মোঃ আজগার আলী, সদর উপজেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা:
সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে এ আই টেকনিশিয়ান পদে সরকারি প্রকল্পের আওতায় কাজ করে আজিজুর রহমান বিপ্লব ও জাকির হোসেন। আজিজুর ও জাকির বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে জেলা প্রাণীসম্পদ ও উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে কালিগঞ্জে বিভিন্ন এলাকায় অপচিকিৎসা করে থাকে ও বীজ দিয়ে বাড়তি টাকা নেওয়ার অভিযোগ আছে ।তারা ভেটোনারি রেজিষ্টার্ড প্রাপ্ত না হয়েও পশুরদেহে মারাত্মক ক্ষতিকর এন্টিবায়োটিক চিকিৎসা দিয়ে থাকে। অপচিকিৎসার ফলে অনেক পশু অসুস্থ হয়েছে মারাও গেছে।ক্ষতিগ্রস্থ পশুর মালিকরা আজিজুর ও জাকিরের বিরুদ্ধে অনেকবার মৌখিক ভাবে কালিগঞ্জ প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা অভিযোগ দিলেও ব্যবস্থা নেয়নি।
মৌখিক অভিযোগের পর কোন প্রকার ব্যবস্থা না নিলে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে আজিজুর ও জাকির। অনান্য পশু চিকিৎসকদের কোনঠাসা করে রাখে ভয়ভীতি দেখিয়ে। তারা অনান্য চিকিৎসকদের হুমকি দিয়ে বলে তাদের সাথে জেলা ও উপজেলা কর্মকর্তার পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে তারা যেটা করুক তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে না। গভীর অনুসন্ধান করে আজিজুর ও জাকিরের অপচিকিৎসার প্রমাণ স্বরূপ দুটি চিকিৎসকপত্র সাংবাদিকদের হাতে আসে সেখানে তারা পশুর দেহে মারাত্মক ক্ষতিকর এন্টিবায়োটিক লেখে চিকিৎসার জন্য।
কিন্তু ভেটোনারি কাউন্সিল কতৃক নিয়মে লেখা আছে ভেটোনারি রেজিষ্টার্ড প্রাপ্ত ডাক্তার ছাড়া কেউ এন্টিবায়োটিক লিখতে পারবে না লিখলে শাস্তির বিধান আছে। কিন্তু আজিজুর ও জাকির দুজন ভেটোনারি রেজিস্টার্ড ডাক্তার না হয়েও চিকিৎসাপত্রে এন্টিবায়োটিক লিখে আসছে, তাহলে কোন খুটির জোরের বহুবছর এন্টিবায়োটিক লিখছে প্রশ্ন রয়ে যায় ?
সাংবাদিকদের হাতে আজিজুর ও জাকিরের প্যাডে সীল স্বাক্ষর সহ এন্টিবায়োটিক লেখা চিকিৎসাপত্র আসলে তাৎক্ষণিক জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মাহবুবুর রহমান কে জানালে তিনি অভিযোগ দিলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। সেই আশ্বাসে একজন সাংবাদিক বাদী হয়ে আজিজুর ও জাকির সীল স্বাক্ষর চিকিৎসাপত্র ও গণমাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশিত খবর সহ অভিযোগপত্র জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা বরাবর দেওয়া হয়। জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মাহবুবুর রহমান অভিযোগ পেয়ে তিন সপ্তাহ পার হলেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি তালবাহানা শুরু করে। কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে আজিজুর ও জাকির অনান্য পশু চিকিৎসক দের বলে জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান কে আম বিশেষ ভাবে ম্যানেজ করেছি তিনি পদক্ষেপ নেবে না আমাদের বিরুদ্ধে।
তাদের লেখা চিকিৎসাপত্র প্রমাণসহ অভিযোগ দিলেও জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মাহবুবুর রহমান ব্যবস্থা না নিলে হতাশ গণমাধ্যম কর্মীরা। গণমাধ্যমকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে জেলাজুড়ে সরকারি আওতায় প্রকল্পে কাজ করা আজিজুর ও জাকিদের অপচিকিৎসা বিনিময়ে মাসিক উৎকোচ গ্রহণ করার প্রশ্ন উঠেছে জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মাহবুব রহমানের বিরুদ্ধে। তিনি ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বদলি হবে জেনে এধরনের অপকর্ম পৃষ্ঠপোষকতা করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
৩৪ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ৩৩ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ৩৫ মিনিট আগে
২ ঘন্টা ৪ মিনিট আগে
২ ঘন্টা ২৩ মিনিট আগে
২ ঘন্টা ৩৫ মিনিট আগে