দেশের বর্তমান সংবিধান মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এজন্য ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগ আমলে সংযোজিত ‘অগণতান্ত্রিক ও জনবিরোধী’ ধারা বাতিল করে নতুন একটি সংবিধানের জন্য সাংবিধানিক কমিশন গঠন করতে চান তিনি।
ফখরুল বলেছেন, ‘আমাদের বিচারপতি সাহেব বলেছেন সংবিধান মেনে চলতে হবে। কোন সংবিধান? কোন সংবিধান মানতে হবে, আমি তা জানতে চাই পরিষ্কার করে। যে সংবিধান আমরা সবাই মিলে ঠিক করেছিলাম—স্বাভাবিকভাবে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর করার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাব, সেই সংবিধানের জন্য অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে।’
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীতে দৈনিক নয়া দিগন্তের দেড় যুগ পূর্তি উপলক্ষ্য পত্রিকাটির অফিসে এক শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা অঙ্গীকার করছি মানুষের জন্য এ সংবিধানে কিছু পরিবর্তন আনতেই হবে। এজন্য আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি যে, সাংবিধানিক কমিশন তৈরি করা হবে। যদি আমরা জনগণের বিজয় অর্জন করতে পারি তাহলে সাংবিধানিক কমিশন তৈরি করে আমরা সেই অগণতান্ত্রিক, জনগণবিরোধী যেসব সংযোজন করা হয়েছে সেগুলো বাতিল করব। জনগণের জন্য যা প্রয়োজন, বাহাত্তর সালে যা করা হয়েছিল তার আশপাশে নিয়ে যুগোপযোগী একটি সংবিধান আমরা নিয়ে আসব।’
তিনি বলেন, ‘কথা খুব পরিষ্কার। আপনি যা ব্যাখ্যা দিয়েছেন তাতে তো আমার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী মামলা হওয়া উচিত। সেই ব্যাখ্যা হতে পারে না। ব্যাখ্যা খুব পরিষ্কার। এ দেশের মানুষ যা চাইবে সেটাই হচ্ছে সংবিধান। আমি মনে করি বর্তমান যে সংবিধান আছে তা মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা একটা নষ্ট সময়, একটা ভয়ংকর সময় অতিক্রম করছি। আমার কাছে খুব বিস্ময় হয়, একাত্তর সালের স্বাধীনতাযুদ্ধে তো আমরা সরাসরি জড়িত ছিলাম। তখন কি আমরা যুদ্ধ করেছিলাম বাংলাদেশর মানুষের অধিকার কেড়ে নিতে? তার ভোটের অধিকার কেড়ে নেব? তার কথা বলার অধিকার কেড়ে নেব? সাংবাদিক ভাইদের লেখার অধিকার কেড়ে নেব?’
তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্য আমাদের যে, পঁচাত্তর সালের অবস্থা আমাদের পার হতে হয়েছে। একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে ওই একাত্তরের চেতনা নষ্ট করেছে। পত্রিকা বন্ধ করে দিয়ে তারা একাত্তরের চেতনা নষ্ট করেছে। আজকে আবার একইভাবে স্বাধীনতার কথা বলে, মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের সাবেক রেজিস্ট্রার ও কলামিস্ট ইফতেখার আহমদ, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সদস্যসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ অনেকে।
৮ ঘন্টা ৪৪ মিনিট আগে
৮ ঘন্টা ৪৬ মিনিট আগে
১ দিন ১৫ ঘন্টা ৫০ মিনিট আগে
৫ দিন ১৬ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে
৫ দিন ১৬ ঘন্টা ৫০ মিনিট আগে
৬ দিন ৬ ঘন্টা ৩২ মিনিট আগে
৬ দিন ১৪ ঘন্টা ১ মিনিট আগে
৬ দিন ১৬ ঘন্টা ৪৩ মিনিট আগে