আব্দুল মোমিন শেরপুর বগুড়া
আদালতের জামিন দেখিয়ে মুক্তি—ঘুষের অভিযোগ ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ বলছে পুলিশ
বগুড়ার শেরপুরে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ এক কর্মসূচিতে ককটেল হামলা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ আবু জাফর মজনুকে ঘুষের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে—এমন অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। তবে এই অভিযোগ ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ বলে দাবি করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ তোফাজ্জল হোসেন। একই ধরনের ব্যাখ্যা দিয়েছে বগুড়া জেলা পুলিশের মিডিয়া উইংও।
গত ৪ জুন (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিবাদলিপিতে এসআই তোফাজ্জল হোসেন জানান, গত ১ জুন ২০২৫ তারিখে তিনি মোঃ আবু জাফরকে শেরপুর উপজেলার ছোনকা বাজার এলাকা থেকে আটক করেন। আটকের পর আবু জাফর উচ্চ আদালতের জামিননামা উপস্থাপন করেন। যাচাই করে দেখা যায়, কাগজপত্র সঠিক। এরপর স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে তাকে তার পিতার জিম্মায় মুক্তি দেওয়া হয়। এসআই তোফাজ্জল দাবি করেন, এতে কোনো ঘুষ বা আর্থিক লেনদেনের বিষয় নেই। তিনি আরও বলেন, “একটি কুচক্রী মহল আমার পেশাগত ইমেজ নষ্ট করার চেষ্টা করছে। আমি নিয়ম মেনেই দায়িত্ব পালন করেছি।”
পুলিশের পক্ষ থেকেও এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়—এফআইআর নম্বর ২, তারিখ ০২ নভেম্বর ২০২৪ এবং জি.আর. কেস নম্বর ৩০৮/২০২৪-এর তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তোফাজ্জল হোসেন ১ জুন ২০২৫ তারিখে মামলার এজাহারভুক্ত ১৩৩ নম্বর আসামি মোঃ আবু জাফরকে ছোনকা বাজার গরুর হাটের সামনে থেকে আটক করেন। আটক হওয়ার পর আবু জাফর উচ্চ আদালতের জামিন আদেশনামা দেখান, যা যাচাই-বাছাই করে সঠিক পাওয়া যায়। এরপর তার পিতার জিম্মায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈনুদ্দিন বলেন, “আবু জাফর বর্তমানে উচ্চ আদালতের আদেশে আট সপ্তাহের জামিনে রয়েছেন। তাই তাকে নতুন করে গ্রেপ্তারের সুযোগ নেই। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কিছু ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে আমাদের বক্তব্য নেওয়া হয়নি। এতে পুলিশ বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে।”
তিনি সাংবাদিকদের প্রতি পেশাদারিত্ব বজায় রেখে সঠিক তথ্য যাচাই করে সংবাদ প্রকাশের আহ্বান জানান।
১ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ৫৩ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ৫৫ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ৩৯ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ১ মিনিট আগে
৬ ঘন্টা ৩৭ মিনিট আগে
৬ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
৭ ঘন্টা ৯ মিনিট আগে