|
Date: 2023-03-14 01:12:04 |
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগে উপজেলা শিক্ষা অফিসার সহ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা করেছেন বিদ্যালয়ের সভাপতি রাজিয়া সুলতানার স্বামী মো: রেজাউল করিম। দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ৫ (২) ধারায় তৎসহ দ-বিধি আইনের ৪০৯/৩৪ ধারা মোতাবেক মামলাটি দায়ের করেছেন। নিজবলাইল পশ্চিমপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছরোয়ার হোসেন, সহকারী শিক্ষক মোছা: রাবেয়া বেগম ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার গোলাম কবিরের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়টি ১৯৮৩ইং সালে ৩৩ শতাংশ জমির উপর স্থাপিত হয়। সে সময় টিনের ঘর টিনের বেড়া দিয়ে বিদ্যালয়টি নির্মাণ করা হয়। স্থাপনের সময় বিদ্যালয়টির একাংশে ১০ শতাংশ জমির ৫ শতাংশের উপর ভবন নির্মাণ করা হলেও অন্য স্থানে বাকী ২৩ শতাংশ জমিতে বিভিন্ন রকমের ফসলাদী করা হয়। ভবনের এক কোণায় একটি রেইন্ট্রি কড়ই গাছ ছিলো। পরবর্তিতে সরকারি ভাবে সেখানে একটি পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়। এ পাকা ভবন নির্মান করা সময় পূর্বের টিনসেড ভবন বিক্রি করে দেয়া হয় ৮৫ হাজার টাকায়। জমি থেকে ফসলাদী বিক্রি হতো বছরে প্রায় ১২ হাজার টাকার মতো। সে হিসেবে ৩৮ বছরে প্রায় ৪ লক্ষ, ৫৬ হাজার টাকা ফসলাদী বিক্রি করে আত্মসাৎ করেছেন। বিদ্যালয়ের ১০শতাংশ জমির উপর কোণায় ভবনের পাশাপাশি রেইন্ট্রিকড়ই গাছটি বিক্রি করা হয় ১লক্ষ ১০ হাজার টাকায়। কিন্তু কোন অর্থই সরকারের কোষাগারে জমা হয়নি। জোগসাজস করে ওই সহ অর্থ আত্মস্বাৎ করেছেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মো: ছরোয়ার হোসেন, সহ: শিক্ষক মোছা: রাবেয়া বেগম ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: গোলাম কবির। সরকারী কোন নিয়ম-নীতি না মেনে জমির ফসলাদী, গাছ বিক্রি ও পুরানো টিনসেড ভবন বিক্রি করে তারা নিজেদের পকেটে ভরেছেন। গত ২৭ ফেব্রুয়ারী বগুড়ার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার বাদী মো: রেজাউল করিম বলেন, এছাড়াও তারা বিদ্যালয়ে আসা বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের জন্য স্লিপের লক্ষ লক্ষ টাকা জোগসাজসে তা আত্মসাৎ করেছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: গোলাম কবির বলেন, মামলাটি আমার বিরুদ্ধে করা হয়নি, করা হয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনা পূর্বের শিক্ষা অফিসারের সময়ের ঘটনা আমি কিছু বলতে পারবো না।
© Deshchitro 2024