নোয়াখালীর সদর উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিত ভাবে ৪ লাখ টাকা চুক্তিতে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছিলো নোয়াখালীর সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নে সিএনজি অটোরিকশা চালক আবদুল হাকিমকে (৩৫)।
এই ঘটনায় ৮ জনকে গ্রেফতার করেছেন পুলিশ । উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে ১২ জন সরাসরি জড়িত ছিল বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
১৩ মার্চ সোমবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সিএনজিচলিত অটোরিকশার চালক হাকিম হত্যাকাণ্ডের এভাবে বিবরণ দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।
পুলিশ সুপার আর বলেন, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে সিএনজিচলিত অটোরিকশা টি জমা দেওয়ার কথা বলে চালক হাকিমকে তার বাড়ি পশ্চিম চরমটুয়ার সফিগঞ্জ বাজারের পাশে ডেকে নিয়ে যান অটোরিকশার মালিক মহিম।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সেখানে ওঁৎ পেতে ছিলেন কামাল, রিপু, মমিন ও নুর আলম। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগে মহিমসহ অন্য আসামিরা আবদুল হাকিমকে মুখ ও হাত-পা বেঁধে সফিগঞ্জ বাজারের দক্ষিণ পাশের ইদ্রিস মিয়ার বাড়ির পাশ্ববর্তী একটি সয়াবিন ক্ষেতে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে তাকে গলা কেটে হত্যার পর মরদেহটি রেকসিনের বস্তায় ঢুকিয়ে ওই ক্ষেতের মধ্যে গর্ত করে মাটি চাপা দিয়ে চলে যান। পরদিন সকালে চাষিরা বিষয়টি দেখতে পেয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রুবিনা বেগম বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায় ইতোমধ্যে ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ জন আসামি হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীসহ অপর আসামিদের গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।
৩১৩ দিন ২১ ঘন্টা ৬ মিনিট আগে
৩১৫ দিন ১ ঘন্টা ৭ মিনিট আগে
৩১৫ দিন ৫ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে
৩১৬ দিন ২২ ঘন্টা ৫০ মিনিট আগে
৩১৬ দিন ২৩ ঘন্টা ৬ মিনিট আগে
৩১৮ দিন ১ ঘন্টা ৫৫ মিনিট আগে
৩২০ দিন ৩ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে
৩২০ দিন ৩ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে