আমি লেখালেখি করি। লেখালেখি আমার পেশা এবং নেশা। লেখালেখির চেয়ে ভাল কিছু আমি পারিনা। লেখালেখিও খুব ভাল পারি যে তাও নয়। তবে এই কাজটি আমাকে অনেক আনন্দ দেয়, আবার ভেতরে ভেতরে অনেক কাঁদায়ও। আমি নিজেও বুঝে পাইনা আমি কেন, কীভাবে লেখক হলাম।


ছোটবেলায় উড়ো জাহাজ দেখে পাইলট হবার ইচ্ছে থাকলেও এখন সে বুনে গেছেন পুরো দস্তুর এক তরুণ লেখক।


ঠাকুরগাঁও সদর ‍উপজেলার ইকবাল হোসেন ও জাহেদা বেগম দম্পত্যির বড় সন্তান মোঃ জাহিদুল ইসলাম অংকন জেলার এক মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবাবরে তার জন্ম।পরিবাবরের আদর-স্নেহ, মায়ামমতা, আর ভালেবাসায় বেড়ে ওঠা তার। দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি বড়।অংকনের পড়ালেখার হাতেখড়ি ঠাকরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং বর্তমানে বাংলাদেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত রয়েছেন।



মো. জাহিদুল ইসলাম অংকন বলেন, ২০১৮ সালে দশম শ্রেণীতে থাকা অবস্থায় একদিন রাতে একটি কবিতা লেখার চেষ্টা করি এবং এরপর থেকে মাঝে মাঝেই এই লেখালেখির অভ্যাস চালিয়ে যাই। এই কবিতাগুলো আমি সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতাম সেখানে সবাই উৎসাহ দিতেন ও প্রশংসা করতেন। হঠাৎ একদিন ঠাকুরগাওয়ের স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক লোকায়নের সাহিত্য পাতায় যিনি কাজ করতেন তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার কবিতা দেখে আমার সাথে যোগাযোগ করেন এবং কবিতা পাঠাতে বলেন। আমি লেখা পাঠিয়েছিলাম তার পরে শনিবারে পত্রিকা কিনে দেখি আমার লেখা প্রথম কবিতা “বিধুর” প্রকাশিত হয় এবং এরপর থেকে নিয়মিত কবিতা বের হতে থাকে প্রথম আলোতেও স্কুল নামে আমার একটি গল্প ছাপানো হয়েছিল। তাই নিয়মিতি চালিয়ে যেতে থাকায় ২০২০ সালের অমর একুশে বই মেলায় আমার লেখা প্রথম বই শূণ্য ঠিকানা বের হয়।


এভাবে পর্যায়ক্রমে খোঁপার বাঁধন, দখিনা চিঠি এবং হওয়া একুশ ,বাইশ , তেইশের বইমেলায় প্রকাশিত হয়।


লেখক জাহিদুল ইসলাম অংকনের বাবা মায়ের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রত্যেক বাবা ও মায়ের ইচ্ছে থাকে তাদের ছেলে-মেয়রা ভালো কিছু করুক।তেমনি আমারাও আমাদের ছেলেকে নিয়ে আশাবাদী তবে সে বই, কবিতা ও গল্প লিখতে আগ্রহী অনেক বেশি। আমরা তাকে তেমন সহযোগিতা করতে না পারলেও তাকে কোনো বাধাও দেইনি তবে আমরা বলেছি যে একাডেকিম পড়ালেখা ঠিক রেখে তুমি এগিয়ে যাও আমাদের দোয়া সব সময় তোমার সাথেই আছে।


প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024