জয়পুরহাটে মাদ্রাসার সৌন্দর্য বর্ধনে বৃক্ষ রোপনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ পাঁচবিবিতে দুই দিনব্যাপি গ্রীষ্মকালীন ফসল উৎপাদন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলের মধুপুরে নকল সরবরাহের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার দেবহাটায় এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মাঝে তরুণ দলের পানি ও স্যালাইন বিতরণ বাঘায় জেলা প্রশাসকের সাথে উপজেলা প্রশাসনের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা সংসদের ভিপি শহিদুল, জিএস ইনামুল আদমদীঘিতে ইভটিজিং করায় যুবকের জেল-জরিমানা বগুড়ার জেলা প্রশাসকের আদমদীঘির বিভিন্ন দপ্তর পরিদর্শন ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টায় সহযোগিতা, জাপা নেতার বিরুদ্ধে মামলা! নোয়াখালীত আনিত মিথ্যা অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলনের প্রতিবাদে সভা ঝিনাইগাতীতে দম্পতিদের জন্য জেন্ডার ও উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ঝিনাইগাতীর নলকুড়া ইউনিয়নে অংশগ্রহণমূলক মনিটরিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ঝিনাইগাতীর গৌরীপুর ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্তিকরণ (প্রতিবন্ধিতা), তৃতীয় লিঙ্গ, আদিবাসীদের অধিকার বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ঝিনাইগাতীর ধানশাইল ইউনিয়নে সুশীল সমাজ ও সরকারি খাতের কর্মসূচিকে শক্তিশালী করার জন্য সমাজে দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত এলাকায় বিষবাষ্প নাকি পূর্ব শত্রুতায় ঘরে আগুন ববি অধ্যাপককে আওয়ামী দোসর আখ্যা দিয়ে সিন্ডিকেট থেকে অব্যাহতি- শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ক্ষেতলালে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মাঝে বকনা ও ষাঁড় গরু বিতরণ তদন্ত কমিটির বিচার কার্যকাল বিলম্ব হওয়ায় বাকৃবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল মোংলায় কোস্ট গার্ডের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান কুবির মিডিয়া ল্যাবে সরঞ্জাম নেই, তবু পরিশোধ পুরো বিল

কুড়িগ্রামে জাল সনদে ডিগ্রি কলেজের সভাপতি!



কুড়িগ্রামের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে অন্যতম মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজ। জেলা শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ছয় জন শিক্ষকের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ নিয়ে বিতর্ক ওঠার কয়েক মাস পর এবার জানা গেল প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান গভর্নিং বডির সভাপতি মো: সিরাজুল ইসলাম (টুকু)’র শিক্ষাগত যোগ্যতার স্নাতক পাস এর  সনদ জাল! এনিয়ে জেলা শহরে কয়েকদিন ধরে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।


জানা গেছে, ডিগ্রি পর্যায়ের এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি হতে হলে নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ডিগ্রি পাশ হতে হবে। চলতি বছরের মে মাসে মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের দুই বছর মেয়াদি গভর্নিং বডি গঠিত হয়। এতে সভাপতি নির্বাচিত হন সিরাজুল ইসলাম (টুকু)। এরপরই তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমালোচনা সৃষ্টি হয়। পরে এ নিয়ে একাধিক শিক্ষার্থী জেলা প্রশাসক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। 


কলেজ সূত্রে জানা যায়, গভর্নিং বডির সভাপতি নির্বাচিত হতে সিরাজুল ইসলাম (টুকু) নিজেকে ডিগ্রি পাশ দাবি করে ১৯৭৫ সালের বিএসসি পাশের একটি সনদ দাখিল করেন। কিন্তু লিখিত অভিযোগকারীরা বলছেন, ওই সনদটি ‘জাল’। কারণ সিরাজুল ইসলাম টুকু ১৯৭৫ সালে কুড়িগ্রাম কলেজ থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বি.কম পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হয়েছিলেন। আর সে সময় কুড়িগ্রাম কলেজ সরকারি ঘোষণা হয়নি। অথচ সিরাজুল ইসলামের সনদে ‘কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ’ থেকে বিএসসি পাশ করেছেন লেখা রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধানে জানা গেছে, সিরাজুল ইসলাম বিএসসি পাশের সনদ দাখিল করলেও তিনি ১৯৭৫ সালে কুড়িগ্রাম কলেজ হতে বিকম পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হয়েছেন। তার রোল নম্বর  ১৪২৫০ এবং শিক্ষাবর্ষসহ নিবন্ধন নম্বর ১৫৬১৪/৭৪। পিতার নাম আব্দুল গফুর। কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, এই কলেজ ১৯৭৯ সালে সরকারি ঘোষণা হয়। ১৯৭৫ সালে এই কলেজ সরকারি ছিল না। অথচ সিরাজুল ইসলাম টুকুর দাখিলকৃত সনদে ‘কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ’ থেকে পাশ করার কথা লেখা রয়েছে। সনদটি ‘জাল’।


তবে নিজেকে বিএসসি উত্তীর্ণ দাবি করেছেন গভর্নিং বডির অভিযুক্ত সভাপতি সিরাজুল ইসলাম টুকু। সনদের সঠিকতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘ সনদ সঠিক আছে।’

১৯৭৫ সালে কলেজ সরকারি না হলেও সনদে ‘কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ’ লেখা সম্পর্কে জানতে চাইলে সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ আপনার সাথে সামনা সামনি কথা বলবো।’


এ ব্যাপারে মজিদা কলেজের  অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুস সালাম বলেন, ‘ আমি বিষয়টি নিয়ে কোনও অভিযোগ পাইনি। তবে গভর্নিং বডির সভাপতি হতে হলে ডিগ্রি পাশ হতে হবে। আমি কিছুদিন আগে দায়িত্ব নিয়েছি। আগের অধ্যক্ষ কী করেছেন সেটা আমি জানি না।’


জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কলেজ পরিদর্শক ফাহিমা সুলতানা বলেন, ‘ সভাপতি হতে হলে শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম ডিগ্রি পাশ হতে হবে। গভর্নিং বডির সভাপতির সনদ যদি জাল হয়ে থাকে তাহলে আমাদেরকে অভিযোগ দিলে আমরা তা যাচাই করে দেখবো। সনদ জাল প্রমাণিত হলে আমরা বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’

প্রসঙ্গত, মাজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের ছয় শিক্ষকের শিক্ষক নিবন্ধন সদনের সঠিকতা নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে এক শিক্ষক চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। বাকি পাঁচ শিক্ষকের মধ্যে দুই শিক্ষক এমপিওভুক্ত। অপর তিন শিক্ষক অনার্স পর্যায়ে চাকরিরত এবং কলেজের অভ্যন্তরীন আয় থেকে নিয়মিত মাসিক সম্মানি পান বলে কলেজ সূত্রে জানা গেছে।


আরও খবর