জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে ট্রান্সফরমার চুরির পর এবার এক রাতে ৬টি বৈদ্যুতিক মিটার চুরির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে পাঁচটি গভীর নলকূপের এবং একটি ধান ভাঙানো মেশিনের মিটার রয়েছে। রোববার রাতে উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নে চুরির এ ঘটনা ঘটেছে।
চোরচক্র মিটারগুলো খুলে নিয়ে সেখানে একটি চিরকুটে বিকাশ নম্বর রেখে যায়। ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে মিটারপ্রতি ১০ হাজার টাকা দাবি করে তারা।
রোববার রাতে রায়কালী ইউনিয়নের মুনজিয়া গ্রামের গোলাম রাব্বানী, নারিকেলী গ্রামের ইসাহাক আলী, আমবাড়ি পূর্বপাড়া গ্রামের সেকেন্দার আলী, ফুলতলী বাজার এলাকার জুয়েল ইসলাম ও রসুলপুর ঘোলকুড়ি গ্রামের আবদুস সামাদের গভীর নলকূপের বৈদ্যুতিক মিটার চুরি হয়। এ ছাড়া রায়কালী ইউনিয়নের মুনজিয়া গ্রামের সাইদুল ইসলামের ধান ভাঙানো কলের মিটার নিয়ে যায় চোরেরা।
রায়কালী ইউনিয়নের মুনজিয়া গ্রামের গভীর নলকূপের মালিক গোলাম রব্বানী জানান, গভীর রাতে খাঁচা ভেঙে মিটার চুরি করে একটি চিরকুটে বিকাশ নম্বর লিখে রেখে যায় চোরেরা। ওই নম্বরে ফোন করলে জানানো হয়, ১০ হাজার টাকা দিলে মিটার পাওয়া যাবে, না হলে আবারও মিটার চুরি হবে। বেশি চালাকি করলে সেচ স্কিম পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ারও হুমকি দেয় তারা।
জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আক্কেলপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম আবদুর রহমান বলেন, এক মাসে এ অফিসের আওতাধীন বিভিন্ন মাঠ থেকে গভীর-অগভীর নলকূপের ৩৮টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। রোববার ছয়টি মিটার চুরি হয়েছে। প্রতিটি চুরির ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়। এরপরও জড়িতদের ধরা যাচ্ছে না। আমরা এসব ঘটনায় অসহায় হয়ে পড়েছি। পুলিশ চোরদের গ্রেপ্তারও করছে, কিন্তু চুরি রোধ হচ্ছে না।
আক্কেলপুর থানার ওসি শাহিনুর রহমান বলেন, তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে চোর শনাক্তের চেষ্টা চলছে। চুরি রোধে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এর মধ্যে জড়িত কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
৪ দিন ৩ ঘন্টা ৩ মিনিট আগে
৭ দিন ২১ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে
৮ দিন ৮ ঘন্টা ২ মিনিট আগে
১৪ দিন ৪ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে
১৭ দিন ৩ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
২১ দিন ৫ ঘন্টা ২৪ মিনিট আগে
২৩ দিন ২০ ঘন্টা ৫০ মিনিট আগে
২৪ দিন ৫ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে