মধুপুরে অসহায় ও হতদরিদ্র ১০০ পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার দিয়েছেন রক্তের বন্ধন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপি নেতা শরীফ উদ্দিন পাঁচবিবি ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন মুছাপুরে ১৫০টি দরিদ্র পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ শ্রীমঙ্গলে ঈদ মিছিল অনুষ্ঠিত পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ফটিকছড়িবাসী ও বিশ্বের সকল মুসলমানকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক। রায়পুরে শীর্ষ ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, শিক্ষক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সম্মানে ইফতার পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মানবতার আহবান ফাউন্ডেশন কতৃক ঈদ বস্ত্র বিতরণ সম্পন্ন বাঘায় শিবির সেক্রেটারীকে মেরে হাত ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ সুধীজনের সম্মানার্থে ‘শিকড় ঝিনাইগাতী’র ইফতার ও দোয়া মাহফিল জামালপুরে মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত। কচুয়ার পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়ন জাতীয়তাবাদী প্রবাসী ফোরামের উদ্যোগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত চাঁদ দেখা গেছে, ঈদ সোমবার ‘পীরগাছা সোসাইটির’ উদ্যোগে দুস্থদের মাঝে গরুর গোশত সহ ঈদ সামগ্রি বিতরণ পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ সম্পন্ন সৌদি আরবের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মোংলায় ঈদ উদযাপন সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ইসলামপুরের বিভিন্ন গ্রামে আজ ঈদ নন্দীগ্রামে সাবেক সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেনের যাকাতের টাকা বিতরণ নাগেশ্বরীর হাসনাবাদ ইউপিতে যুব সংগঠনের উদ্যোগে ঈদ সামগ্রী বিতরণ শেষ মূহুর্তে ঘর মুখো মানুষের ভীর:দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট

রংপুরে পুলিশের গুলিতে অটোচালক হত্যা: বাদীর সম্মতি ছাড়াই মামলার আসামী বেরোবি শিক্ষক!

ইবতেশাম রহমান - রিপোর্টার

প্রকাশের সময়: 28-08-2024 10:21:46 am


রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহামুদুল হককে বাদীর সম্মতি ছাড়াই আসামী করার অভিযোগ উঠেছে। 


ওই শিক্ষককের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক থেকে জানা যায়, তিনি কোটা আন্দোলনের পক্ষে সরব ছিলেন প্রথম থেকেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একাধিক পোস্টও দিয়েছেন, সরকারী চাকরীতে কোটা বাতিলের জন্য যেমন বিশ্লেষণ হাজির করেছেন, প্রতিবাদ করেছেন সাঈদসহ অনাকাঙ্খিত সব মৃত্যুর। প্রতিবাদী এই শিক্ষককে গত ১৮ জুলাই রংপুরে মডার্ন মোড়ে অটো চালক মানিক মিয়া হত্যাকান্ড মামলায় ১৯ নম্বর "আসামী" করায় সকল মহল হতভম্ভ।   

  

জানা যায়, রংপুর শহরের মডার্ন মোড় এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন মানিক মিয়া। গত ২০ জুলাই পুলিশ বাদী হয়ে মামলাও করে তাজহাট থানায়। তখন মাহামুদুল হকের নাম ছিল না। মামলার অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তাজহাট থানার ওসি বলেন, ৩১ তারিখে আদালতের আদেশ আসলে নতুন মামলার কাজ শুরু হবে।  


মাহামুদুল হক বলেন " মামলাটি করেছেন নিহতের মা, যিনি আমাকে চেনেন না। আর আমি আদালতে মামলা হওয়ার পর মামলার বিবরণ পাঠ করে জানলাম অটোচালক নিহত হয়েছেন আর আমি নাকি এর জন্য গিয়েছি কোটা বিরোধীদের সঙ্গে। রংপুর শহরের মর্ডানে যে স্থানে পুলিশ গুলি করেছে সে স্থানটি এখনও আমি চিনি না।" 


মামলা অনুযায়ী ১৮ জুলাই ২:০০-৩:৩০ এর মধ্যে মানিককে গুলি করা হয়। মাহামুদুল হক জানান এই পুলিশের গুলির সাথে কীভাবে আমি জড়িত তা আমার মাথায় আসে না। মাহামুদুল হক জানান তিনি শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নন, আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করা রাইটস ডিফেন্ডার। পুলিশকে গুলি করানোর মতো তার এখতিয়ার যেমন নেই তেমনি এ ঘৃন্যকাজ করা সম্ভবও নয় বলেও তিনি জানান। 


 মামলার বাদী নিহত মানিক মিয়ার মা মোছা. নুরজাহান বেগম বলেন, বাড়িতে আমার ছেলের বউ ছিল না। ছেলে ছিল না। বেটি-জামাই কেউ ছিল না। আমি মামলা করছি আমি বুঝবার পারিনি। মামলা কিভাবে সাজাইছে তাও আমি জানি নে। আমি তো নামও লেখতে পারিনা বাবা। তাও কলম আমার হাতে দিয়া নাম লেখায়। আমি বলছি সই দিব না, উকিল বলে লেখো তো। 


মাহামুদুল হককে চিনেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, না, আমি চিনি না। আমি খুবই দুঃখিত বাজান।  


কিভাবে মাহামুদুল হকের নাম মামলায় আসলো এ প্রসঙ্গে মামলার আইনজীবী আলাউদ্দিন বলেন, আমি তো এইটা বলতে পারবো না। এইটা বাদী বলতে পারবে। মামলা স্থগিত আছে। মামলার আইনগত ঝামেলা আছে। সাক্ষীরা যাদেরকে দেখেছে তাদের নামটাই এসেছে বলেন বাদীর আইনজীবী। 


বেরোবি বাংলা বিভাগের শিক্ষক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, উনি যদি ঘটনাস্থলে না থাকে তাহলে তার নাম মামলায় দেওয়া খুবই দুঃখজনক। 


আইনজীবীরা বলছেন, এভাবে নিরাপরাধ ব্যক্তিকে মামলার আসামী করা হলে প্রকৃত অপরাধীরা পার পেয়ে যাবেন। এই শিক্ষককে হয়রানি করার জন্যই তাকে আসামী করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহলে।


সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) রংপুর মহানগর সভাপতি খন্দকার ফখরুল আনাম বেঞ্জু বলেন, সঠিক সাক্ষ্য প্রমাণ না থাকলে মামলার গুরুত্ব কমে যায়। হয়রানির স্বীকার হন নিরপরাধ মানুষেরা।একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের কাছে চাওয়া সন্তান হারানোর কষ্ট বা বাবা হারানো কষ্ট মারাত্মক কষ্ট কিন্তু আমাদের মামলা টা যেন এমন না হয় যাতে প্রতিপক্ষকে হয়রানি বা গাইল করা। মামলা টা যেন এমন হয় যাতে সত্য বের হয়ে আসে। মূল অপরাধীরা যাতে সাজা পায়।

আরও খবর