সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর শহরের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত নলজুর নদীর ওপর ডাকবাংলো ব্রিজটিতে গত ৩/৪ দিনের টানা ভারী বৃষ্টিপাতে নদ-নদী, হাওর ও খাল বিলের পানি বৃদ্ধি পায়। পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে স্রোতে ভেসে আসা কচুরিপানা নলজুর নদীর ওপর অবস্থিত ডাকবাংলো ব্রিজের নীচে স্তুপ হয়ে থাকায় পানি চলাচলে বিঘ্নসৃষ্টি হয়।
যার কারনে জগন্নাথপুর পৌর শহরের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত নলজুর নদীর ওপর অস্থায়ীভাবে মেরামত করা ডাকবাংলো ব্রিজটি এখন চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। যে কোন সময় ব্রিজটি দেবে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্নসহ মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয় লোকজন জানান।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় - ব্রিজটি দেবে যাওয়া অংশে আরো দাবীত হয়েছে, গতকাল সকালের ভূমিকম্পের কারনে মাঝঅংশে পাটল দেখা দিয়েছে, বর্তমানে ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় যানবাহন চলাচল হুকমির মুখে পড়েছেন। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে জগন্নাথপুর পৌর শহরের নলজুর নদীর উপর নির্মিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন ব্রিজটি দেবে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এলাকাবাসী জানান, জগন্নাথপুর নলজুর নদীর উপর এরশাদ সরকারের আমলে নির্মিত হয় ২টি ব্রিজ। এর মধ্যে শহীদ মিনার সংলগ্ন ব্রিজটি এলাকাবাসীর অর্থায়নে কাজ শুরু করলে পরবর্তীতে সরকারি অর্থায়নে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। জগন্নাথপুর উপজেলা সংলগ্ন ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ ও সরো থাকায় উক্ত ব্রিজটি ভেঙ্গে নতুন ব্রিজ নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। যার ফলে বিকল্প রাস্তা দিয়ে জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করছেন কর্তৃপক্ষ। ডাকবাংলা ব্রিজ দিয়ে যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেলে পৌর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে প্রায় ৬ মাস পর স্টিলের পাটাতন দিয়ে ব্রিজটি সচল করে দেয়া হয়। অধ্যবদি পর্যন্ত এ ব্রিজ দিয়ে জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচল করছে।
৬নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলার গিয়াস উদ্দিন বলেন কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাত ও আজ সকালের ভূমিকম্পের কারনে নতুন পাটল দেখা দিয়েছে, বর্তমানে ব্রীজটিতে যানচলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে, যে কোন সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমি নিজে দেখেছি, তাই উপজেলা প্রশাসন সহ জরুরী ভিত্তিতে ব্রিজটি মেরাত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
৬নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলার কৃষ্ণ চন্দ্র চন্দ বলেন পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে স্রোতে ভেসে আসা কচুরিপানা ব্রিজের নীচে স্তুপ হয়ে থাকায় পানি চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। ১/২ দিনের মধ্যে স্রোতে ভেসে আসা কচুরিপানার স্তুপ সরানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, ইতিমধ্যে কচুরিপানা সরানোর কাজ চলমান রয়েছে। #
৪ দিন ২ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে
১২ দিন ১২ ঘন্টা ৫৮ মিনিট আগে
২৬ দিন ১৯ ঘন্টা ১২ মিনিট আগে
৩০ দিন ৬ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে
৩৩ দিন ৭ মিনিট আগে
৩৫ দিন ১ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে
৩৫ দিন ১ ঘন্টা ৩৮ মিনিট আগে
৩৫ দিন ২২ ঘন্টা ২৭ মিনিট আগে