চট্টগ্রাম নগরীর জামালখানে শিশু মারজানা হক বর্ষা খুনের মূল অপরাধী ধরা পড়েছে। গত ২৪ অক্টোবর বাসা থেকে টাকা নিয়ে চিপস কিনতে গিয়ে নিখোঁজ হয় বর্ষা। স্বজনরা অনেক খোঁজাখুঁজি ও মাইকিং করে হদিস পায়নি তার। এর তিনদিন পর জামালখানের শিকদার হোটেলের পাশের গলিতে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তার মরদেহ। এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নালা থেকে মরদেহ উদ্ধারের পর রাতে সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদে এ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে নেয় জামালখানের মুদি দোকানির কর্মচারী লক্ষ্মণ। বর্তমানে জামালখানে সেই মুদি দোকান বন্ধ রয়েছে। অথচ সেই মুদি দোকান থেকে চিপস কিনতে যায় শিশু বর্ষা।
জানা গেছে, বর্ষা চিপস কিনে বাসায় ফেরার সময় ফুঁসলিয়ে মুদির দোকানের গোডাউনেৃ নিয়ে যায় কর্মচারী লক্ষ্মণ দাশ। গোডাউনে নিয়ে ধর্ষণ করে ওই কর্মচারী, পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় শিশু বর্ষাকে।
চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কোতোয়ালী থানার অফিসারদের নিয়ে একাধিক টিম গঠন করা হয়। ভিকটিমের মৃতদেহ ড্রেনে পাওয়ার পর যখন বস্তা কেটে বের করা হয় তখন আমাদের নজরে আসে বস্তাতে টিসিবির সিল আছে। টিসিবির সেই সিলকে টার্গেট করি। এরপর টিসিবির সিলযুক্ত বস্তায় মালামাল বিক্রির দোকান ও আশেপাশের বিভিন্ন রেস্তোরার গোডাউনে টিসিবির সিলযুক্ত বস্তা খুঁজতে থাকি। একপর্যায়ে শ্যামল স্টোরের দোকানের গোডাউন চেক করার সময় একটি ইনটেক টিসিবির সিলযুক্ত বস্তা খুঁজে পাওয়া যায়। টিসিবির সিলযুক্ত বস্তাকে টার্গেট করে ওই দোকানের মালিক ও কোন কোন কর্মচারী কাজ করে তাদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করি। ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করি। টিসিবির সিলযুক্ত বস্তা ও সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনায় আসামি লক্ষ্মণ দাশকে শনাক্ত করি। এরপর জামালখান এলাকার শ্যামল স্টোরের দোকানের গোডাউনে অভিযান চালিয়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামি লক্ষ্মণ দাশকে শুক্রবার রাত ১টার দিকে গ্রেপ্তার করি।
এদিকে জিজ্ঞাসাবাদে পিশাচ লক্ষ্মণ জানায়, বর্ষকে সে বিভিন্ন সময়ে দোকান থেকে চিপস-চকলেট দিত। ঘটনার দিন সে ভিকটিমকে ১০০ টাকা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে গোডাউনের ভেতর নিয়ে যায়। এরপর চৌকিতে বসিয়ে ভিকটিমের কাপড় খুলে ফ্লোরে থাকা পেঁয়াজের খোসার ওপর রাখে। পরে সে ভিকটিমকে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে।ধর্ষণের সময় ভিকটিমের যৌনাঙ্গ থেকে রক্তপাত হওয়ায় লক্ষ্মণ ভয় পেয়ে ভিকটিমের মুখ এবং নাক চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে খুন করে। এরপর গোডাউনে রাখা টিসিবির সিলযুক্ত প্লাস্টিকের বস্তার ভেতরে ভিকটিমের লাশ ভরে। বস্তাবন্দী লাশটি সে বাইরে এনে গোডাউনের ডান পাশের দেয়াল সংলগ্ন ড্রেনে ফেলে দেয়। এর কিছুক্ষণ পরে সে ভিকটিমের কাপড়চোপড় পেঁয়াজের খোসার বস্তার ভেতর খোসাসহ ঢুকিয়ে বস্তাটি একই ড্রেনে ফেলে দেয়। সবশেষে সে ভিকটিমের স্যান্ডেল নিয়ে ড্রেনে ফেলে দেয়।
১৯ দিন ১৭ ঘন্টা ৪৬ মিনিট আগে
২২ দিন ১৭ ঘন্টা ৪৬ মিনিট আগে
৭৫ দিন ২২ ঘন্টা ৬ মিনিট আগে
৭৮ দিন ২ ঘন্টা ৩৭ মিনিট আগে
৮০ দিন ২০ ঘন্টা ৩৭ মিনিট আগে
৮০ দিন ২১ ঘন্টা ৫০ মিনিট আগে
১০২ দিন ১৯ ঘন্টা ১১ মিনিট আগে
১০৩ দিন ২০ ঘন্টা ১৮ মিনিট আগে