র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‍্যাব) নিয়ে জার্মানভিত্তিক সম্প্রচার সংস্থা ডয়চে ভেলে যে ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রচার করেছে, সেটিকে হাসির খোরাক বলে উড়িয়ে দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।


তিনি বলেছেন, র‍্যাব রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ব্যবহৃত হচ্ছে না। সংস্থাটি নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে।


সোমবার (৩ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।


তিনি বলেন, র‍্যাব তৈরি হয়েছিল এমন এক সময়, যখন দেশে ব্যাপক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ ছিল। সবার মনে আছে এক দিনে ৬৪ জেলার ৬৩ জেলায় ৪৯৫টি বোমাবাজি হয়েছিল। জঙ্গিবাদের জন্য বাংলা ভাইয়ের জন্ম হয়েছিল। গাছে লটকে মানুষকে হত্যা করা হয়।


পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনাদের মনে আছে, বিচারকক্ষে বোমাবাজি হয়। একজন বিদেশি রাষ্ট্রদূত এক জায়গায় বেড়াতে গেছেন, সেখানে বোমাবাজি হয়। মানুষ মারা যায়। তা ছাড়া তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার ওপরও হামলা হয়। দেশে বোমাবাজির সংস্কৃতি হয়। এগুলো সবাই শুনেছেন।


আমেরিকা ও ইউরোপের পরামর্শে ২০০৪ সালে র‍্যাব গঠিত হয়েছিল উল্লেখ করে আব্দুল মোমেন বলেন, প্রথম দিকে র‍্যাব বাড়াবাড়ি করেছে। বর্তমান সময়ে তারা যথেষ্ট পরিপক্ব হয়েছে। র‍্যাব জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করে। যুক্তরাষ্ট্র এদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। সহযোগিতা করেছে। র‍্যাব রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে না।


আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকার জাতিসংঘের কোনো সহযোগিতা নেবে কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতিসংঘের সহযোগিতা নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। তবে নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়ে সরকারের কোনো আপত্তি নেই।

প্রকাশক : কাজী জসিম উদ্দিন   |   সম্পাদক : ওয়াহিদুজ্জামান

© Deshchitro 2024