তীব্র তাপদাহের কারণে দিনদিন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে জনজীবন। তীব্র এ তাপপ্রবাহের কবলে পড়েছে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোও। এই গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রোগেরও। ঘর থেকে বের হলেই পুড়ে যাচ্ছে শরীর। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রাস্তা-ঘাট।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে তেমন কোনো গাছপালা নেই। ত্রিপলের ছাউনিতে ঢাকা ছোট্ট ঘরে পর্যাপ্ত ফ্যানের ব্যবস্থা ও নেই। যার ফলে নারী-শিশু ও বৃদ্ধরা এই গরমে অস্বস্তিতে পড়েছে।
এছাড়াও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাড়ছে জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগ। এ গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা ডাব কিংবা শরবতের দোকানে গিয়ে পিপাসা মিটানোর হিড়িক পড়েছে বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে।
মোহাম্মদ রফিক নামে এক রোহিঙ্গা বলেন, ক্যাম্পের গরমে অস্থির জন-জীবন। তাই একটু প্রশান্তির আশায় গাছতলায় এসে বসেছি। প্রকৃতিকে শান্ত-শীতল করতে বৃষ্টির জন্য আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি। কিন্তু বৃষ্টির দেখা মিলছে না।
শফিক নামে আরেক রোহিঙ্গা বলেন, আমাদের ঘর গুলো ত্রিপলের ছাউনিতে ঢাকা। এ গরমে ঘরে থাকাও কষ্টকর। পর্যাপ্ত ফ্যানের ব্যবস্থা নেই। ক্যাম্পের ভিতর গাছপালা ও নেই। আমরা খুব কষ্টে আছি।
এনজিও কর্মী রাশেদ জানান, চলমান তাপপ্রবাহে হাঁসফাঁস জন-জীবন। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কার্যক্রম। গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়, ছায়া দেয়। এই উপকারী গাছও মানুষ কেটে টুকরো টুকরো করে। আমাদের আরো সচেতন হতে হবে। বেশি বেশি গাছ রোপণ করতে হবে।
এদিকে উখিয়ার বিভিন্ন হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু ও বয়স্করা। ডাক্তাররা বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হতে পরামর্শ দিচ্ছেন। সেই সাথে বেশি বেশি পানি পান করতে বলছেন। সুতি কাপড় পরিধান করার পাশাপাশি শিশু বয়স্ক ও গর্ভবতী মায়েদের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন। তীব্র গরমে প্রতিদিনই গড়ে অর্ধশত শিশু ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালগুলোতে।
এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি ও তরল খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
৪ দিন ২১ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে
৯ দিন ৪ ঘন্টা ৬ মিনিট আগে
১৩ দিন ২৫ মিনিট আগে
১৪ দিন ২১ ঘন্টা ৪২ মিনিট আগে
১৫ দিন ৪ ঘন্টা ২ মিনিট আগে
১৬ দিন ২১ ঘন্টা ১৮ মিনিট আগে
২০ দিন ১৯ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
২২ দিন ৪ ঘন্টা ৫ মিনিট আগে