বাংলা নাটকের মহাকবি সেলিম আল দীন তার কর্মে বেঁচে থাকবে অনন্তকাল" আল দীনের ১৫তম প্রয়াণ দিবসে স্মরণ সভার আয়োজন করেছে সেলিম আল দীন চর্চা কেন্দ্র ফেনী। শনিবার সন্ধ্যায় আর্য সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মিলনায়তন কক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন সেলিম আলদীন চর্চা কেন্দ্র ফেনীর সাধারণ সম্পাদক রাজীব সারওয়ার।
নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন চর্চা কেন্দ্র ফেনী জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক শামীমের সঞ্চালনায়
স্মরণসভায় অতিথির বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ফেনী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সমর দেবনাথ, ফেনী থিয়েটার'র সাবেক প্রধান সমন্বয়কারী নাট্য ব্যক্তিত্ব কাজী ইকবাল আহমেদ পরান।
স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহকারী সাংস্কৃতিক সম্পাদিকা তাহমিনা তোফা সীমা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলমগীর মাসুদ, সোনাগাজী শাখার আহবায়ক আব্দুর রহমান সুজন, যুগ্ন আহবায়ক আক্রামুল হক সোহাগ, কবি ও লেখক আব্দুস সালাম ফরায়েজী, কবি ও লেখক ইমরান ইমন প্রমুখ।
স্মরণসভায় সংগঠনের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আরিফুল আমিন রিজভী, অর্থ সম্পাদক ফজলুল হক রনি, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম, দপ্তর সম্পাদক সুরঞ্জিত নাগ, নির্বাহী সদস্য দীপঙ্কর শীলসহ সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন ছিলেন।
স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে সেলিম আল দীনের। তিনি নাটকের আঙ্গিক ও ভাষার উপর গবেষণা করে স্মরণীয় হয়ে আছেন। বাংলা নাটকের শিকড় সন্ধানী এ নাট্যকার ঐতিহ্যবাহী বাংলা নাট্যের বিষয় ও আঙ্গিক নিজ নাট্যে প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলা নাটকের আপন বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরেছেন।
নাটকে তিনি বলেছেন, মানুষের কোনো আলাদা পরিচয় ও ঠিকানা নেই। এই পরিচয় ও ঠিকানা না থাকলে তার জাতও থাকে না।
বক্তারা আর বলেন, নাট্যাচার্য তাঁর কর্মে বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল।
নাট্যকারের জীবনী থেকে জানা যায়, নাট্যকার সেলিম আল দীনের জন্ম ১৯৪৯ সালের ১৮ আগস্ট, ফেনী জেলার সোনাগাজীতে। তিনি ছিলেন বাবা-মায়ের তৃতীয় সন্তান। বাবা ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা। সেই সূত্রে ঘুরেছেন বহু জায়গায়।
লেখক হবেন এমন স্বপ্ন তিনি ছেলেবেলা থেকেই দেখেছেন। এ বিষয়ে তিনি পাকা সিদ্ধান্ত নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর। লেখক হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯৬৮ সালে। সে বছর কৃষ্ণাঙ্গদের নিয়ে তার একটি প্রবন্ধ দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ই তিনি নাটকে জড়িয়ে পড়েন, যুক্ত হন ঢাকা থিয়েটারে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রতিষ্ঠা সেলিম আল দীনের হাত ধরেই। ঢাকা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সেলিম আল দীন ১৯৮১-৮২ সালে নাট্য নির্দেশক নাসির উদ্দিন ইউসুফকে সাথী করে গড়ে তোলেন গ্রাম থিয়েটার।
সেলিম আল দীন ১৯৮৪ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। ২০০২ সালে পান কথাসাহিত্য পুরস্কার। ১৯৯৪ সালে তিনি নান্দিকার পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৪ সালে শ্রেষ্ঠ টেলিভিশন নাটক রচয়িতার পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি পান শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার পান ২০০১ সালে। সেলিম আল দীন বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্মানীয় পুরস্কার একুশে পদক লাভ করেন ২০০৭ সালে। ১৯৯৫ সালে তিনি মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যে নাটক এর উপর গবেষণা করে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।
২০০৮ সালের ১৫ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন বাংলা নাটকের কালপুরুষ সেলিম আল দীন
১ ঘন্টা ৩ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ২২ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ৩৪ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ৩৮ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ৪০ মিনিট আগে
২ ঘন্টা ১২ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে