রাষ্ট্রপতিরা ৩৩ বছরে কতজনের দণ্ড মওকুফ করেছেন, জানতে হাইকোর্টের রুল মেঘনা আলমের ব্যাংক হিসাব তলব সিরাজগঞ্জে কৃষি প্রযুক্তি ও পুষ্টি মেলা উদ্বোধন তিন স্তরে কমছে ইন্টারনেটের দাম বিশ্ববাসীর প্রতি ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’ ভিশনের আহ্বান যেভাবে নির্বাচিত হবেন পরবর্তী পোপ বিচার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে হবে : আসিফ নজরুল কমিশনের উদ্দেশ্য পুনরায় যাতে ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠিত না হতে পারে তালতলীতে প্রকৌশলী ও উপসহকারী প্রকৌশলী’র কক্ষে এসি বিলাস ও সাজসজ্জা পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন আদমদীঘিতে নেশার ট্যাবলেটসহ দুইজন গ্রেপ্তার ছাত্রদল নেতা পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে বাকৃবিতে মানববন্ধন জ্বালানি রূপান্তরের গুরুত্ব সম্পর্কে গণসচেতনতামূলক র‌্যালি রাজবাড়ীর কালুখালী বজ্রপাতে প্রাণ হারায় কৃষক। কিশোরগঞ্জে আ.লীগের চার নেতা গ্রেফতার সাতক্ষীরায় দুই নারীর প্রতারণার ফাঁদে মাছ ব্যবসায়ী লাখাইয়ে বুল্লাবাজার ব্যকস এর আহবায়ক কমিটি গঠন। ঢাকা বিভাগসহ ৪ জেলায় ঝড়বৃষ্টি ও বজ্রপাতের আভাস ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে পরিসংখ্যান কর্মকর্তার স্ত্রীর নাম ব্যবহার করে শুমারির টাকা আত্মসাৎ আদমদীঘিতে ৭ শ্যালোর পাম্প চুরি, দিশেহারা কৃষক

৬২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ঐতিহাসিক সরকারি বাঙলা কলেজ।

বাঙলা কলেজ নামটি শুনলেই আমাদের মনে যে দিকটি দোলা দেয় তা হলো বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা হিসেবে বাংলাকে প্রতিষ্ঠার জন্য বাঙালিরা যে সংগ্রাম করেছিলেন তা ই বিশ্বের বুকে মাতৃভাষা আন্দোলন হিসেবে পরিচিত। বাংলা ভাষার জন্যে রক্তদানের কারণে যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলে ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর তারিখে। মাতৃভাষা বাংলাকে রক্ষার জন্য বুকের তাজা রক্ত উৎসর্গ করেছিলেন সে সময়ের দেশ ও ভাষা প্রেমিক শহীদ রফিক,সালাম,বরকত,শফিউর, আউয়াল সহ আরো অনেকে। যা পৃথিবীর ইতিহাসে বাঙালিরাই প্রথম নজির হিসেবে দেখিয়েছিল। এই ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের সাথে যুক্ত এমনই একজন দেশ ও ভাষা প্রেমিক তমুদ্দিন মজলিশের ( ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগঠন ) স্থপতি পৃন্সিপাল আবুল কাসেম। ১৯৬২ সালের ১ লা অক্টোবর তারিখে তিনি বাঙলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। মূলত ভাষা আন্দোলন পরবর্তী সময়ে বাঙালির জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠা ও বাংলাকে সকল পর্যায়ের শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে তিনি এই কলেজটি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে এই কলেজের সভাপতি ছিলেন বিশিষ্ট ভাষাবিদ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্, সাধারণ সম্পাদক পৃন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁ এবং পৃন্সিপাল ( অধ্যক্ষ ) ছিলেন ভাষা সৈনিক, তমুদ্দিন মজলিশের অন্যতম সংগঠক দেশবরেণ্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল কাসেম। পরবর্তীতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানি হায়েনারা কলেজটিকে বদ্ধভূমিতে ( বর্তমানে চিহ্নিত ) পরিণত করে রাখে এবং বাঙলা কলেজের সাইনবোর্ড নামিয়ে উর্দু কলেজ নামে সাইনবোর্ড স্থাপন করে। যদিও পূর্ব থেকেই বাঙলা কলেজ প্রতিষ্ঠা পশ্চিমা শাসকেরা ভালো ভাবে নেয়নি। ১৯৮৫ সালে কলেজটি জাতীয়করণ করা হয়। বর্তমানে অধ্যাপক মো.জাহাঙ্গীর হোসেন কলেজটিতে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন। কলেজটি রাজধানী ঢাকার মিরপুরে ২৫ একর জায়গার উপর অবস্থিত। বর্তমানে কলেজটিতে উচ্চমাধ্যমিক এবং স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ৩ টি অনুষদের অধীনে বিভিন্ন বিষয়ে পাঠদান করা হয়। কলেজটিতে ত্রিশ হাজারের উপরে শিক্ষার্থী রয়েছে। কলেজটিতে দুইটি ১০ তলাসহ মোট ৮ টি ভবন রয়েছে। এবং ছাত্রদের থাকার জন্য ২ টি ছাত্রাবাস ও যাতায়াতের জন্য বর্তমানে ২টি বাস রয়েছে। লাইব্রেরী,অডিটোরিয়াম,বিএনসিসি, রেডক্রিসেন্টসহ ছাত্র-ছাত্রীদের সংস্কৃতি চর্চার জন্য রয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক মাধ্যম ও রাজনৈতিক বিভিন্ন সংগঠন। ইতিহাস আশ্রিত এই বাঙলা কলেজের নীতিবাক্য হলো 'হে প্রভু আমাকে জ্ঞান দাও'। 


আরও খবর