আমরা চাই ভোটের অধিকার ফিরে আসুক - শরীফুল আলম
কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম সিআইপি বলেন, আমরা চাই ভোটের অধিকার ফিরে আসুক। জনগণের হাতে যেন আমরা দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে পরি, তারা যাকে খুশি তাকে এ দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেক, এটাই আমাদের মূল দায়িত্ব। আমরা সেই দায়িত্ব পরিপূর্ণ ভাবে পালন করেতে পারি নাই। এজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
শনিবার (৩০নভেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার আব্দুল্লাহপুর জগতচর মাদ্রাসার বার্ষিক ইসলামী মহা সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত এক পরামর্শ সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় আগামী ১৩ ডিসেম্বর মাদ্রাসা কর্তৃক বার্ষিক ইসলামী মহা সম্মেলনে সকলকে আসার আহবান জানিয়ে শরীফুল আলম বলেন, একটি বিষয়ে একটু বলে দেই, ধর্মীয়ভাবে বর্তমানে ৫ই আগষ্টের পর নানাবিধ ভাবে ছোট খাটো নানা ধরনের বিভিন্ন রকম অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার জন্য একটি মহল তৎপর আছে। আপনাদেরকে সজাগ থাকার জন্য বলবো।
তিনি আরও বলেন, সকল কিছুর পরে ইদানিং একটা বিষয় আপনারা দেখবেন ইসকন, এটাকে নিয়ে নানা ধরনের একটা ষড়যন্ত্র বাংলাদেশে চলছে। বহির বিশ্ব বা কয়েকটা রাষ্ট্র থেকে বিভিন্ন ভাবে উসকানিমূলক অনেক কথা বলছে। আমরা মুসলমান, ধর্মীয়ভাবে আমাদের দীক্ষা হলো, আমরা অত্যান্ত ধৈর্য ও সহনশীলতার সহিত আমরা সকল পর্যায়ে এই শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সবসময় ইসলাম আমাদেরকে শিক্ষা দেয়। যত উসকানিই আসুক, যত কথাই আসুক আমরা সর্বোচ্চ ধৈর্য ধরবো। কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে আপনাদের কোন সংগঠনের যদি কেউ জড়িত থাকেন, ধর্মীয় ভাবে ইসলামিক ভাবে নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত আমরা বিচ্ছিন্ন ভাবে কোন কর্মসূচি, কোন কিছু পালন না করি। আমরা যেন সমন্বয় করে, আলাপ আলোচনার মাধ্যমে কর্মসূচি পালন করি।
অতি উৎসাহী হয়ে চেষ্টা করা হচ্ছে যে, আমাকে আঘাত কর, আমাকে একটা কিছু কর। এটার বিনিময়ে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সারা বাংলাদেশে হোক, আমরা সেই সুযোগ দেবোনা। চট্টগ্রামে আপনারা দেখেছেন, আমাদের এক ভাই এ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম। কি ভাবে তাকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এটা আল্লাহ আছেন, দেখতেছেন। ধৈর্য ধরুন, এ দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য অনেক ধরনের কথা, ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আলেম উলামাদের কাছে আমার অনুরোধ, একটা পরামর্শ, একটা মাসোহারা ছাড়া হুট করে কোন পরিস্থিতিতে যেন আমরা পদক্ষেপে আগাইয়া না যাই। রাষ্ট্র পরিস্থিতিতে আছে, সামাজিক ভাবেও আমরা একসাথে আছি এবং এপসেসিভ পতিত সৈরাচার ছাড়াও একটি রাজনৈতিক শক্তি ঐক্যবদ্ধ ভাবে আমরা দেশে আছি। সকলে সম্মিলিত ভাবে আমরা যেন যে কোন পদক্ষেপে আগাই। প্রশাসনসহ আমরা যেন এ ব্যাপারে একটু সজাগ থাকি। প্রিয় এলাকাবাসী আপনারাও সজাগ থাকবেন। দেশকে শেষ করে দিয়েছে তার পরেও এখন পর্যন্ত দেশকে আবারো একটা রসাতলে নেওয়ার জন্য অনেক ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি'র সহ-সভাপতি ও গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এড. মশিউর রহমান, উপজেলা বিএনপি'র সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা বিএনপি'র সদস্য এবং গোবরিয়া আব্দুল্লাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. সালাহ উদ্দিন খান শাহজাহান, কুলিয়ারচর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান, জামিয়া আরাবিয়া নুরুল উলূম কুলিয়ারচর মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি আব্দুল কাইয়ুম খান, জামিয়া ছিদ্দিকিয়া বেতিয়ারকান্দি মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম মুফতি ওবায়দুল্লাহ আনোয়ার, বাজরা বাসস্ট্যান্ড মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ আমির উদ্দিন খান, আব্দুল্লাহপুর জগতচর মাদ্রাসার শায়খুল হাদীস মাওলানা বাহা উদ্দিন, মুহতামিম মাওলানা আসাদুল্লাহ, মাওলানা সুলাইমান মাদানী, মাওলানা আতাউর রহমান, গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়ন বিএনপি'র সভাপতি মো. মহসিন রানা বাদল, সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মো. মাসুদ আহমেদ, রামদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. মজনু মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মো. সাফি উদ্দিন প্রমূখ।