ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো: শাহীনুজ্জামানের নামে ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি ক্যাম্পাসে অনিবন্ধিত সংগঠন ‘ইসলামিক ইউনিভার্সিটি জার্নালিস্ট ফোরামে'র সঙ্গে যুক্ত।
গত শনিবার (৩১ মে) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক আটকিয়ে পূর্ব-ঘোষিত আবাসিক হল বন্ধের ছুটি কমানোর দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে কিছু শিক্ষার্থী। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ‘আন্দোলনকারীর মোবাইল কেড়ে নিয়েছে প্রক্টর’ মর্মে ফেসবুকে স্টাটাস দেন ওই ক্যাম্পাস সাংবাদিক সংগীত। তবে পরে ভুল স্বীকার করেন তিনি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো: শাহীনুজ্জামান তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আবাসিক হল খোলার বিষয় নিয়ে ১০/১৫ জন শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটক আটকায়। পরবর্তীতে ওখানে গিয়ে আলোচনার জন্য কথা বলি এবং তারা একটা পর্যায় সম্মত হয়। কিন্তু ওই সময় ‘সংগীত’ নামক একজন সাংবাদিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেয়, ‘আন্দোলনকারীর ফোন কেড়ে নিয়েছে ইবি প্রক্টর’। আসলে আমি কোন আন্দোলনকারীর নিকট থেকে ফোন কেড়ে নেয়নি। আমি মনে করি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে পোস্ট করা হয়েছে। এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এ বিষয়ে প্রক্টরিয়াল বডির সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবো।’
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল বডি শিক্ষার্থীদের যে কোনো যৌক্তিক দাবিতে সবসময় আন্তরিক। ছাত্ররা নিয়মতান্ত্রিক যৌক্তিক আন্দোলন করলে প্রশাসন অবশ্যই গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবে। তবে আন্দোলনের নামে কেউ যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সজাগ দৃষ্টি রাখবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থী সংগীত ওই বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং তিনি জানান, গত ৩১ মে ফেইসবুকে করা আমার একটি পোস্টকে ঘিরে যে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম হয়েছে, তার পেছনের ঘটনা সত্য। তবে হিট অব দ্যা মোমেন্টে অনিচ্ছাকৃতভাবে আমার বিষয়টি উপস্থাপনে একটি ভুল হয়। বিষয়টি বুঝতে পেরে আমি তৎক্ষণাৎ প্রক্টর স্যারের সাথে দেখা করে আমার ভুল স্বীকার করি এবং বিষয়টির জন্য অনুশোচিত এবং আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করি। প্রক্টর স্যারের উপস্থিতিতে আমি আমার বক্তব্য ফিরিয়ে নিয়ে এক ঘণ্টার মাথায় নতুন আরেকটি পোস্টে বিষয়টি খোলাসা করি এবং আমার ভুলের জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করি। পরবর্তীতে আমি পার্সোনালি প্রক্টর স্যারের সাথে আবার দেখা করে আমার ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং বিষয়টির জন্য আমি অনুশোচিত এবং দুঃখ প্রকাশ করি।
৫ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
৬ ঘন্টা ৮ মিনিট আগে
৬ ঘন্টা ৩৬ মিনিট আগে
৮ ঘন্টা ১ মিনিট আগে
৮ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে
৮ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
৮ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে
৮ ঘন্টা ৪৭ মিনিট আগে