◾ মাওলানা ইমরান হোসাইন


মানুষের নাম তার পরিচয়ের প্রধান প্রতীক। প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে নিজের নাম অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সবাই চায় নিজের নামটা গুরুত্বের সঙ্গে উচ্চারিত হোক। নিজের নাম নিয়ে কেউ অবজ্ঞা ও অবহেলা করুক—তা কেউই পছন্দ করে না। নামের সঙ্গে কোনো বাজে তকমা জুড়ে দেওয়া বা নাম বিকৃত করে ডাকা ইসলামের দৃষ্টিতে গুনাহের কাজ।


এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা এসেছে। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘হে মুমিনগণ, কোনো পুরুষ যেন অন্য কোনো পুরুষকে উপহাস না করে।কেননা যাদের উপহাস করা হচ্ছে, তারা তাদের (উপহাসকারীদের) চেয়ে উত্তম হতে পারে এবং নারীগণও যেন অন্য নারীদের উপহাস না করে। কেননা যাদের উপহাস করা হচ্ছে, তারা তাদের চেয়ে উত্তম হতে পারে। তোমরা একে অন্যকে দোষারোপ কোরো না এবং একে অন্যকে বাজে নামে ডেকো না। ইমান আনার পর বাজে নামে ডাকা খারাপ কাজ। যারা এই কাজ থেকে তওবা না করে, তারা জালেম।’ (সুরা হুজুরাত: ১১)


আড্ডা ও মজার ছলেও নাম বিকৃতি বা বাজে নামে ডাকা অনুচিত। কারণ বাজে নামের সূচনা সাধারণত মজার ছলেই হয়ে থাকে। পরে সেই ব্যক্তিকে দীর্ঘ সময় এমনকি আজীবন ওই মন্দ নামের বোঝা বয়ে বেড়াতে হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এ যুগে যাকে-তাকে বাজে নামে বা নাম বিকৃত করে ডাকা বা খারাপ ট্যাগ দিয়ে বসার প্রবণতা মহামারি আকার ধারণ করেছে।


এসব কাজ ওই ব্যক্তিকে অপবাদ দেওয়ার শামিল। যিনি এ কাজটি করছেন, অবজ্ঞা ও তাচ্ছিল্যের কারণে তার পক্ষ থেকে অহংকারেরও বহিঃপ্রকাশ ঘটে। অপবাদ ও অহংকার দুটোই মারাত্মক গুনাহ। এ প্রবণতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসা উচিত।


লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024