|
Date: 2023-03-24 14:18:03 |
খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগি এখনো ২৫০ টাকার উপরেই বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি পর্যায়ে কেজিতে ৪০ দাম টাকা কমানোর যে ঘোষণা দিয়েছিল, তার প্রভাব দেখা যায়নি রোজার প্রথম দিন।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছিলেন, চার কোম্পানি পাইকারিতে ১৯০-১৯৫ টাকা কেজিতে মুরগি বেচবে, যা আগে ছিল ২২০-২৩০ টাকা।
কিন্তু শুক্রবার কারওয়ান বাজারের মত বড় বাজারে খুচরায় ২৪০-২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে ব্রয়লার মুরগি। আর মিরপুরের কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া এলাকার গলির দোকান ও বাজারে বিক্রি হয়েছে ২৬০ টাকায়।
এক পাইকার ব্যবসায়ী জানান, “ঘোষণা আসার পর বৃহস্পতিবার রাতেও মিল গেইট থেকে মুরগি কিনতে হয়েছে ২০৮-২১০ টাকায়। আমরা তো এখনও ১৯০ টাকায় পাচ্ছি না, তাহলে কীভাবে কমাব।
“আগে কিনেছি ২২০ টাকার কাছাকাছি, এখন ২০৬-২১০ টাকা। ১০-১৫ টাকার একটা পার্থক্য মার্কেটে আসছে। আশা করি, সামনেও আসবে। পাইকারিতে ১৯০ প্লাস হবে।”
খুচরা বিক্রেতাদের অনেকেই মনে করছেন, নতুন দরের ঘোষণা এলেও তার প্রভাব পড়তে সময় লাগবে। ব্রয়লার মুরগির ‘অস্বাভাবিক’ দামের কারণে ক্রেতা যে কমেছে তা মানছেন খুচরা বিক্রেতারা। কারওয়ান বাজারের এক মুরগি বিক্রেতা জানান, “বসে বসে মশা মারতেছি। যে রকম ক্রেতা রমজান মাসে থাকার কথা ছিল- তা নাই। “এত দামে মুরগি কিনে যদি বসে থাকা লাগে তাহলে পুঁজি থাকবে না। কাস্টমার যা আসে, তাতে ব্যবসা করে খরচ দিয়ে পোষায় না।”
‘পোষাচ্ছে না’ পাশের দোকানি মো. সুমন হোসাইনেরও। তিনি বলেন, “ঘোষণা যে তারা দিয়ে দেয়, আমাদের কথা ভাবে না। আমরা যে বেশি দামে কিনি- এখন কমাতে বললে আমাদের তো লস। আমি আজকে ২৩০ টাকা কেজিতে মুরগি কিনছি।
“সকালে ভোক্তা (অধিদপ্তর) এসে বলে গেছে ২৪০ টাকা কেজির বেশি না নিতে। কেজিতে ১০ টাকা লাভ করে দোকানের খরচ, স্টাফের খরচ দিয়া আমার চলে না। ২৫০ এর নিচে বেচলে আমি লসে থাকব। আমার এই লস দেখার কে আছে?”
নতুন দাম কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও কেন হচ্ছে না- এমন প্রশ্নের উত্তরে কারওয়ান বাজারের এক খুচরা বিক্রেতা বললেন, "আজ আমরা কাপ্তান বাজার থেকে ২৩০ টাকা কেজি দরে মুরগি কিনে এনেছি। কাপ্তান বাজারের ব্যবসায়ীরা মিলগেটে গিয়ে মুরগি কিনে আনে।
“তারা নতুন দামে কিনতে পারেনি বলে আমাদেরও দিতে পারেনি। যেদিন থেকে নতুন দামে আমরা মুরগি কিনতে পারব, সেদিন কম দামে খুচরা বিক্রি হবে।"
তবে দামের এমন চক্রে চূড়ান্ত ক্ষতি মানতে হচ্ছে ক্রেতাকেই। মুরগি কিনতে এসে ২৪৮ টাকার নিচে বিক্রেতাকে নামাতে না পেরে হতাশা প্রকাশ করে সাইফুল ইসলাম নামের এক যুবক বলেন, "কোনোকিছুই কাজে আসছে না। তার বলছেন, এর নিচে বেচার সুযোগ নাই।
© Deshchitro 2024