|
Date: 2023-04-05 14:04:47 |
আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় ৬ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ৩ জনকে আশাশুনি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এব্যাপারে আহত আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৬/৭ জনকে আসামী করে থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।
প্রতাপনগর গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে দাখিলকৃত এজাহার সূত্রে জানাগেছে, আসামীদের সাথে তাদের জমিজমা সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের শত্রæতাসহ আদালতে মামলা রয়েছে। আসামীরা পূর্বে আদালতে দায় স্বীকারসহ মুচলেকা দিয়েছে। কিন্তু তারপরও তারা ষড়যন্ত্র করে আসছিল। গত ৩ এপ্রিল বেলা ১০ টার দিকে বাদী বাড়ির লোকজন নিয়ে পুকুরে জাল টেনে মাছ বিক্রয় করেন। প্রচন্ড গরম ও পানি কম থাকায় ছোট মাছ মরে ভাসতে থাকায় বাদী রাত্র সাড়ে ৯ টার দিকে টর্চলাইটের আলোয় মাছ দেখছিলেন। লাইটের আলো প্রতিফলিত হয়ে ৩নং আসামী আফসার আলী মীরের গায়ে লাগলে ক্ষিপ্ত হয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। মৌখিক জবাব দিলে অন্য আসামীরা মিলে দা, লাঠি, লোহার রড, শাবল ইত্যাদি নিয়ে বাদীর উঠানে অনাধিকার প্রবেশ করে বাদীকে মারপিট করলে তাকে ঠেকাতে যাওয়া স্ত্রী মনজিলাকে মারপিট করে হাড়ভাঙ্গা জখম ও পুকুরের পানিতে ফেলে চুবিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এরপর একে একে ঠেকাতে আসা ছেলে ইনামুল হক, ভাগ্নে বউ তানজিলা খাতুন, তানিয়া, সাইদুল ও জহুরাকে মারপিট, শ্লীলতহানি, জখম ও ছিনতাই ঘটনা ঘটে। এসময় ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে এসআই মিঠুন মন্ডল ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এবং স্বাক্ষীদের সহায়তায় পুলিশ এদিন রাতেই গুরুতর আহত ইনামুল, তানজিলা ও মনজিলা খাতুনকে আশাশুনি হাসপাতালে ভর্তি ব্যবস্থা করেন। বাদী বলেন, এরপর থেকে আসামীরা ক্ষান্ত হয়নি বরং নানা ভাবে হুমকী দিয়ে চলেছে। অসহায় আঃ রশিদের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
© Deshchitro 2024