অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে কক্সবাজার সদরের খরুলিয়া তালিমুল কোরআন মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল আমিনের পদত্যাগসহ ২২ দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের খরুলিয়া চেয়ারম্যানপাড়া এলাকায় মাদ্রাসা সড়কের সামনে সড়ক অবরোধ করে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
দুপুর ১ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিলুফা ইয়াসমিন চৌধুরীর আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা সড়ক ছেড়ে দেয়।
এ সময় ‘জেগেছেরে জেগেছে, রক্তে আগুন জেগেছে’,‘হাসিনা গেছে যে পথে, আমিন যাবে সেই পথে’,‘এক দফা এক দাবি, সুপারের পদত্যাগ’ ইত্যাদি স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। অবরোধ চলাকালে সড়কের দুইপাশে শত শত যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকে। এতে সড়কের দুইদিকে প্রায় চার কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয় এবং যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন।
বক্তব্য দেন শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইসমাইল, শামীম, সুরাইম, জান্নাতুল নাইম, নয়ন, সামিয়া প্রমুখ।
শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রধান শিক্ষক আল আমিন মাদ্রাসাটিকে নিজের পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে রুপান্তরিত করেছেন। মাদ্রাসাটিকে দুর্নীতির আঁতুড়ঘরে পরিণত করেছেন। সবকিছুই টেন্ডার ছাড়াই বিক্রি করেছেন। ফরম পূরণ ও রেজিস্ট্রেশনে বেশি টাকা নেন। নিয়োগ বাণিজ্যের লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেন তারা।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, পরিবারের সবাইকে চাকরির নামে বেতন নেন প্রধান শিক্ষক। শিক্ষার বিষয়ে ঠিকমতো তদারকি করেন না। এত বড় প্রতিষ্ঠানে নাইটগার্ডের কাছ থেকেও ঘুষ নেন তিনি। প্রতিবাদ করতে গেলে উল্টো হুমকি-ধমকি দেন প্রধান শিক্ষক।
অবরোধকারীরা দাবি করেন, প্রধান শিক্ষক আল আমিন মাদ্রাসাটির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মিলে প্রভাব খাটিয়ে তাদের পরিবারের সাতজনকে নিয়োগ দিয়েছেন। এতে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট হওয়ায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছেন।
মাদ্রাটির পাশের গ্রামের বাসিন্দা আয়াস বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে ব্যবস্থাপনা কমিটির কোনো নির্বাচন করা হয়নি। প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয় সভাপতি মিলে তাদের পরিবারের সাতজনকে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিয়েছেন।
এদিকে কক্সবাজার জেলা শিক্ষা অফিসার মো. নাসির উদ্দিন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান তিনি।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেনাবাহিনীসহ সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি আমলে নেওয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা তাদের ক্লাসে ফিরে যান এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ সময় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফয়জুল আজিম নোমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে ইউএনও মহোদয় শিক্ষার্থীদের সাথে বসেছে। আমরা আপাতত সড়ক যানজটমুক্ত করে যান চলাচল স্বাভিক করেছি।
এবিষয়ে জানতে মাদ্রাসাটির প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল আমিনের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি
১ দিন ১৫ ঘন্টা ৪১ মিনিট আগে
১০ দিন ১৮ ঘন্টা ১৭ মিনিট আগে
১২ দিন ১৭ ঘন্টা ৫৯ মিনিট আগে
১৬ দিন ২০ ঘন্টা ১৮ মিনিট আগে
১৬ দিন ২০ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে
৩২ দিন ৭ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
৩৪ দিন ১৮ ঘন্টা ৫৮ মিনিট আগে
৩৪ দিন ২০ ঘন্টা ১৬ মিনিট আগে