উলিপুরে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত আলহামদুলিল্লাহ! সৈয়দ আলী বিশ্বাস আইডিয়াল মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে পবিত্র কোরআন শরীফ তুলে দেওয়া হয়েছে। বরিশালে ইদ উল আজহা উপলক্ষে নৌপথে লঞ্চের বিশেষ সার্ভিস আসতে পারে। লঞ্চ কতৃপক্ষ কুতুবদিয়ায় ঈদুল আযহা সামনে রেখে টুংটাং শব্দে মুখরিত কামারের দোকান শ্রীপুরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে পার্টনার কংগ্রেস কর্মশালা অনুষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে এনে জুলাই সনদ ঘোষণা করা সম্ভব: প্রধান উপদেষ্টা শেষপর্যন্ত নিখোঁজের দুই দিন পর মেঘনার পাড়ে সেই পুলিশ সদস্যের মরদেহ কুলিয়ারচরে পার্টনার কংগ্রেস অনুষ্ঠিত লালপুরে অবৈধ পুকুর খননের দায়ে, ৬০ হাজার টাকা জরিমানা সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় কাবিং করবো, জীবন গড়বো স্লোগানে ওয়ান ডে ক্যাম্প অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জ উপজেলাবাসীকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আদর আলী বানারীপাড়ায় ১৭ বছর পর আনুষ্ঠানিক ভাবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রহমানের মৃত্যুবার্ষিক পালিত পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সুপারিন্টেন্ডেন্ট মোজাফফর হোসেন শ্রীবরদীর পিরিজপুর সংলাপ কেন্দ্রে সঞ্চয় ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত শেরপুরের শ্রীবরদীতে সঞ্চয় ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ইবি প্রক্টরকে নিয়ে ফেসবুকে গুজব, ভুল স্বীকার করলো অভিযুক্ত সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে এ্যাথলেটিক্স, ফুটবল ও সাঁতার প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠান সাতক্ষীরায় জেলা শ্রম ক্রাইসিস প্রতিরোধ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত সুন্দরবনে চলমান অভিযানে হরিণের ফাঁদ উদ্ধার শেরপুরে সভাপতির পদে শহিদুল ইসলাম বাবলুর পুনর্বহাল

সিনিয়র পরিচয়ে ব্যাচমেটকে র‍্যাগিং ও মারধরের অভিযোগ

'সিনিয়র পরিচয়ে র‍্যাগিং ও মারধরের' শিকার হওয়ার অভিযোগ দিয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. সাজিদুর রহমান। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর এই অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী।


তিনি তার অভিযোগপত্রে বলেন, 'গতকাল (১০ জুলাই) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে আমি  আমার বান্ধবীকে নিয়ে প্রকৌশল অনুষদের পশ্চিম পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলতেছিলাম। এর কিছুক্ষণ পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ তম আবর্তন ও দত্ত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শাহীন (লোক প্রশাসন বিভাগ) এবং বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ওবায়দুল (লোক প্রশাসন বিভাগ) আমাকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর নিজেরা সিনিয়র সেজে আমাকে র‍্যাগিং দেয়ার এক পর্যায়ে গালাগালি করে মারধর করার জন্য এগিয়ে আসে শাহীন।  একসময় সিনিয়র-সূলভ আচরণের মাধ্যমে আমাকে হাসির পাত্র বানিয়ে নিজেরা হাসাহাসি করতে থাকে। শেষে তাঁরা বলে আমরা ১৬ আবর্তনের এবং তুই আমাদের সপ্তম শিকার। এভাবে হেনস্থার এক পর্যায়ে আমি  চলে আসি। এর কিছুক্ষণ পর আমি আমার বন্ধু জিসানের খোঁজে এখানে আবার যাই। ওখানে জিসানকে খুঁজে না পেয়ে মসজিদের দিক দিয়ে ক্যাফেটেরিয়ার সামনে আসি। এসময় আমার পিছুপিছু এসে শাহিন ও ওবায়দুল রাস্তা আটকায়। ইতিমধ্যে সেখানে এসে উপস্থিত হয় দত্ত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইপেল ও জিসান। এসময় ইপেল আমাকে বলে, মেয়ে নিয়ে ক্যাম্পাসে ঘুরাঘুরি করোস কোন সাহসে? এইখানে কি করস? এভাবে কথা বলার এক পর্যায়ে ইপেল ক্ষিপ্ত হয়ে আমার গায়ে আঘাত করে। একই সময় পাশে থাকা শাহীন ও ওবায়দুল সাথে সাথেই এলোপাতাড়ি কিল ঘুসি মারতে থাকে।'


অভিযোগপত্রে আরো উল্লেখ করা হয়, ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা জিসান (এমসিজে বিভাগ) ও সোহান (লোক প্রশাসন) ওদের থামাতে চেষ্টা করলেও, ওরা থামে নি। এভাবে প্রায় পাঁচ মিনিট আমার উপর কিলঘুষি চলতে থাকে। এরপর লোকজন জড়ো হলে তাঁরা স্থান ত্যাগ করে। তিন জনের এমন পশুর মতো আক্রমনে আমার পরিহিত শার্ট ছিঁড়ে যায় এবং শরীরের বেশ কিছু জায়গায় জখম (মাথা, কপাল, পিঠ) হয়। পরবর্তীতে আমি বন্ধুদের সহযোগিতায় ফার্মেসিতে যাই এবং প্রাথমিক চিকিৎসা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটা রঙিন প্রাঙ্গণে এসে যেখানে আমরা স্বাধীন জীবন পরিচালনা করবো, সেখানে এইরকম একটা অঘটনের সাক্ষী হবো তা ভাবতেই কেমন জানি খারাপ লাগছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার প্রাক্কালে  আমি জানতাম এই ক্যাম্পাস পুরোপুরি র‍্যাগিংমুক্ত এবং শতভাগ নিরাপদ। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের একই আবর্তনের কাছ থেকে এমন অপ্রীতিকর পরিবেশের সম্মুখীন হয়ে সত্যিই আমি ভীতসন্ত্রস্ত ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই প্রশাসনের নিকট আমার আর্জি এই যে, ঘটনার সাথে অভিযুক্তদের চূড়ান্ত শাস্তি প্রদান ও আমার পূর্ণাঙ্গ  নিরাপত্তা প্রদান করে একটা সুস্থ বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পরিবেশ তৈরির পাশাপাশি আমার মতো আর কেউ যেন এমন হেনস্থার শিকার না হয় তার সেটার নিশ্চয়তা প্রদান করে আমার মতো সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক জীবন দান করবেন।'


প্রত্যক্ষদর্শী সোহানুর রহমান বলেন, আমি ক্যাফেটেরিয়ার সামনে সাজিদুরকে মারতে দেখি। তখন আমি ও জিসান মারামারি থামানোর চেষ্টা করি।


অভিযুক্ত ওবায়দুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের সংস্কৃতি অনুযায়ী তারা যেভাবে প্রকৌশল অনুষদের সামনে দাঁড়িয়েছিলো সেটি মানানসই নয়। তাই আমরা তাকে ডাক দিয়ে সামনে কথা বলি। র‍্যাগিংয়ের মতো কিছু ঘটে নি কারণ আমরা তাকে দিয়ে কিছু করাইনি। উচ্চস্বরে কথা বলাটা র‍্যাগ দেওয়া না।


মারামারির অভিযোগের বিষয় তিনি বলেন, আমরা পরবর্তীতে ক্যাফেটেরিয়ার সামনে আবার তার সাথে কথা বলি। তখন আমাদের সাথে ইপেল ছিলো। ইপেলের সাথে সাজিদের কথা কাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায়ে কলার ধরা থেকে হাতাহাতি হয়েছে।


মেহেদী হাসান শাহিন এই বিষয়ে বলেন, আমরা (শাহিন ও ওবায়দুল্লাহ) তাদের দুজনকেই অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখি ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির দিকে। তাদের এসব করতে মানা করে আমরা চলে যাই। পরে ক্যাফটেরিয়ার সামনে সাজিদের সাথে আমাদের দেখা হলে আমরা সাজিদ এই বিষয় নিয়ে আমাদের সাথে কথাবার্তা বলে৷ একপর্যায়ে জিসান ও ইপেল আসলে ইপেলের জামার কলা ধরে ও মুখে ঘুষি দেয়।'


মারামারির বিষয়ে মোহাম্মদ ইপেল জানান, 'আমি আর জিসান পরে ক্যাফটেরিয়ার সামনে গেলে সে (সাজিদ) আমার সাথে উচ্চবাচ্য করে৷ আমাকে ঘুষিও দেয়৷ এই সময় শাহিনসহ বাকিরা আমাদের আলাদা করে নেয়। যেহেতু নিজেদের ব্যাচের মধ্যেই ভুল বোঝাবুঝি ছিল তাই মারামারির বিষয়ে কাউকে অভিযোগ করিনি।'


বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, 'আমি একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের একটি মিটিং ডেকে আমরা দ্রুত এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবো।'

আরও খবর