ঝিনাইগাতীতে অতিরিক্ত ভাড়া, একটি পরিবহনকে জরিমানা আগামীকাল পবিত্র ঈদুল আযহা মধুপুর বাস ও মাহিন্দ্র মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ দু'জন নিহত পরিবেশ দিবসে কিশোরীদের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ চৌদ্দগ্রামে শহীদ জামশেদের পরিবারকে জামায়াতের ঈদ উপহার মোংলায় ২ হাজার কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন ও নেটজাল জব্দ ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন "বায়েজিদ হোসেন পিয়াস" লালপুরে জিএসডিও কুরআনের ছবক গ্রহণ বিনামৃল্যে কুরআন ও টুপি বিতারন কুরবানী | এস. এ. বিথী রহমান সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ইসলামপুরের বিভিন্ন গ্রামে আজ ঈদ উদযাপন কুষ্টিয়ায় সেনা অভিযানে সন্ত্রাসী লিপটন ও তার তিন সহযোগী আটক ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হোক মুসলমানদের জীবন- ইঞ্জিনিয়ার ইসমাইল হোসেন জয়পুরহাটে সেনাবাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধারসহ গ্রেপ্তার ৫ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে সরিষাবাড়ীর ১৬ গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপন ১০ কোটি টাকার বৈধ বালু মহাল ঘিরে প্রকাশ্যে স্পিডবোর্ডে অস্ত্রের মহড়া দেশবাসীকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানালেন ফরিদ উদ্দীন চৌধুরী সুনামগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামে ঈদ উপহার প্রদান করেছে আব্দুল্লাহ ফাউন্ডেশন শেরপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদল: ১৫ বছর পর নতুন কমিটি, ফিরে আসার আনন্দে উল্লাসিত নেতাকর্মীরা দৌলতদিয়া - পাটুরিয়া নৌরুটে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়লেও নেই ভোগান্তি

ইটিপি ছাড়াই চলছে অর্ধশত ডায়িংমিল, ভালুকার খরস্রোতা খিরু নদী অস্তিত্ব সংকটে।



ভালুকা (ময়মনসিংহ)প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ভালুকার ওপর দিয়ে বয়ে চলা ঐতিহ্যবাহী খরস্রোতা খিরু নদী অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে। ডায়িং মিলের দূষিত পানি মিশ্রিত বর্জ্য ও বালু ব্যবসায়ীদের তাণ্ডবে নদীর তলদেশ একেবারে ভরাট হয়ে গেছে। পরিবেশ অধিদফতর ও স্থানীয় প্রশাসনের রহস্যজনক নীরবতায় পৌর এলাকাসহ আশপাশে গড়ে ওঠা অপরিকল্পিত অর্ধশতাধিক ডায়িং কারখানার বর্জ্য পানি এই নদীতে পড়ছে। কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এসব কারখানা ইচ্ছামতো চালানো হচ্ছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে নদী পাড়ের সেচ নির্ভর হাজার হাজার একর আমন ও বোরোর আবাদ। তা ছাড়া কারখানার দূষিত বর্জ্যরে কারণে এ এলাকার মানুষ পেটের পীড়া ও চর্মরোগসহ নানা ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে; যা রীতিমতো জনস্বাস্থ্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ।

৯০ দশকের আগ পর্যন্ত ঐতিহ্যবাহী খিরু নদীটি ছিল নাব্যতায় পরিপূর্ণ। এই নদী দিয়ে বড় বড় বজরা নৌকা ও লঞ্চ চলাচল করত। এলাকার মানুষ এ নদীতে শৌখিনভাবে মাছ শিকার করত। দূর-দূরান্তের মানুষদের চলাচলের একমাত্র পথ ছিল খরস্রোতা এই খিরু নদীটি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ভালুকার বিভিন্ন এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে কলকারখানা ও ডায়িং মিল স্থাপনের পর থেকে বিষাক্ত বর্জ্যমিশ্রিত পানি ও পলি জমে এ নদীটি ভরাট হতে শুরু করে। তা ছাড়া বেশ কয়েক বছর ধরে কিছু প্রভাভশালী ব্যক্তি রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় নদীর দুই পাড়ে বালু স্তূপ আকার করে রেখে ব্যবসা করার কারণেও নদীটি ভরাট হয়ে যাচ্ছে।

ভালুকার খিরু সেতুর দক্ষিণ পাড়ে প্রায় দেড় যুগ আগে গড়ে ওঠা শেফার্ড গ্রুপের শেফার্ড ডায়িং ও টেক্সটাইল ফ্যাক্টরির বিষাক্ত বর্জ্য দিয়ে প্রথমে শুরু হয় নদীর দূষণ প্রক্রিয়া। সম্প্রতি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড খারুয়ালী গ্রামের গজারিয়া খালের কিছু অংশ দখল করে গড়ে উঠেছে গ্লোরি ডায়িং ফ্যাক্টরি। ওই ফ্যাক্টরিটির বর্জ্য শোধন যন্ত্র থাকলেও তা শুধু লোকদেখানোর জন্য। ওটি কখনো ব্যবহার করা

হয় না।

উপজেলার হাজিরবাজার এলাকায় সাবাব ডায়িং, তায়েপে বাংলা, এফ এম ডায়িং, কাঁঠালী এলাকায় আর্টি ডায়িং, কনজিউমার নিটেক্স, হবিরবাড়ি এলাকায় এসকিউ, স্কয়ার, বাদশা টেক্সটাইল ও ডায়িং, আরিফ টেক্সটাইল, এনভয় টেক্সটাইল, এনআরজি কম্পোজিট ইয়ার্ন ডায়িং, গৌরীপুর এলাকায় ঢাকা টেক্সটাইল, ভরাডোবা এলাকায় তাফরিদ কটন, মুলতাজিম, এক্সিপিরিয়েন্স টেক্সটাইল, মেদুয়ারী এলাকায় গ্রিণ টেক্সটাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা ডায়িং, কেমিক্যাল, ও কীটনাশক ফ্যাক্টরি স্থাপিত হয়েছে খিরু নদীর পাড়ে। এসব কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য লাউতি খালসহ বিভিন্ন খাল ও নালা বেয়ে প্রতিনিয়তই পড়ছে খিরু নদীতে। বেশ কিছু ফ্যাক্টরিতে ইটিপি থাকা সত্ত্বেও তা বন্ধ থাকে বলে এলাকার লোকজন জানান। এ ছাড়া এসব মিলের বিষাক্ত বর্জ্য ভূগর্ভের পানির স্তরে মিশে গিয়ে তা টিউবওয়েলের পানির সাথে ওপরে বেরিয়ে আসছে। যে পানি পান করে গ্রামে অসংখ্য মানুষ ডায়রিয়া ও চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

এ দিকে কিছু বালু ব্যবসায়ী বর্ষা এলেই ব্রহ্মপুত্র ও শীতলক্ষ্যা থেকে বালু এনে খিরু নদীর পাড়ে পাহাড়ের মতো স্তূপ করে রাখেন এবং পরবর্তী সুবিধাজনক সময়ে তা বিক্রি করেন। স্তূপ করে রাখা এসব বালুর কারণেও নদী নাব্যতা হারাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জেসমিন জাহান জানান, ডায়িং মিল নির্গত গাঢ় বর্জ্য মিশ্রিত পানিতে অ্যামুনিয়া অর্থাৎ ইউরিয়ার পরিমাণ বেশি থাকে; যে কারণে ধানগাছ খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে উঠলেও পাতাপচা রোগে ফলন নষ্ট হয়। এ ছাড়া ফ্যাক্টরি থেকে নির্গত বর্জ্য পানিতে কেমিক্যাল ও ধাতব পদার্থ থাকে, যা গাছের খাদ্য হিসেবে ধানে মিশে যায়। ওই ধানের চালের ভাত খেলে তা মানবদেহের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে) আবিদুর রহমান জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় যা যা করণীয় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা করা হবে।

Tag
আরও খবর

6842f7d4b4d94-060625081444.webp
আগামীকাল পবিত্র ঈদুল আযহা

১২ ঘন্টা ৫৪ মিনিট আগে