রাশিয়া
– ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যু এবং আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের মুল্য বৃদ্ধির
কারনে বাংলাদেশের বাজারে সয়াবিন তেলের মুল্য আকাশ সমান উচ্চতায় ঠেকেছে।
সরকার নির্ধারিত মুল্য ১৯৮ টাকা হলেও সয়াবিন তেলের বোতলজাত লিটার বিক্রি
হচ্ছে ২২০ টাকা থেকে ২৫০ টাকায়।
সয়াবিনের
এই মুল্য বৃদ্ধিতে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় মানুষ সরিষার তেলের দিকে
ঝুকতে শুরু করছে। এতে করে শিবচরে বেড়েছে সরিষার তেলের চাহিদা। উপজেলার
বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে তেলের মিলে সরিষার তেল কিনতে প্রায় সারাদিন ই
সাধারন মানুষ ভীড় করছেন। বাশকান্দি ইউনিয়নের মোল্লা অয়েলমিল পরিদর্শনে
গিয়ে কথা হয় গোলাম মোস্তফা নামের এক গ্রাহকের সাথে।
তিনি
বলে, ‘সয়াবিন তেলের দাম ম্যালা বাইড়া গেছে। হেইয়াও পাইতে কষ্ট হইয়া যায়।
এর চেয়ে ২৫০ টাকা দিয়া সরিষার তেল খাই। এই তেল পরিমানে ও কম লাগে। আমার
বাপ-দাদাগো দেখছি খাইতে। খাওনে অনেক স্বাদ হয়’। সয়াবিন তেল না খেয়ে কেন
সরিষার তেল খাওয়া ভালো এমন প্রশ্নের জবাবে মোল্লা অয়েল মিলের কর্নধার
আবুবকর সিদ্দিক মাসুম মোল্লা জানান, ‘সয়াবিনের দাম ক্রয়সীমার বাইরে চলে
গেছে। এতে বিকল্প হিসেবে মানুষ সরিষার তেলের দিকে ঝুঁকছে। রান্নায় সরিষার
তেল পরিমানে কম লাগায় খরচ ও কমে যায়। ৪ জন সদস্যের পরিবারে যদি প্রতি মাসে ১
হাজার টাকার সয়াবিন তেল লাগে তাহলে ওই পরিবারে ৭০০-৭৫০ টাকার সরিষার তেলেই
হয়ে যাবে’।
উল্লেখ্য,
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সয়াবিন তেলকে খাদ্য উপাদান হিসেবে গ্রহন করা হয়না।
ডাক্তারদের মতে সয়াবিন তেল হার্টের জন্য অনেক ক্ষতিকর। এতে শরীরে নানা রকম
অসুখ-বিসুখ দেখা দেয়। অন্যদিকে সরিষার তেলে কোন ক্ষতিকর উপাদান নেই। সরিষার
তেল খাদ্যের বিপাকীয় প্রকৃয়া বৃদ্ধি করে। এটি নিয়মিত গ্রহন করলে এসিডিটির
সমস্যা কমে যায়। তাছাড়া সরিষার তেল নিয়মিত শরীরে লাগালে বিভিন্ন প্রকার
চর্ম রোগ দূর হয়ে যায়।