লালপুরে পদ্মার চরে চীনা বাদামের বাম্পার ফলন পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়ন জামায়াতের কর্মী বৈঠক সম্পন্ন চাটখিলের কৃতি সন্তান টিপুর রেইনহ্যামে ক্রিকেট গল্প ডোমারে ইউএনআইপি'র বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত ডোমারে প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতাল সিলগালা, গ্রেপ্তার-৩ আশাশুনিতে মাদক ব্যবসায়ী ও জুয়াড়ি খোকন গাঁজাসহ গ্রেফতার মোংলা বন্দরে আসলো ভারত থেকে দুই জাহাজ চাল কালিগঞ্জে গৃহবধূর জমি দখলের অভিযোগ, নিরাপত্তাহীনতায় এক পরিবার লালপুরে আ.লীগ নেতা মঞ্জু হত্যার প্রধান আসামি টুমণ গ্রেফতার। গুচ্ছে নিকটস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ে করা যাবে প্রাথমিক ভর্তির নিশ্চয়ন, ভর্তি শুরু ২২জুন বরিশালে কিশোর গ্যাং বাহিনীর হামলা চার শিক্ষার্থী আহত, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত দ্রুত ইসিকে জানান, সরকারের প্রতি সালাহউদ্দিন সাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভায় অনুষ্টিত সুন্দরবনে প্রবেশে ৩ মাসের নিষেধাজ্ঞা, অভাবে ধুঁকছে বনজীবিদের পরিবার সাতক্ষীরায় ২২ দিনেও সন্ধান মেলেনি ইটভাটা ব্যবসায়ীর ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস গুম প্রতিরোধে এক মাসের মধ্যে আইন, গঠিত হচ্ছে শক্তিশালী কমিশন সাতক্ষীরায় জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সভা তাণ্ডবে পাইরেসির হানা ট্রাক মালিককে হয়রানির অভিযোগে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে

সেহরি খাওয়া কী?

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 25-03-2023 06:18:54 am

রোজার জন্য শেষ রাতে সেহরি খেতে হয়। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাতের শেষভাগে সেহরি খেতে বলেছেন। তা পরিমাণে অল্প হলেও খাওয়া। কিন্তু রোজার জন্য সেহরি খাওয়া কী?


রোজার জন্য সেহরি খাওয়া মুস্তাহাব। যে ব্যক্তি তা ইচ্ছাকৃত না খায়, এ জন্য সে গুনাহগার হবে না। এ কারণে যদি কেউ ফজরের পর জাগে এবং সেহরি খাওয়ার সময় না পায়, তাহলে তার জন্য রোজা রেখে নেওয়া জরুরি। এতে তার রোজার কোনো ক্ষতি হবে না।


বরং ক্ষতি হবে তখন, যখন সে কিছু খেতে হয় মনে করে তখনই (ফজরের পর) কিছু খেয়ে ফেলে। সে ক্ষেত্রে তাকে সারাদিন পানাহার ইত্যাদি থেকে বিরত থাকতে হবে এবং রমজানের পরে এ দিনের রোজা কাজা করতে হবে।


রোজার জন্য সেহরি খাওয়া উত্তম। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম উম্মতকে বিভিন্ন কথার মাধ্যমে সেহরি খাওয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছেন। তিনি সেহরিকে বরকতময় খাদ্য বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘তোমরা সেহরি খাও। কারণ, সেহরিতে বরকত আছে।’ (বুখারি ১৮২৩, মুসলিম ১০৯৫)


নবিজি আরও বললেন, ‘তোমরা সেহরি খেতে অভ্যাসী হও। কারণ, সেহরিই হল বরকতময় খাদ্য।’ (মুসনাদে আহমাদ, নাসাঈ)


হজরত ইরবায বিন সারিয়াহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, একদিন রমজানে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে সেহরি খেতে ডাকলেন; বললেন, ‘বরকতময় খানার দিকে এস।’ (মুসনাদে আহমাদ, আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনে হিববান,  ইবনে খুযাইমা)


সেহরিতে বরকত থাকার মানে হল, সেহরি রোজাদারকে সবল রাখে এবং রোজার কষ্ট তার জন্য হাল্কা করে। আর এটা হল শারীরিক বরকত। পক্ষান্তরে শরয়ি বরকত হলো, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদেশ পালন এবং তাঁর অনুসরণ।’


নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই সেহরির গুরুত্ব বর্ণনা করতে গিয়ে তা দিয়ে মুসলিম ও আহলে কিতাব (ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের) রোজার মাঝে পার্থক্য চিহ্নিত করেছেন। তিনি অন্যান্য ব্যাপারে তাদের বিরোধিতা করার মত তাতেও বিরোধিতা করতে মুসলিম উম্মাহকে আদেশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের রোজা ও আহলে কিতাবের রোজার মাঝে পার্থক্য হল সেহরি খাওয়া।’ (মুসলিম ১০৯৬, আবু দাউদ ২৩৪৩)