একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে ২৫ মার্চের কালরাত্রিতে বাংলাদেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যে নির্মম গণহত্যা চালিয়েছিল তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে জোর দাবি জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক কূটনীতিক ও সাংবাদিকরা।


শনিবার (২৫ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে ‘১৯৭১, গণহত্যা ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।


জাতীয় প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি কবি হাসান হাফিজের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় যোগ দেন সাবেক কূটনীতিক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ জমির, প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা কাউসার চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফ আলী এবং কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী।


অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড তথা মানবতাবিরোধী অপরাধকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যাকেও স্বীকৃতি দিতে ওই সম্প্রদায় ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো গড়িমসি করছে।


মোহাম্মদ জমির বলেন, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী নানা অপরাধ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অনেক কথা বলে৷ মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচি গণতন্ত্রের কথা বলেন। কিন্তু তিনি মিয়ানমারের গণহত্যা নিয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে বললেন, রোহিঙ্গা গণহত্যায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী জড়িত নয়। তারপরও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন তার হয়েই কথা বলবে! আর যখন বাংলাদেশের গণহত্যার স্বীকৃতির কথা আসে, তখন তারা নীরব। আমাদের এখন রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে জোর দাবি জানাতে হবে।


শ্যামল দত্ত বলেন, এখনো অনেক বধ্যভূমি নিতান্ত অবহেলায় পড়ে আছে। বধ্যভূমিগুলো সরকারিভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। গণহত্যার স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণে সরকারি উদ্যোগ জোরদার না হলে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে বেগ পেতে হবে।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024