আশাশুনি উপজেলায় সমবায় সমিতির নামে আইন বহির্ভূতভাবে ঋণ দিয়ে কিস্তি আদায়ের মাধ্যমে চলছে রমরমা সুদের ব্যবসা। শতকরা ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত সুদ আদায়সহ বার্ষিক মেয়াদের পরিবর্তে মাসিক মেয়াদে সুদাসল আদায় করা হচ্ছে।স্থানীয় গ্রাহকেরা এসব সমিতির খপ্পরে পড়ে অতিরিক্ত সুদ দিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। এসব সমিতির খপ্পরে পড়ে বিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। সমবায় সমিতির নামে এসব এনজিওর খপ্পরে পড়ে স্বল্প সময়ের ঋণ পরিশোধের ফলে পুঁজি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ছেন অনেকে।দেখা গেছে, সমবায়ের লাইসেন্স নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের হাটবাজারে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে অসংখ্য এনজিও। তাঁরা মেয়াদি আমানতসহ চড়া সুদে তাঁদের সমিতির বাইরেও বিভিন্ন লোককে দিচ্ছেন ঋণ। খালি চেকে স্বাক্ষর রেখে তাঁদের ঋণ দেওয়ার ঘটনা এ উপজেলায় খোলামেলা।অভিযোগ রয়েছে সমবায়ের আদলে গড়ে ওঠা এসব এনজিওগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের ম্যানেজ করে সমিতি চালাচ্ছেন।আশাশুনির বুধহাটা বাজারে সমবায়ের লাইসেন্স নিয়ে লাখপতি অফারের ব্যানার টানিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে পাঁচ বছর, সাত বছর, দশ বছর মেয়াদি আমানত সংগ্রহ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিযে প্রগতি ঋনদান সঞ্চয় প্রকল্পের পেিচালক প্রাননাথ দাশ পালিযেছে।বিপাকে পড়েছে সাধারন কর্মচারীরা ও আমানত কারীরা। এর পরেও আশাশুনির বিভিন্ন এলাকায় এখনও ব্যাংকিং প্রক্রিয়ায় আদলে বহু স্থানীয় সমবায় সমিতি লেন দেন করছেন।জনসাধারনকে প্রলুব্ধ করে লাখে ১৫০০ থেকে দুই হাজ্ওা টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার। অনেকে বলেন ,লাখপতি অফার দিয়ে গ্রামের সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে মেয়াদি আমানত সংগ্রহ করে ডিপিএস করাচ্ছেন ও লক্ষ লক্ষ টাকার আমানত সংগ্রহ করেছেন।দেখা গেছে, উপজেলার বুধহাটা বাজারে করিম সুপার মার্কেটে সামনে নানান মনোহারী স্লোগান দিয়ে অফিস খুলে সুদের ব্যবসা চালাচ্ছে অনেক নিবন্ধনীন সমবায় সমিতি।কিন্ত এদের দেখে না ধেখার অভিনয় করছে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।উল্লেখ্য, সমবায় সমিতি আইন (২০০১) বলা হয়েছে, নিবন্ধন ব্যতীত সমবায় শব্দ ব্যবহার নিষিদ্ধ। (১) এই আইনের অধীন সমবায় সমিতি হিসাবে নিবন্ধিত না হইলে কোন ব্যক্তি, ব্যক্তিসংঘ, সংগঠন বা সমিতি উহার নামের অংশ হিসাবে সমবায় বা কো-অপারেটিভ শব্দ ব্যবহার করিবে না। (২) সমিতির নিবন্ধিত নাম ব্যতীত সমিতির সাইন বোর্ড, বিল বোর্ড বা প্রচারপত্রে অন্য কোন নাম বা শব্দ ব্যবহার করা যাইবে না। (৪) কোন ব্যক্তি এই ধারার কোন বিধান লঙ্ঘন করিলে অনধিক ৭ (সাত) বৎসর কারাদন্ড- বা অন্যূন ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদন্ড- বা উভয়দন্ডে দন্ডনীয় হবে বলে আইনে বলা হয়েছে।
২ ঘন্টা ১২ মিনিট আগে
২ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে
২ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে
১১ ঘন্টা ৪৪ মিনিট আগে
১৯ ঘন্টা ৫৪ মিনিট আগে
২০ ঘন্টা ৬ মিনিট আগে