রথম দফায় ১১৭টি দল আবেদন করলেও শেষ পর্যন্ত সব শর্ত পূরণ করে নিবন্ধন পায় ৩৯টি দল। এরপর বিভিন্ন সময়ে আরও কয়েকটি দল নিবন্ধন লাভ করে। তখন নিবন্ধিত দলের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৪টিতে। পরে যুদ্ধাপরাধী জামায়াতে ইসলামী ও বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামির নেতৃত্বাধীন ফ্রিডম পার্টিসহ পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল করা হয়। বর্তমানে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৩৯টি।
ইসির নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তারা জানান, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নিবন্ধনে আগ্রহী দলের সংখ্যা কমতে থাকে। নিবন্ধনের শর্ত জটিল করায় এবং পরবর্তী জবাবদিহির ঝক্কি এড়াতে অনেক দলই নিবন্ধনের আবেদনই করেনি। যারা করেছে তারাও সব শর্ত পূরণ করতে না পারায় নিবন্ধন পায়নি।
ইসি সূত্র জানায়, এবার নতুন দল নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর অন্তত ৭টি নতুন দল আবেদন ফরম সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে আবেদন জমা দিয়েছে মাত্র দুটি দল। দল দুটি হচ্ছে বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি ও মুক্তিযোদ্ধা লীগ।
এ প্রসঙ্গে ইসির একজন কর্মকর্তা বলেন, নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি জারির পর দুটি দল আবেদন জমা দিয়েছে। তবে তাদের অবস্থা সুবিধাজনক নয়। আশা করছি, শেষ কর্মদিবসের আগে আরও কয়েকটি জমা পড়তে পারে।
ইসির দায়িত্বশীল আরেক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, দল নিবন্ধনের যে শর্ত, তা পূরণ করে নতুন দল হিসেবে নিবন্ধন পাওয়া কঠিন। এ ছাড়া জনসমর্থন বলতে যা বোঝায় তা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যেই সীমাবদ্ধ। বাকি দলগুলো বড় দুটি দলের ওপর ভর ও তাদের প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে জয়ী হচ্ছে। তাতেই বোঝা যায়, নতুন দল আসা কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং।
© Deshchitro 2024