কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় এক নারী ও এক গ্রাম পুলিশসহ ৩ জন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার উছমানপুর ইউনিয়নের কোনাপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
কোনাপাড়া গ্রামের মৃত শাহ্ আলমের ছেলে উছমানপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ মো. সোহেল মিয়া (৩২) অভিযোগ করে বলেন, বুধবার (২০নভেম্বর) মাগরিবের নামাজের আগে তার ছেলে মো. তামিমুল ইসলাম রাবিব (১০) স্থানীয় মক্তবে আজান দিতে যায়। এসময় প্রতিবেশী প্রবাসী মো. খোকন ভূইয়ার ছেলে রাকিম (১৫) এর সাথে আজান দেওয়া নিয়ে ঝগড়া হয়। শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে ওইদিন রাত ৭ টার দিকে প্রবাসী খোকন ভূইয়ার ছেলে সাকিন (২১) লোকজন নিয়ে ওই গ্রাম পুলিশের বাড়িতে হামলা করে বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে। এ ঘটনা মিমাংসার লক্ষে ওই রাতেই স্থানীয় ১নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. লিটন মিয়ার মাধ্যস্থতায় শুক্রবার সকালে একটি সালিশের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
নির্ধারিত তারিখ ও সময়ের আগেই সালিসের তারিখ অমান্য করে বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রতিপক্ষ খোকন মিয়ার ছেলে সাকিন (২১) তাদের আত্মীয়স্বজন সোহাগ (২৭), মেন্টু (৩২), মিল্লাত (৪৫) ও ডালিম (৪৮)সহ আরো কয়েকজনকে নিয়ে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্রাদীসহ গ্রাম পুলিশ মো. সোহেল মিয়ার বাড়িতে পুনরায় হামলা করে তার ছোট বোন সাবিহা ইসলাম সুরমা (২৫) ও তার ছোট ভাই মো. নাঈম রানা (২৩) সহ ওই গ্রাম পুলিশকে নির্মম ভাবে মারধর করে রক্তাত গুরুতর জখম করে। আহতদের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে প্রতিপক্ষের হাত থেকে আহতদের উদ্ধার করে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।
সাবিহা ইসলাম সুরমা ও মো. নাঈম রানা কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৩ নং কেবিনে চিকিৎসাধীন এবং গ্রাম পুলিশ মো. সোহেল মিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে কুলিয়ারচর থানা পুলিশ আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান।
এব্যাপারে প্রতিপক্ষের কারোর সাথে যোগাযোগ করতে না পারায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত কুলিয়ারচর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিলো।
১ ঘন্টা ৫৫ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ৫৭ মিনিট আগে
১১ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে
১৩ ঘন্টা ৩১ মিনিট আগে
১৩ ঘন্টা ৩৯ মিনিট আগে
১৩ ঘন্টা ৪৭ মিনিট আগে
১৪ ঘন্টা ৪ মিনিট আগে
১৫ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে