চট্টগ্রাম রাঙ্গুনিয়ায় চম্পা চাকমা (২৯) নামে বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) এক কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত মো. এনামুল হককে (২৭) সিলেট থেকে র্যাব-৭ ও র্যাব-৯ যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার কার হয়।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকালে র্যাব-৭
মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ মাহবুব আলম, পিপিএম, পিএসসি। তিনি বলেন, কিস্তির টাকা নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে খুন হওয়া চম্পা চাকমা খুনের একমাত্র আসামিকে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এনামুল খুন করার কথা অকপটে স্বীকার করেছেন। কারন তার মা ও বোন বেসরকারি মানবিক উন্নয়ন সংস্থা ‘পদক্ষেপ’ নামক মহিলা এনজিও হতে ৩ লাখ টাকা ঋণ নেয় যার ৩০ হাজার টাকার মত বাকি ছিল, যেটা তোলার জন্য এনজিও হতে ৮ জন লোক তার বোনের বাসায় যেতে চেয়েছিল, পুরো টাকা তারা নিয়েই আসবে ও তার ভগ্নিপতি যেহেতু বিদেশে থাকে, তাই তার মান সম্মান যাবে এই ভেবে, তার ভাষ্যমতে, সে হাতে চাকু নিয়ে সন্ধ্যা ১৯৩০ ঘটিকায় প্রথমে চম্পাকে চাকু দেখিয়ে হুমকি দেয় এবং একপর্যায়ে রাগান্বিত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় ছুরিকাঘাত করে। সে এ কাজের পরিকল্পনায় আগেই চাকু সংগ্রহ করে রাখে। হত্যার পর পাহাড়ি বনে একরাত, রাঙামাটি, চট্টগ্রামের পতেঙ্গা, চকবাজার এলাকা, ঢাকার পোস্তাগালা এবং সর্বশেষ সিলেটের জৈন্তাপুরে দৈনিক ২০০ টাকা বেতনে হোটেলে কাজ নেয় যেখান হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত এনামুল রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নের উত্তর পারুয়া গ্রামের মো. নুরুজ্জামানের ছেলে। খুন হওয়া চম্পা রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার বন্দুকভাঙা ইউনিয়নের শান্তিময় চাকমার মেয়ে। তিনি ‘পদক্ষেপ’ নামে একটি এনজিওর রাঙ্গুনিয়া শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
জানা গেছে, অভিযুক্ত এনামুল তার বোনের মাধ্যমে পদক্ষেপ এনজিও থেকে ঋণ নেন। কিস্তির টাকা পরিশোধ নিয়ে এনজিও কর্মকর্তা চম্পার সঙ্গে তার কয়েকবার কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আগে থেকে হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে এনামুল গত ৫ মার্চ রাত সাড়ে ৮টার দিকে ধামাইরহাট এলাকায় পদক্ষেপ এনজিও কার্যালয়ের নিচে দাঁড়িয়ে থাকেন। কাজ শেষে অফিস থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে চম্পার সঙ্গে এনামুলের কথা-কাটাকাটি হয়। এরপর এনামুল তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে চম্পার গলায় আঘাত করেন। এরপর তিনি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। পরে তাকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
১৯ দিন ৫ ঘন্টা ৪ মিনিট আগে
২২ দিন ৫ ঘন্টা ৪ মিনিট আগে
৭৫ দিন ৯ ঘন্টা ২৪ মিনিট আগে
৭৭ দিন ১৩ ঘন্টা ৫৫ মিনিট আগে
৮০ দিন ৭ ঘন্টা ৫৫ মিনিট আগে
৮০ দিন ৯ ঘন্টা ৮ মিনিট আগে
১০২ দিন ৬ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে
১০৩ দিন ৭ ঘন্টা ৩৬ মিনিট আগে