শিক্ষার্থীদের সাথে ঈদ উদযাপন করলেন মাভাবিপ্রবি উপাচার্য জয়পুরহাটে প্রায় ৯৫ লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণের বার উদ্ধার ঝিনাইগাতীতে অতিরিক্ত ভাড়া, একটি পরিবহনকে জরিমানা আগামীকাল পবিত্র ঈদুল আযহা মধুপুর বাস ও মাহিন্দ্র মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ দু'জন নিহত পরিবেশ দিবসে কিশোরীদের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ চৌদ্দগ্রামে শহীদ জামশেদের পরিবারকে জামায়াতের ঈদ উপহার মোংলায় ২ হাজার কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন ও নেটজাল জব্দ ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন "বায়েজিদ হোসেন পিয়াস" লালপুরে জিএসডিও কুরআনের ছবক গ্রহণ বিনামৃল্যে কুরআন ও টুপি বিতারন কুরবানী | এস. এ. বিথী রহমান সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ইসলামপুরের বিভিন্ন গ্রামে আজ ঈদ উদযাপন কুষ্টিয়ায় সেনা অভিযানে সন্ত্রাসী লিপটন ও তার তিন সহযোগী আটক ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হোক মুসলমানদের জীবন- ইঞ্জিনিয়ার ইসমাইল হোসেন জয়পুরহাটে সেনাবাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধারসহ গ্রেপ্তার ৫ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে সরিষাবাড়ীর ১৬ গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপন ১০ কোটি টাকার বৈধ বালু মহাল ঘিরে প্রকাশ্যে স্পিডবোর্ডে অস্ত্রের মহড়া দেশবাসীকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানালেন ফরিদ উদ্দীন চৌধুরী সুনামগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামে ঈদ উপহার প্রদান করেছে আব্দুল্লাহ ফাউন্ডেশন

৬২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ঐতিহাসিক সরকারি বাঙলা কলেজ।

বাঙলা কলেজ নামটি শুনলেই আমাদের মনে যে দিকটি দোলা দেয় তা হলো বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা হিসেবে বাংলাকে প্রতিষ্ঠার জন্য বাঙালিরা যে সংগ্রাম করেছিলেন তা ই বিশ্বের বুকে মাতৃভাষা আন্দোলন হিসেবে পরিচিত। বাংলা ভাষার জন্যে রক্তদানের কারণে যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলে ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর তারিখে। মাতৃভাষা বাংলাকে রক্ষার জন্য বুকের তাজা রক্ত উৎসর্গ করেছিলেন সে সময়ের দেশ ও ভাষা প্রেমিক শহীদ রফিক,সালাম,বরকত,শফিউর, আউয়াল সহ আরো অনেকে। যা পৃথিবীর ইতিহাসে বাঙালিরাই প্রথম নজির হিসেবে দেখিয়েছিল। এই ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের সাথে যুক্ত এমনই একজন দেশ ও ভাষা প্রেমিক তমুদ্দিন মজলিশের ( ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগঠন ) স্থপতি পৃন্সিপাল আবুল কাসেম। ১৯৬২ সালের ১ লা অক্টোবর তারিখে তিনি বাঙলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। মূলত ভাষা আন্দোলন পরবর্তী সময়ে বাঙালির জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠা ও বাংলাকে সকল পর্যায়ের শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে তিনি এই কলেজটি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে এই কলেজের সভাপতি ছিলেন বিশিষ্ট ভাষাবিদ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্, সাধারণ সম্পাদক পৃন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁ এবং পৃন্সিপাল ( অধ্যক্ষ ) ছিলেন ভাষা সৈনিক, তমুদ্দিন মজলিশের অন্যতম সংগঠক দেশবরেণ্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল কাসেম। পরবর্তীতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানি হায়েনারা কলেজটিকে বদ্ধভূমিতে ( বর্তমানে চিহ্নিত ) পরিণত করে রাখে এবং বাঙলা কলেজের সাইনবোর্ড নামিয়ে উর্দু কলেজ নামে সাইনবোর্ড স্থাপন করে। যদিও পূর্ব থেকেই বাঙলা কলেজ প্রতিষ্ঠা পশ্চিমা শাসকেরা ভালো ভাবে নেয়নি। ১৯৮৫ সালে কলেজটি জাতীয়করণ করা হয়। বর্তমানে অধ্যাপক মো.জাহাঙ্গীর হোসেন কলেজটিতে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন। কলেজটি রাজধানী ঢাকার মিরপুরে ২৫ একর জায়গার উপর অবস্থিত। বর্তমানে কলেজটিতে উচ্চমাধ্যমিক এবং স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ৩ টি অনুষদের অধীনে বিভিন্ন বিষয়ে পাঠদান করা হয়। কলেজটিতে ত্রিশ হাজারের উপরে শিক্ষার্থী রয়েছে। কলেজটিতে দুইটি ১০ তলাসহ মোট ৮ টি ভবন রয়েছে। এবং ছাত্রদের থাকার জন্য ২ টি ছাত্রাবাস ও যাতায়াতের জন্য বর্তমানে ২টি বাস রয়েছে। লাইব্রেরী,অডিটোরিয়াম,বিএনসিসি, রেডক্রিসেন্টসহ ছাত্র-ছাত্রীদের সংস্কৃতি চর্চার জন্য রয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক মাধ্যম ও রাজনৈতিক বিভিন্ন সংগঠন। ইতিহাস আশ্রিত এই বাঙলা কলেজের নীতিবাক্য হলো 'হে প্রভু আমাকে জ্ঞান দাও'। 


আরও খবর