অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়নের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চেঙ্গুটিয়া বুড়োর দোকান থেকে বাহিরঘাট স্কুল পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তাটি এখন চরম জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।
জনগুরুত্বপুর্ণ এই রাস্তা ব্যবহার করে চলতে হয় অত্র এলাকার অনেক প্রতিষ্ঠান। তার মধ্যে প্রেমবাগ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, চাঁপাতলা চেঙ্গুটিয়া আলিম মাদ্রাসা, বাহিরঘাট মেছেরিয়া দাখিল মাদ্রাসা, বাহিরঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ অসংখ্য মসজিদ, মন্দির সামাজিক প্রতিষ্ঠান। দূর দূরান্ত থেকে এসব প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুবাদে এই রাস্তা ধরেই সকলের আসা যাওয়া করতে হয়। গ্রীষ্মকালে যেমন ধুলাবালিতে কাপড় চোপড় নষ্ট হয়ে যায়, তেমনি বর্ষা মৌসুমে বাহিরঘাটের এই রাস্তাটি কাঁদায় পরিপূর্ণ থাকায় আমাদের জন্য অভিশাপ হয়ে উঠেছে চলাচলের জন্য। কথাগুলো বলেনএকজন স্কুল শিক্ষক। রাস্তা সংস্কারের কোন উদ্যোগই নেই কর্তৃপক্ষের। আক্ষেপ করে ভ্যানচালক ইকরামুল হক বলেন এত খারাপ হয়েগেছে রাস্তাটি জাগায় জাগায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায়,আমার ভ্যানের ফর ভেঙ্গে গেছে।
স্বাধীনতার পর থেকে এই রাস্তা নিয়ে কেউই আর ভাবেনী, সাবেক এম পি আমিন উদ্দিন এর সময় এই রাস্তায় কিছুদুর পর্যন্ত ইটের সলিং হলে ও তার পর থেকে আজ পর্যন্ত এ রাস্তার কোন সংস্কার বা উন্নয়ন হয়নি।রাস্তা এমন হয়েছে কাদা ও গর্ত পিচিল, চলতে গেলেই কোন না কোন দুর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে পথচারীদের। বাহিরঘাট, চাপাতলা,চেঙ্গুটিয়া, পালপাড়া পাকেরগাতী, নগরঘাট,সদরের সিবানন্দপুর,জগন্নাথপুর সহ প্রায় অনেক গ্রামের মানুষ, পশুপাখি, বিভিন্ন ধরনের কাচা মাল,তরকারি, পাট,আখ সহ বিভিন্ন মালামাল বহনের এই রাস্তা একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে চলাচলের জন্য। এবিষয়ে প্রেমবাগ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন বলেন ঐ রাস্তারটির কারনে জনদুর্ভোগ বেড়েছে, কিন্তু বুড়োর দোকান থেকে একটি পিচের রাস্তার টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ, খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে নগরঘাট পিচের রাস্তার সাথে মিশেছে। তবে পর্যায়ক্রমে বুড়োর দোকান থেকে বাহিরঘাট স্কুল রাস্তাটি সংস্থার করা হবে। অভয়নগর উপজেলা প্রকৌশলী এ,এম ইয়াফি বলেন,অভয়নগর উপজেলার বিভিন্ন কর্নারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা রয়েছে। প্রেমবাগ ইউনিয়নের বুড়োর দোকান থেকে বাহিরঘাট স্কুল রাস্তাটির বিষয়ে আমার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অবহিত করেছি। জন গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি খুব দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।