জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধিদলের বৈঠক‌ লোহাগাড়ায় ট্রাকের ধাক্কায় এক ব্যক্তির মৃত্যু। একজন চালকের হাতে শত শত দায়িত্ব নির্ভর করে : মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক জয়পুরহাটে মাদ্রাসার সৌন্দর্য বর্ধনে বৃক্ষ রোপনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ পাঁচবিবিতে দুই দিনব্যাপি গ্রীষ্মকালীন ফসল উৎপাদন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলের মধুপুরে নকল সরবরাহের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার দেবহাটায় এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মাঝে তরুণ দলের পানি ও স্যালাইন বিতরণ বাঘায় জেলা প্রশাসকের সাথে উপজেলা প্রশাসনের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা সংসদের ভিপি শহিদুল, জিএস ইনামুল আদমদীঘিতে ইভটিজিং করায় যুবকের জেল-জরিমানা বগুড়ার জেলা প্রশাসকের আদমদীঘির বিভিন্ন দপ্তর পরিদর্শন ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টায় সহযোগিতা, জাপা নেতার বিরুদ্ধে মামলা! নোয়াখালীত আনিত মিথ্যা অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলনের প্রতিবাদে সভা ঝিনাইগাতীতে দম্পতিদের জন্য জেন্ডার ও উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ঝিনাইগাতীর নলকুড়া ইউনিয়নে অংশগ্রহণমূলক মনিটরিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ঝিনাইগাতীর গৌরীপুর ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্তিকরণ (প্রতিবন্ধিতা), তৃতীয় লিঙ্গ, আদিবাসীদের অধিকার বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ঝিনাইগাতীর ধানশাইল ইউনিয়নে সুশীল সমাজ ও সরকারি খাতের কর্মসূচিকে শক্তিশালী করার জন্য সমাজে দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত এলাকায় বিষবাষ্প নাকি পূর্ব শত্রুতায় ঘরে আগুন ববি অধ্যাপককে আওয়ামী দোসর আখ্যা দিয়ে সিন্ডিকেট থেকে অব্যাহতি- শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ক্ষেতলালে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মাঝে বকনা ও ষাঁড় গরু বিতরণ

৫আগষ্টে আহত আরিফ; অভাব ঘোচাতে যেয়ে ফিরলেন পরিবারের বোঝা হয়ে

ছবি: দেশচিত্র

শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার ঘড়িষার ইউনিয়নের হালইসার গ্রামে হানিফ দেওয়ানের ছেলে আরিফ দেওয়ান (১৮)। গত ৫ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার লং মার্চে অংশ নিয়ে গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে পৌছালে, দূর্বৃত্তরা তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় আরিফের ডান পায়ের রগ ও মাংস পা থেকে আলাদা হয়ে যায় এবং বাকীরাও খুব গুরুতর আহত হন। 

বছর খানেক আগে পরিবারের অভাব ঘোচাতে পড়াশোনা বন্ধ করে ঢাকা পাড়ি জমান পরিবারের একমাত্র ছেলে আরিফ দেওয়ান। গত ৫ আগষ্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন ঘটাতে লং মার্চে অংশগ্রহণ করতে যেয়ে গুলিস্তানে হামলার স্বীকার হন আরিফ দেওয়ান। তখন কিছু লোক তাকেসহ ৬ জনকে ভ্যানে তুলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেখে আসেন। কিছুদিন ঢাকায় চিকিৎসা নিয়ে আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকার কারনে তার বাবা তাকে গ্রামে নিয়ে আসেন। বর্তমানে ক্ষত স্থানে ঘা হয়ে পঁচন ধরার উপক্রম। পায়ের অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে এখন বিছানায় কাতরাচ্ছেন পরিবারের একমাত্র ছেলে আরিফ দেওয়ান। তার পায়ের ক্ষত ভালো হতে প্রয়োজন উচ্চতর চিকিৎসার কিন্তু সেই সামর্থ্য নেই তার দিনমজুর বাবার এবং এখনো পাননি কোন সহযোগিতা।

আরিফকে তার বর্তমান অবস্থা জানতে চাইলে আরিফ বলেন- বাংলাদেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে, নতুন করে দেশ আরেকবার স্বাধীন হয়েছে আর এই স্বাধীনতার পিছনে আমারও একটা গল্প আছে, আমারও কিছু ত্যাগ আছে। আমার মনে কোন কষ্ট নেই। দেশের মানুষ স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে তাতেই আমি খুশি। 

তবে আজ যেখানে রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ চলতেছে, যারা আন্দোলনে শহীদ হয়েছে তাদেরকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করতেছে। কিন্তু আমি আজ কয়েকমাস বিছানায় পড়ে আছি। সাহায্যের জন্য একটা আবেদন পত্রও পোস্ট করেছিলাম কিন্তু এখনও কেউ দেখতে পর্যন্ত আসেনি। আমার বাবা একজন দিনমজুর। এই কয়দিনের চিকিৎসায় বাবা অনেক ঋণ করেছে, তার জমানো যা ছিলো সব শেষ। আগামী দিনের ওষুধ কিনব কি করে তাও জানা নেই।

আরিফের বাবা হানিফ দেওয়ান জানান, ৫ আগষ্ট বেলা ৩ টার সময় আমার ছেলের এ অবস্থার খবর পাই। তখন ঢাকা যাবার খুব চেষ্টা করি, কিন্তু গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় আমি তখন যেতে পারিনি। পরে আমার ঢাকার এক আত্মীয় ঢাকা মেডিকেলে যেয়ে তাকে চিকিৎসা করান। রোগী বেশি হওয়ায় সেদিন মেডিকেল তার ভর্তি নেয়নি, তাই আমার আত্মীয় আরিফকে তাদের বাসায় নিয়ে যায়। তিনদিন পর আমার ছেলেকে আবার ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে ডাক্তার জানায়- ক্ষতস্থানে ঘাঁ হয়ে গেছে, উন্নত চিকিৎসা করাতে হবে। আমি ঢাকায় কিছুদিন আমার ছেলের চিকিৎসা করাই। কিন্তু ঢাকায় থাকা ও হাসপাতালের এত খরচ বহন আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না, তাই ছেলেকে নিয়ে গ্রামে চলে আসি। এখন গ্রামের এক ডাক্তারকে দেখাচ্ছি। আজ ১ মাস ৬ দিন হল আমি কষ্ট করে আমার ছেলের চিকিৎসা করাচ্ছি। ডাক্তার বলছে যদি উন্নত চিকিৎসা করাতে বেশি দেরি হয়ে যায়, তাহলে এই ঘাঁ আরও মারাত্মক আকার ধারণ করবে এবং আরিফ হয়তো আর হাটতে পারবে না।

তার বাবা আরও জানান, "আমার কাছে যত টাকা ছিল সব শেষ। বর্তমানে আমি আমার ছেলের ওষুধের খরচও ঠিকমতো বহন করতে পারছিনা, এর থেকে ওর থেকে নিয়ে ওষুধ কিনতে হচ্ছে। তাছাড়া আমার ছেলের পায়ের যে অবস্থা আমি এতো ওষুধের টাকা পাব কই আর অপারেশনই বা করাব কিভাবে"।

স্থানীয় কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) বলেন, তার বর্তমান অবস্থা সংকটাপন্ন। যদি সময়মতো উন্নত চিকিৎসা না করানো যায় তাহলে হয়তো তার ডান পা'টা অকেজো হয়ে যাবে। যেহেতু আরিফের পরিবার আর্থিকভাবে দুর্বল, চিকিৎসার ব্যয় বহন করা তাদের পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব না। তাই সরকারিভাবে বা সমাজের বিত্তবানরা যদি আরিফকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে তবে তার পরিবারের অনেক উপকার হবে এবং আরিফ আবার হাটতে পারবে।

আরও খবর