এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ১২ মে শেরপুরের নবাগত পুলিশ সুপারের পরিচিতি ও আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত চাটখিলে ৭ শত গ্রাম গাঁজা সহ ১ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার ঝিনাইগাতীর ইউএনও’র সহযোগিতায় মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর স্থান হল সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস মার্কায় ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী রানু রূপগঞ্জে কালবৈশাখীর তাণ্ডবে বাড়িঘর বিধ্বস্ত, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সরিষাবাড়ীতে এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার টেকনাফে ভাড়াবাসা তল্লাশী করে বালতি ভর্তি ই-য়া-বা-সহ রোহিঙ্গা আটক ; পলাতক-২ চুরির টাকায় বান্ধবীকে ফোন উপহার, কক্সবাজার ভ্রমণে গিয়ে ধরা ফ্রি ফায়ারে পরিচয়ে বিয়ে; ৬ মাস পর টেকনাফ থেকে মেয়ের মরদেহ উদ্ধার বশেমুরবিপ্রবি’তে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন পাকিস্তানে বাস দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত : পুলিশ সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসায় যুক্তরাষ্ট্রের ‘নেসা সেন্টার শান্তির সংস্কৃতি’ সংক্রান্ত বাংলাদেশের প্রস্তাব জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত মাংসে হাড় বেশি দেওয়ায় দোকানে হামলা মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ পদে ১৪ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল রামুতে সড়ক দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু অপহরণের শিকার ১২ বাংলাদেশীকে অক্ষত ছেড়ে দিলো আরাকান আর্মি চকরিয়ায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় ১৫ যাত্রী আহত

কী আমাদের অপরাধ, দেশ স্বাধীন করা, উন্নত করা?


প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বিএনপি-জামায়াতের কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, আপনারা খেয়ে-দেয়ে মাইক একটা লাগিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করবেন। আওয়ামী লীগের অপরাধটা কী? এ দেশ স্বাধীন করেছে, সেটা অপরাধ? আওয়ামী লীগ গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ায়, দেশটা আজ উন্নত করেছে- সেটা অপরাধ? তারা বলুক কী অপরাধটা করেছি আমরা?


তারা (বিএনপি-জামায়াত) আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করার স্বপ্ন দেখছে। তারা কীভাবে ভুলে যায় যে, আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের পাশে থাকে যার জন্য জনগণ তাদের বারবার ভোট দেয়। দেশবাসী তাদের পক্ষে রয়েছে কাজেই সরকারের পতন ঘটানো এবং দেশকে আবার অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া সম্ভব হবে না।

সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ উদ্যাপন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তারা (বিএনপি-জামায়াত) যে গণতন্ত্রের কথা বলে, আমরা কিন্তু গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছি। আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।


যেখানে মানুষ ভাতের ফ্যান খেত, নুন ভাতের কথা বলত, সেখানে আজ আওয়ামী লীগের আমলে অন্তত ভাতের কষ্ট তো মানুষের নেই, এটা তো আমরা বলতে পারি। 


প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ যে তারা (বিএনপি-জামায়াত) তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়, কোন সাহসে চায়? ২০০৮ এর নির্বাচনে তো তত্ত্বাবধায়ক সরকারই ছিল। সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে তো খালেদা জিয়াও সুস্থ তারেক জিয়াও লন্ডনে বিলাসবহুল জীবন যাপন করছিল।


এই রমরমা অবস্থায় সেই নির্বাচনে আসন পেয়েছিল মাত্র ৩০টি। আর আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ২৩৩টি। এটা তো মনে রাখা উচিত। তাহলে কীসের আশায় (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) চায় এটা সবাইকে বুঝতে হবে।


তিনি বলেন, আসল কথা হলো আওয়ামী লীগ থাকলে এদেশে গরিবের পেটে ভাত থাকে, গরিবের মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়। জাতির পিতা শেখ মুজিবের দেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না, ঠিকানাবিহীন থাকবে না, এটা আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। সেটাই ওদের সহ্য হয় না। তারা এটা চায় নির্বাচনের জন্য নয়, বাংলাদেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্য। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সভাপতিম-লীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক মেরিনা জাহান কবিতা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি, উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান প্রমুখ।

একুশে পদক বিজয়ী আবৃত্তি শিল্পী রূপা চক্রবর্তী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচিত ‘কারাগারের রোজনামচা’ থেকে তাঁর ৪৭তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন নিয়ে লেখার কিছু লাইন এবং বিশিষ্ট কবি সৈয়দ শামসুল হকের ‘আমার পরিচয়’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং দলের উপপ্রচার সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আওয়াল শামীম আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন।

বিএনপি রমজান মাসে গরিব মানুষের মধ্যে ইফতার বিতরণ না করে সরকারের সমালোচনা করে এমন অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, সারাদেশে দেখছি একমাত্র আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনগুলো সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিলি করছে। আওয়ামী লীগ দেয়, দিতে জানে, আর সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায়।


যারা প্রতিনিয়ত আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটাবে, উৎখাত করবে, নির্বাচন হতে দেবে না বলে, যারা মানুষ খুন করে, অগ্নিসন্ত্রাস করে, তারা ইফতার দেয় না, ইফতার পার্টিতে খায়। তিনি বলেন, ইফতার পার্টিতে গিয়ে আল্লাহ-রসুলের নাম নেই, তারা আওয়ামী লীগের গিবত গায়, আর কবে আওয়ামী লীগকে উৎখাত করবে, সেটাই স্বপ্ন দেখে। আওয়ামী লীগ মানুষের পাশে আছে, তাদের ইফতার দিয়ে পাশে দাঁড়াচ্ছে। আর আপনারা বসে বসে খাচ্ছেন। খাবার খেয়ে খেয়ে মাইক একটা লাগিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করবেন বলছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রের কথা তারা বলে। যে দল গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে জন্মই হয়নি, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর হাত দিয়ে হয়েছে, সেই দল আবার গণতন্ত্রের কথা বলে! এই দেশের গণতন্ত্র দিয়েছে আওয়ামী লীগ, গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ, গণতন্ত্র চর্চা করে আওয়ামী লীগ, নিজের দলের ভেতরে এবং দেশে।

সরকারপ্রধান বলেন, আজ দেশের মানুষ যদি কিছু পেয়ে থাকে, তা আওয়ামী লীগের হাত থেকেই পেয়েছে। স্বাধীনতা পেয়েছে, গণতন্ত্র পেয়েছে, গণতান্ত্রিক অধিকার পেয়েছে। আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। যেখানে মানুষ ভাতের ফ্যান খেত, নুন ভাতের কথা বলত, বিএনপি যেখানে ডাল-ভাতের ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হয়েছিল, এরপর কেউ একজন আলু খেতে বলল, ভাতের পরিবর্তে আলু খাওয়া, সে আলুও তো উৎপাদন করতে হয়, সেটাও তো সফলভাবে করতে পারেনি। সেখানে আজ আওয়ামী লীগের আমলে অন্তত ভাতের কষ্ট তো মানুষের নেই, এটা তো আমরা বলতে পারি।  

তিনি বলেন, এখন জিনিসের দাম নিয়ে মানুষ বলছে। মুরগির দাম বাড়ল কেন, পেঁয়াজের দাম বাড়ল কেন, চিনির দাম, তেলের দাম বাড়ল কেন? একসময় দেশে নুন-ভাতের কথাই মানুষ চিন্তা করত, সেটুকুই জোগাড় করতে পারত না। অন্তত সে অবস্থার পরিবর্তন এখন আওয়ামী লীগ তো করতে পেরেছে। ভাত নয়, ডাল-ভাতও নয়, মাছ, গরুর মাংস, মুরগি, পেঁয়াজ- এই জায়গায় তো চলে আসছে, অন্তত এটুকু তো দাবি করতে পারি।  

টানা চতুর্থবারের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, খাদ্যশস্য উৎপাদন আমরা চারগুণ বাড়িয়েছি। মাছ-মাংস প্রত্যেকটা জিনিসের উৎপাদন আমরা বাড়িয়েছি। এমনকি মাংসের উৎপাদন আটগুণ বেড়েছে। আগে একটা কোরবানি হতে হলে ওই ইন্ডিয়ান গরু কখন আসবে, ইন্ডিয়ান গরু না এলে আর কোরবানি হবে না, এমন অবস্থা ছিল। এখন আর বাংলাদেশের সেই অবস্থা নেই। আমরা নিজেরাই উৎপাদন করি। আটগুণ বেড়েছে উৎপাদন।  

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপির আমলে সার চাইতে গেলে ১৮ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। শ্রমিকরা মজুরি বাড়ানোর দাবি করেছিল। এই রমজান মাসে ১৭ জন শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করেছিল খালেদা জিয়া। এই কথা মানুষ ভুলে যায়নি। আজ আমরা গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি আটগুণ বাড়িয়েছি। আওয়ামী লীগ অপরাধটা কী করল, সেটা আমার প্রশ্ন।  

তিনি বলেন, তাদের (বিএনপি) জিজ্ঞেস করুন, আমরা তো ইফতার বিলি করি সাধারণ মানুষের মধ্যে। আর তোমরা ইফতার খাও, তোমরা খেতে জানো, তোমরা খাই খাই, আর আওয়ামী লীগ দেয় দেয়। আমি বলব আপনাদের আশপাশের দরিদ্র মানুষ যারা আছেন, তাদের সাহায্য করবেন আর ওদের (বিএনপি) দেখাবেন, তোরা ইফতার পার্টি খা, আর আমরা মানুষের পাশে থাকি। আর এই কারণে মানুষ আমাদের ভোট দেয়। বাংলাদেশের মানুষ যে বারবার আমাদের ভোট দেয়, তো এ কারণেই।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে এদেশের গরিবের পেটে ভাত থাকে, গরিবের মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাংলায় একটি মানুষও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না। কোনো মানুষ ভূমিহীন-গৃহহীন যে থাকবে না আমরা সেটারই বাস্তবায়ন ঘটিয়ে যাচ্ছি, আর সেটাই ওদের সহ্য হয় না। সাধারণ মানুষ, গরিব মানুষ ভালো থাকলে সেটা তাদের পছন্দ হয় না।


কাজেই তারা যে চায় সেটা ইলেকশনের জন্য নয় বাংলাদেশটাকে আবার অন্ধকার যুগে ঠেলে দেওয়ার জন্য। কাজেই এই দেশকে আর কখনো অন্ধকার যুগে ফেলে দিতে পারবে না। কেননা এটা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দেশ। মুজিব জন্মগ্রহণ করেছেন এ দেশের দুঃখী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। আর তাঁর আদর্শ ধারণ করেই আমরা সেটা করে যাব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে রাস্তাঘাটে হাড্ডি কঙ্কালসার মানুষ দেখা যেত, কিন্তু আওয়ামী লীগের গত ১৫ বছরে টানা চার মেয়াদে দেশ পরিচালনার সুযোগে এখন আর সে অবস্থা নেই। যেখানে মানুষের পরনের কাপড়ের ঠিক ছিল না সেখানে এখন অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানসহ সকল প্রকার মৌলিক এবং নাগরিক সুবিধাগুলো তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের কাছ পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিক এর মাধ্যমে হাতের নাগালে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে মানুষকে বিনামূল্যে ৩০ প্রকারের ওষুধ সেবা প্রদান করা হচ্ছে। কাজেই আমরা বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করি এবং সেই ভাগ্য পরিবর্তনটা একেবারে গ্রাম পর্যায়ের মানুষ পর্যন্ত।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ধন-দৌলত-সম্পদ কেউ সঙ্গে করে (কবরে) নিয়ে যেতে পারে না। কাজেই এর জন্য মারামারি কাটাকাটি কেন? এগুলো তো ফেলে রেখেই চলে যেতে হয়। কাজেই এগুলো যতটা মানুষকে দিয়ে দেওয়া যায় এবং মানুষের কল্যাণ করা যায় সেটুকুই সঙ্গে থাকে। এটাই সবাইকে মাথায় রাখতে হবে।

তিনি বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারি সামরিক স্বৈরশাসকের পকেট থেকে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে বিএনপির সৃষ্টি। কোনো গণতান্ত্রিক ধারায় নয়। কাজেই তারা না গণতন্ত্রের ভাষা বোঝে না গণতন্ত্র বানান করতে জানে! দেশে এবং নিজ দলের ভেতর গণতন্ত্র চর্চা করে আওয়ামী লীগ। অথচ তারা তোতা পাখির মতো বলেই যাচ্ছে, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে।


আজকে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আছে বলেই তারা এত কথা বলতে পারে। যদিও মিডিয়ার বিভিন্ন টক শোতে ঢালাও সমালোচানার পর এটাও বলা হয় যে তাদের কথা বলতে দেওয়া হয় না।

আওয়ামী লীগ সভাপতি এ সময় ‘মুজিব একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রটি সবাইকে দেখার পরামর্শ দিয়ে বলেন, স্বল্প পরিসরে হলেও এতে দেশমাতৃকার প্রতি তাঁর প্রগাঢ় ভালোবাসা এবং আত্মত্যাগের নিদর্শন রয়েছে। এত বড় জীবনটাকে স্বল্প জায়গায় আনা খুব কষ্টকর, কিন্তু তারপরেও এটা একটা ডকুমেন্ট হয়েছে। এই সিনেমাটা দেখলে মানুষ চোখের সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সংগ্রামের কিছু চিত্র দেখতে পারবে।


পাশাপাশি তিনি আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে জাতির পিতা রচিত ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’ ও ‘আমার দেখা নয়াচীন’ এবং পাকিস্তানের গোয়েন্দা রিপোর্ট নিয়ে রচিত ‘সিক্রেট ডকুমেন্ট অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য ন্যাশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ সিরিজের বইগুলো পড়ার প্রতিও গুরুত্বারোপ করেন। যা তাদেরকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে।

জাতির জনকের কন্যা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম হয়েছিল বলেই আজ দেশ স্বাধীন হয়েছে। আর দেশ স্বাধীন হয়েছে বলেই আজকে দেশের সাধারণ মানুষও উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখতে পারছে। জাতির পিতা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলে আমাদের স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা দিয়ে যান, সেখান থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছি। ইনশাআল্লাহ ২০৪১ নাগাদ জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব, আজকের দিনে এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা।

আরও খবর