কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাচন এবারই প্রথম বারের মত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ আগামী ৮ মে অনিষ্ঠিত হবে। তাই এবারের নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জিং হিসেবে দেখছেন সাধারণ মানুষ।
এদিকে নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই উৎকন্ঠা বাড়ছে জনমনে। চলছে প্রার্থীদের নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা। ভোটের হিসাব-নিকাশ। কারা হবেন উপজেলার কান্ডারি । ক্ষমতার বলয় কার কত বেশি? কার হাত (ক্ষমতার) কতটুকু লম্বা? আরও নানা কিছু। এবারে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী রয়েছেন তিন জন। তাদের মধ্যে দক্ষিণ জোনে দুই প্রার্থী। উত্তর জোনে একজন। দক্ষিণ জোনের দুই প্রার্থী সম্পর্কে চাচা – ভাতিজা। তাদের একজন কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের দুবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী। তাঁর রয়েছে বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের ইতিহাস। মানুষ বলে তাঁর কপালটাই (ভাগ্য) ভালো। না চাইতেই অনেক কিছু পেয়ে যান। তাঁর বক্তব্যের প্রশংসা রয়েছে মানুষের মুখে মুখে। দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ফরিদ বলে ডাকেন। প্রধানমন্ত্রীর আলাদা একটা ভালোবাসা রয়েছে তাঁর প্রতি।
তাছাড়া স্থানীয় এমপি আশেক উল্লাহ রফিকের সাথে নানা- নাতি সম্পর্ক তাঁর। ফলে যেকোনো উন্নয়ন কাজ করতে কোন বেগ পেতে হয় না। দ্বীপের সমস্যা সম্ভাবনার কথা সহজেই ঊর্ধ্বতন মহলে উপস্থাপন করতে পারেন। আবার তিনি দাবি দাওয়া আদায় করতে পারেন সহজেই। শুধু কুতুবদিয়া নয় পুরো কক্সবাজার জেলার প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। এমন সোনালী সময় জীবনে একবার আসে। তাই এই সময়টাকে কাজে লাগাতে চান বলে জানালেন। এখন সেই সুযোগের চাবি জনগণের হাতে। তিনি বলেন, আমি আশা করি জনগণ ভুল করবে না। আমার সে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা আছে। তারা আমাকে শেষ বারের মতো সুযোগ দিবে। আমাকে মোটরসাইকেল মার্কায় ভোট দিবে এবং জয়যুক্ত করবে। আর আমি জনগণের সেই সম্মানকে অক্ষুণ্ণ রাখবো ইনশাআল্লাহ।
কুতুবদিয়ার শিক্ষিত সচেতন মহলের বিশির ভাগের ধারনা এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী রাজনৈতিক ক্ষমতা ও দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে কুতুবদিয়ার উন্নয়ন করতে পারবে এজন্য তাই তাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার পক্ষে মত দিচ্ছেন।
জনমত জরিপে এবারের নির্বাচনের আরেক প্রার্থী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হানিফ বিন কাশেম। টগবগে তরুণ প্রার্থী। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের তালিকাভুক্ত আইনজীবী। গত ঈদুল ফিতরের আগে থেকে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। জনমত নিতে কুতুবদিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে গিয়েছিলেন। তাঁর মতে মানুষ তাকে অভূতপূর্ব সাড়া দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমার নিজস্ব ভোট ব্যাংক রয়েছে। মহিলা ভোটারদের একটি বিশাল অংশ তাকে ভোট দিতে উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন। ভাই হত্যার বিচারসহ ভাইয়ের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করতে ঘোড়া প্রতীকে ভোট চান তিনি।তবে অনেকেই অল্প বয়সে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে মানানসই হচ্ছে না বলতে শুনা যাচ্ছে। আবার অনেকেই বয়স কোন ফেক্ট নয় বলে মন্তব্য করতে দেখা গেছে।
চেয়ারম্যানে পদে প্রার্থী হয়ে আনারস প্রতীকে ভোট চেয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন আসহাব উদ্দিন কুতুবী। উত্তর জোনে তিনি একক প্রার্থী। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের তথা কুতুবদিয়ার জনপ্রিয় প্রার্থী জামায়েত নেতা আ,স,ম শাহরিয়ার চৌধুরীকে কারিশমাটিক ভোটে হারিয়ে উত্তর ধুরুং ইউপি চেয়ারম্যান হয়েছেন তাঁর ভাতিজা আবদুল হালিম সিকদার। জনমত আছে আসহাব উদ্দিন সেই কারিশমায় বাজিমাত রাখতে পারেন। তবে রোল উঠেছে চেয়ারম্যান নির্বাচনে ফাইট হবে তাঁর সাথে।
অপরদিকে ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে জুনাইদ চশমা প্রতীক নিয়ে জনমত জরিপে এগিয়ে আছেন। তাঁর সাথে আকবর খানের উড়োজাহাজ প্রতীকের সাথে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা। তাছাড়া বই প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফরিদ উদ্দীন তালুকদার।
ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে কলস প্রতীকের প্রার্থী হাসিনা আকতার বিউটি এগিয়ে রয়েছেন বলে ধারণা ভোটারদের। তবে তাকে ফুটবল প্রতীকের সৈয়দা মেহেরুন নিসার সাথে লড়াই করে জিততে হবে।
২ ঘন্টা ৫৭ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ২৭ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ০ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ১ মিনিট আগে
৬ ঘন্টা ১ মিনিট আগে
৯ ঘন্টা ৪৮ মিনিট আগে
১২ ঘন্টা ৭ মিনিট আগে
১২ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে