অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতের পাঁচটি ও মানহানির অভিযোগে করা একটি মামলা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) মামলার আদেশের অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে। এর আগে গত ২৪ অক্টোবর বিচারপতি এ কে এম আছাদুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান বলেন, গ্রামীণ কমিউনিকেশনের চেয়ারম্যান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ কমিউনিকেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানার বিরুদ্ধে গ্রামীণ কমিউনিকেশনের একজন কর্মচারী ২০১৯ সালে মামলা করেন, যাতে অবৈধভাবে চাকরিচ্যুতির অভিযোগ আনা হয়। এ ধরনের মামলা মোট পাঁচটি হয়। পাঁচটিই বাতিল হয়ে গেছে।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের যুক্তি ছিল প্রস্তাবিত ট্রেড ইউনিয়নের আবেদনপত্র এরই মধ্যে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে শ্রম অধিদপ্তর থেকে। সুতরাং এ কথা বলার কোনো অবকাশ নেই যে প্রস্তাবিত ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার কারণে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এদের চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ ছিল। চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এ ধরনরে মামলা করার এখতিয়ার শ্রম অধিদপ্তরের। তারা শ্রম অধিদপ্তরের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। তবে শ্রম অধিদপ্তর কোনো মামলা করেনি।
মানহানির মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ২০১১ সালে জাসদের যুগ্ম সম্পাদক ও ময়মনসিংহ জেলা বারের সদস্য নজরুল ইসলাম চুন্নু ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন। ২০০৭ সালে এএফপিকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা টাকার জন্য রাজনীতি করেন, জনস্বার্থে করেন না’-এমন কথা বলেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা মামলাগুলো বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করছিলাম। হাইকোর্ট রুল জারি করেছিলেন। গত ২৪ অক্টোবর রুল যথাযথ ঘোষণা করে মামলাগুলো বাতিল করেছেন।
মানহানির মামলা বিষয়ে আদালতের আদেশে বলা হয়, এই মামলাটি হয়েছিল ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে এবং এই হয়রানি করতে আদালতকে ব্যবহার করেছিলেন মামলার বাদী।
৭ ঘন্টা ৪১ মিনিট আগে
৮ ঘন্টা ৫৫ মিনিট আগে
১২ ঘন্টা ৪১ মিনিট আগে
১৬ ঘন্টা ০ মিনিট আগে
১৬ ঘন্টা ৩৩ মিনিট আগে
১ দিন ৩ ঘন্টা ১৬ মিনিট আগে
২ দিন ৮ ঘন্টা ০ মিনিট আগে
২ দিন ১৬ ঘন্টা ১৬ মিনিট আগে