আশাশুনিতে যুবদলের সভাপতি কর্তৃক জামায়াত কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক মামলা প্রত্যাহার ও প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বেলা ১১টায় উপজেলার টেকাকাশিপুর খেয়াঘাট এলাকায় ৯নং ওয়ার্ড জামায়াতের উদ্যোগে এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওঃ মোশাররফ হোসেন, কাদাকাটি ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আবু বকর সিদ্দিক, পেশাজীবী বিভাগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা সরদার, যুব বিভাগের সভাপতি ইউনুছ আলী, আকবর আলী, সোনাভান বিবি, মনিরা বেগম প্রমুখ। বক্তাগণ বলেন, গত ২০ মার্চ সকালে টেকাকাশিপুর গ্রামের দাউদ সানার স্ত্রী সোনাভান বিবির সাথে পার্শ্ববর্তী আব্দুস সালামের জমির সীমানা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি নিয়ে কাদাকাটি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আব্দুল করিম সানা ঘটনাস্থলে এসেই সালামের পক্ষ নিয়ে সোনাভানের উপর হামলে পড়ে রক্তাক্ত জখম করে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসার জন্য বিকালে বসাবসির উদ্যোগ নিলে করিম সানা তার দলবল নিয়ে ফের হামলা করে। এতে সোনাভানের ছেলে কোহিনূর, আইনুর ও শাহিনুর বেধড়ক মারপিটের শিকার হয়ে রক্তাক্ত জখম হয়। গ্রামের মুরুব্বিরা থানায় না গিয়ে শান্তি পূর্ণ ভাবে মিমাংসার কথা বলেন, কিন্তু করিম সানা মামলার বাদীকে ভুল বুঝিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারসহ জামায়াতের ১২ কর্মী সমর্থকের বিরুদ্ধে বিএনপির অফিস ভাংচুর, সালামের স্ত্রী শেফালীর বাচ্চা নষ্ট করার মত ঘৃণ্য ও মিথ্যা অভিযোগ তুলে থানায় মিথ্যা এজাহার দায়ের করিয়ে নেয়। গ্রামের মহিলারা বলেন, করিম সানা লম্পট প্রকৃতির। সে দীর্ঘ দিন ধরে অসৎ উদ্দেশ্যে সালামের বাড়িতে যাতায়াত করে। মামলার পর থেকে তার লোকজন রাতে মহিলাদের উত্যক্ত করে যাচ্ছে। তাদের ভয়ে ভুক্তভোগিরা বাড়ি থেকে বের হতে পারছেনা।
বক্তাগণ মিথ্যা মামলা থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সহ জামায়াতের ১২ নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে অব্যাহতি দিতে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।