জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় সরকারি ভাবে কোনো বালু মহাল না থাকায় একদিকে, বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় রাস্তা, ভবন, সেতু ও বক্সকালভার্টের নির্মাণে নিয়োগপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীরা। এছাড়া ব্যক্তি মালিকানায় পাকা বসতবাড়ি নির্মাণে বালু ব্যবহার নিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অন্যদিকে নির্মাণ কাজে অন্য জেলা থেকে উচ্চমূল্যে বালু কিনে এনে কাজ করতে বাধ্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। সরকার ঘোষিত বালু মহাল না থাকায় প্রতি বছর এ খাত থেকে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্বও হারাচ্ছে। দূর থেকে বালু কিনে এনে এ উপজেলায় বালু বিক্রি করায় বালুর খরচও পড়ে অনেক বেশি। 


স্থানীয় বাসিন্দা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীদের দাবি, দ্রুত যাতে সরকারি ভাবে প্রয়োজন অনুযায়ী বালু মহাল অনুমোদন দেওয়া হয়।


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলা ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর তীরে যথেষ্ট বালুমহালের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত অনুমোদনপ্রাপ্ত বালুমহাল থেকে বালু উত্তোলনের সুযোগ না থাকায় নির্মাণ কাজ নিয়ে নানাবিধ ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে এখানকার বাসিন্দাদের।


মিতুল এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ও গাইবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাকছুদুর রহমান আনছারী বলেন, 'এ উপজেলায় বৈধ বালুমহাল না থাকায় দূরের বিভিন্ন জায়গা থেকে উচ্চমূল্যে বালু কিনে নির্মাণ কাজে ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে অর্থ ও সময় অপচয় হচ্ছে। সরকার ঘোষিত বালুমহাল জরুরি হয়ে পড়েছে।


ঠিকাদারি ব্যবসায়ী ও পাথর্শী ইউপি চেয়ারম্যান ইফতেখার আলম বাবলু বলেন, 'বালুমহাল না থাকায় ঠিকাদারি ব্যবসায় হিমশিমে পড়তে হয়। বগুড়া থেকে বালু কিনে এনে মোরাদাবাদ ঘাটে বালু ব্যবসায়ীরা বালু বিক্রি করছে। আমরা সেখান থেকে উচ্চমূল্যে বালু কিনে নির্মাণ কাজ চালাচ্ছি। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছি।'


উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এসএম জামাল আব্দুন নাছের বাবুল বলেন, 'আইনের মারপ্যাচসহ নানাবিধ কারণে বালুমহাল অনুমোদন হচ্ছে না। বালুমহালের প্রয়োজন। আমরা বালুমহাল অনুমোদনের জন্য ইতিমধ্যে চেষ্টাও করেছি। এখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।'


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মু. তানভীর হাসান রুমান বলেন, 'ইতিমধ্যে একটি বালুমহাল অনুমোদন হয়েছে। বালুমহাল থেকে বালু উত্তোলন শুরু হলে বালুর খাটি পূরণ হবে।'

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024