◾ নিউজ ডেস্ক


বৈশ্বিক পণ্যের জোগান পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হচ্ছে, আগামী এক-দুই মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি স্বাভাবিক হবে বলে মনে করছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।


রবিবার (২১ আগস্ট) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির নতুন চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।


প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'ডলার সংকট কিছুটা কমে আসছে। গত এক বছরে ১০ লাখের মতো জনশক্তি বিদেশে গেছে, যা রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। ফলে রিজার্ভ ও ব্যালেন্স অব পেমেন্টের ঘাটতি কাটিয়ে উঠবে বাংলাদেশ। পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) গবেষণা প্রতিবেদন তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, আগামী বছর ব্যালেন্স অব পেমেন্ট ঘাটতি কাটিয়ে ১১ বিলিয়ন উদ্বৃত্ত হবে।


অনুষ্ঠানে পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মুনসুর বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি সবকিছুর দামে ঊর্ধ্বমুখী প্রভাব ফেলেছে। তাই মূল্যস্ফীতির সমস্যা দ্রুত গুরুত্ব দিয়ে সমাধান করতে হবে। এ সময় জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বিবেচনা সঠিক ছিল না বলেও তিনি মন্তব্য করেন। সঠিক গণনা করলে আগামী মাসে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপরে উঠেবে। রিজার্ভ কমছে, বাণিজ্য ঘাটতি বাড়ছে। এটা সরকারকে আগেই দেখভাল করা উচিত ছিল বলে মনে করেন ড. আহসান এইচ মনসুর।


তিনি বলেন, এই ঘাটতি এক দিনে হয়নি। গুরুত্ব দিয়ে এর সমাধান করতে হবে। না হলে অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটার শঙ্কা আছে।আলোচনায় অংশ নিয়ে এফবিসিসিআই পরিচালক আবুল কাশেম বলেন, উদ্যোক্তা তৈরি করতে হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের নীতিমালা সহজ করতে হবে। ট্রেড লাইসেন্স’ প্রথা বাতিল করতে হবে। 


অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. মো. হাবিবুর রহমান, বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্টের (বিল্ড) চেয়ারপারসন নিহাদ কবীর, ইআরএফের সভাপতি শারমিন রিনভী ও সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024