আরও ২ দিন বাড়লো ‘‌হিট অ্যালার্ট’ অষ্টমবারের মতো কমলো স্বর্ণের দাম হবিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের ৪ জনই গলাচিপার বদিউজ্জামান ফকিরের উপরে হামলা চালিয়ে থানায় ঢুকে উত্তাপ ছড়ালো ইঞ্জিনিয়ার আমিনুলের সমর্থকরা চৌদ্দগ্রামে আন্তঃজেলা অজ্ঞান পার্টির ২ সদস্য গ্রেফতার। সাভারের আশুলিয়ায় স্ত্রী কে হত্যার দায়ে স্বামী গ্রেফতার চৌদ্দগ্রামে ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী পরিষদের পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। খুবিতে 'বি 'ইউনিটে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল তৃতীয় ধাপের চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাচনে ১০ জনের মনোনয়নপত্র জমা শ্রেষ্ঠ কলেজ শিক্ষক মনোনীত হলেন আমানত উল্লাহ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে দুইমাস ব্যাপী কম্পিউটার বেসিক এণ্ড নেটওয়ার্কিং প্রশিক্ষণের উদ্বোধন তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ গোদাগাড়ীতে পথচারীদের মাঝে বিএনপি’র পানি ও স্যালাইন বিতরণ নিখোঁজের ১৯ মাস পর কঙ্কাল, ব্রেসলেট দেখে স্ত্রী শনাক্ত করলো স্বামীর লাশ জাতীয় পর্যায়ে খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি কিনিকের স্বীকৃতি পেল দেবীপুর কমিউনিটি কিনিক লাখাইয়ে পিপাসার্থদের পাশে পথশিশু নিকেতন ফাউন্ডেশন। অভয়নগরের তা'লীমুল কুরআন মাদ্রাসায় আল্লাহর রহমত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম কমলো ৪৯ টাকা উখিয়ার সীমান্ত থেকে ১০ জেলেকে অপহরণ আরাকান আর্মির প্রচার-প্রচারণায় জমে উঠেছে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সারাদেশে বৃষ্টি নিয়ে সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস

এমপি হওয়ার নেশা

দেশচিত্র



দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য (এমপি) হওয়ার আশায় জেলা ও উপজেলা পরিষদের ৪৫ জন চেয়ারম্যান পদত্যাগ করেছেন। এর মধ্যে ৪২ জন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। বাকি ৩ জন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৪২ জনের পদত্যাগ কার্যকর হয়েছে। পদত্যাগপত্র কার্যকর করে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তিনজনের পদত্যাগ আজ বুধবার কার্যকর হওয়ার কথা। দু-এক দিনের মধ্যে আরও কয়েকজন চেয়ারম্যান পদত্যাগ করতে পারেন বলে আভাস মিলেছে। তবে এমপি হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এখন পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদের কোনো চেয়ারম্যানের পদত্যাগের খবর পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, পদত্যাগ করা বেশ কয়েকজন উপজেলা চেয়ারম্যান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। বাকিরা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এসব চেয়ারম্যানের অনেকেই এলাকায় খুবই জনপ্রিয়। জয়ী হওয়ার বিষয়ে তারা আত্মবিশ্বাসী। ফলে নৌকা প্রতীক পাওয়া অনেক প্রার্থী এসব স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে পরাজিত হওয়ার ভয়ে আছেন। তা ছাড়া আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এবার উৎসাহ দিচ্ছেন। নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য করতে তিনি দলের মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদেরও প্রার্থী হতে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন। এ কারণে নৌকার টিকিট পাওয়া অনেকেই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা চেয়ারম্যানদের মধ্যে টাঙ্গাইলের গোপালপুরের মো. ইউনুস ইসলাম তালুকদার, ধামরাইয়ের মো. মোহাদ্দেছ হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের এস এম আল মামুন, নেত্রকোনার দুর্গাপুরের জান্নাতুল ফেরদৌস, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার মো. শফিকুল ইসলাম, সুনামগঞ্জের শাল্লার চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ পদত্যাগ করেছেন।

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার আব্দুল মোতালেব, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের গাজী মাঈনুদ্দিন, মেহেরপুর সদরের মো. ইয়ারুল ইসলাম, কুমিল্লার দেবিদ্বারের মো. আবুল কালাম আজাদ, চৌদ্দগ্রামের আব্দুস ছোবহান ভূঁইয়া, কক্সবাজারের মহেশখালীর মোহাম্মদ শরীফ বাদশা, চট্টগ্রামের পটিয়ার মোতোহেরুল ইসলাম চৌধুরী পদ ছেড়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের ফিরোজুর রহমান, সিরাজগঞ্জের বেলকুচির মো. নুরুল ইসলাম সাজেদুল, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের মো. নাসিরুল ইসলাম খান, সাতক্ষীরা সদরের মো. আসাদুজ্জামান বাবু এবং শ্যামনগরের এস এম আতাউল হক, বগুড়ার শেরপুরের মজিবর রহমান মজনু এবং আদমদীঘির মো. সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার মো. আব্দুল হাই আকন্দ এমপি হওয়ার আশায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদ ছেড়েছেন। পদ ছেড়েছেন শেরপুর শ্রীবরদীর এডিএম শহীদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের মো. শাহজাহান ভূঁইয়া, টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, রাজবাড়ী সদরের মো. ইমদাদুল হক বিশ্বাস, রংপুরের মিঠাপুকুরের মো. জাকির হোসেন সরকার, মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের মুশফিকুর রহমান খান, নীলফামারীর সৈয়দপুরের মো. মোখছেদুল মোমিন, মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার একেএম সফি আহমদ সলমান, মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের মহিউদ্দিন আহমেদ, গাইবান্ধা সদরের শাহ সারোয়ার কবীর, পাবনার চাটমোহরের মো. আব্দুল হামিদ, কক্সবাজারের রামুর সোহেল সরওয়ার কাজল, চট্টগ্রামের চন্দনাইশের মোহাম্মদ আবদুল জব্বার চৌধুরী, শেরপুরের ঝিনাইগাতীর এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের মাহমুদ হাসান সুমন, বরিশালের বাকেরগঞ্জের মোহাম্মদ শামসুল আলম পদত্যাগ করেছেন। এ ছাড়া কুষ্টিয়ার মীরপুরের মো. কামারুল আরেফিন, নরসিংদীর মনোহরদীর মো. সাইফুল ইসলাম খান বীরু এবং ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গার চেয়ারম্যান মো. আলী আসলাম গতকাল স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। তাদের পদত্যাগপত্র আজ বুধবার গৃহীত হবে বলে জানা গেছে।

এদিকে এমপি হতে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পদ ছেড়েছেন তিনজন। তারা হলেন কুড়িগ্রামের মো. জাফর আলী ও যশোরের মো. আজিজুল ইসলাম। বাকি একজনের নাম জানা যায়নি। স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এর মধ্যে পদত্যাগের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।