মো.আজিজুলহক আজিজ,কুতুবদিয়া
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ফুটপাতে এবং ছোট-বড় বিভিন্ন দোকানে অবাধে বিক্রি হচ্ছে আইসক্রিম।নানা ব্র্যান্ডের মানহীন অননুমোদিত ও অস্বাস্থ্যকর আইসক্রিম, মালাই, ললি, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দোকান ছাড়াও অনেকে ভ্যানে মাইকিং করে বিক্রি করছে এসব।প্রচন্ড দাবদাহে শ্রমজীবী,পথচারী, শিক্ষার্থীসহ শিশুরা তৃষ্ণা মেটাতে নির্বিঘ্নে পান করছে এসব আইসক্রীম। এই নিম্নমানের আইসক্রীমে সেকারিন, ঘনচিনি, রং ও বীট লবন মিশ্রণের কারণে মানুষের দেহে নানা সমস্যার ঝুঁকি বাড়ছে।
রিক্সা চালক আব্দুস সাত্তার জানান, তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে আইসক্রীম পান করে তৃষ্ণা এবং তুপ্তি দুটোই পাই। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে কি না তা জানা নেই। ভালো লাগে তাই খাই।
ভ্যানে করে একাদিক আইসক্রীম বিক্রেতার সাথে কথা হলে তারা বলেন, আইসক্রীম তৈরিতে বিভিন্ন ধরনের ক্যামিক্যাল ব্যবহার করা হয়। এটা স্বাস্থ্যসম্মত কি না জানা নেই। এই গরমে আইসক্রীমের চাহিদা প্রচুর তাই বিক্রি করি।
দেশে খাদ্যে ভেজাল মেশানোর বিষয়টি বহুল আলোচিত হলেও ভেজালবিরোধী অভিযান অব্যাহত না থাকার বিষয়টি উদ্বেগজনক। ভেজাল খাবার খাওয়ার কারণে দেশে জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়া মানুষের সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বাড়ছে।
জানা গেছে,অননুমোদিত স্হানীয় আইসক্রীম মিলে এগুলো ফুড গ্রেডহীন ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হয়। গরমে তৃষ্ণা মেটাতে শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ প্রায়ই ফুটপাতে বিক্রি হওয়া বাহারি রঙের আইসক্রিম খেয়ে থাকেন। উৎপাদকরা এগুলো মুখরোচক করতে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর উপাদান মিশিয়ে থাকেন, যা খেয়ে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি আইসক্রিম ধরনের খাদ্যে বিদ্যমান সালমোনেলা নামক জীবাণুতে ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশনের আশঙ্কাও রয়েছে।
মানসম্মতভাবে তৈরি আইসক্রিম পরিমিত খেলে সমস্যা নেই। তবে যেসব আইসক্রিমে ফুডগ্রেডবিহীন রং মেশায়, চিনির পরিবর্তে অন্য কোনো ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করে, সেসব তৈরি আইসক্রিম খেলে স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা থেকেই যায়।আইসক্রিমে কম দামি ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান মেশানো হয়। ক্ষতিকর রং ব্যবহার করে আইসক্রিম ও এ ধরনের খাদ্য তৈরি করা হয়। কোন আইসক্রিমে ক্ষতিকর রাসায়নিক মেশানো হয়, সাধারণ মানুষের পক্ষে তা বোঝা সম্ভব নয়। কাজেই যেসব আইসক্রিমে ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান মেশানো হয়, সেগুলোকে শনাক্ত করার জন্য সারা বছর ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা উচিত।
এদিকে মাঝেমাঝে অভিযান চালিয়েও তা বন্ধ করা যাচ্ছে না।দেশের প্রায় সব ধরনের খাদ্যপণ্য এমনকি জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ভেজাল হওয়ার বিষয়টি সবচেয়ে উদ্বেগজনক। দুশ্চিন্তার বিষয় হলো, নকল কারখানার মালিক ও ভেজাল পণ্য বাজারজাতকারীদের বিরুদ্ধে একাধিক সরকারি সংস্থা অভিযান চালালেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দৃষ্টান্ত কম। জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে খাদ্যে ভেজাল রোধ করতে হবে যে কোনো উপায়ে।
১১ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে
১১ ঘন্টা ৩৮ মিনিট আগে
১১ ঘন্টা ৪৬ মিনিট আগে
১২ ঘন্টা ৩ মিনিট আগে
১২ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে
১২ ঘন্টা ৪০ মিনিট আগে
১৩ ঘন্টা ১৮ মিনিট আগে
১৩ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে