উপজেলা নির্বাচন: প্রথম ধাপে বৈধ এক হাজার ৭৮৬ প্রার্থী চুক্তি-ভিত্তিক চাকরির সুযোগ দিচ্ছে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র আজ জুমা বার, আজকের দিনে যেসব কাজ ভুলেও করবেন না কবে আসছেন ডি মারিয়া, যা জানা গেল গরমে গোড়ালি ফাটলে যা করবেন! এবার অর্থ লেনদেনের অভিযোগ নিপুণের বিরুদ্ধে ঢাকায় চীনের ভিসা সেন্টার চালের বস্তায় জাত, দাম উৎপাদনের তারিখ লিখতেই হবে গ্রিসের দূতাবাস হচ্ছে বাংলাদেশে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী কলমাকান্দায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত গোদাগাড়ীতে রুহল হত্যা মামলার প্রধান আসামী আ.লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ২ ফরিদপুর সদর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত, একাধিক ব্যক্তি আহত জাতীয় কন্ঠশিল্পী সিলেটের পাগল হাসান আর নেই -! বিশ্বনাথে ‘প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শণী’র উদ্বোধন শেরপুরে প্রাণি সম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী উদ্বোধন পলাশে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী -২০২৪ ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান পালিত শাজাহানপুরে পালিত হলো প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী সুবর্ণোৎসবে আত্মস্মৃতি হাতীবান্ধায় প্রাণীসম্পদ দায়সারা প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত আক্কেলপুরে দিন ব্যাপী প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত

পর্তুগালের উচ্চ শিক্ষার বিস্তারিত তর্থ্য

পর্তগালে কেন পড়তে যাবেনঃ

আটলান্টিক মহাসাগরের দক্ষিন পশ্চিম তীরে অবস্থিত ইউরোপীয় দেশ পর্তুগাল। এই পর্তুগালের রাজধানীর নাম হচ্ছে লিসবন। এটি হচ্ছে পর্তুগালের সব থেকে বড় শহর। এই পর্তুগালের ভাষা হচ্ছে পর্তুগীজ এবং মুদ্রা হচ্ছে ইউরো। প্রাচীন কালে এই দেশ শক্তিতে ও বুদ্ধিতে খুব সম্মৃদ্ধ ছিল। ১৬০০ শতাদ্বীতে এই শহরে ভাটা পরে যায়। এই পর্তুগালের আয়তন ৯২,২১২ বর্গ কিলোমিটার। এই দেশের জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৩ লাখ।

কোর্স ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনঃপর্তুগালে অনেক উন্নতমানের বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এই সব বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনি masters, diploma, bachelor, PhD ছাড়াও অনেক কোর্স করতে পারবেন। এছাড়া এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে বিভিন্ন subject যেমন, science, economics, accounting, medical, engineering সহ বিভিন্ন ধরনের কোর্স। তবে আপনি মনে রাখবেন বেশি ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্তুগীজ ভাষায় অফার করা হয়ে থাকে। তাই কোর্স বা বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই করার আগে দেখে নেবেন সেখানে পর্তুগীজ নাকি ইংরেজি ভাষায় কোর্স অফার করা হয়েছে।

যোগ্যতাঃ পর্তুগালে পড়াশুনার জন্য সবারেই অনেক পছন্দ। তার কারন পর্তুগালে পড়াশুনার জন্য কাউকে ইংরেজি পারদর্শিতার জন্য কোন সার্টিফিকেট দেওয়া হয় না। তাই যারা IELTS skills এর জন্য চিন্তা করছেন। তাদের জন্য এই দেশ উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের অন্যতম দেশ হিসাবে পরিচিত। যদি আপনার ইংরেজিতে কথা বলার দক্ষতা ও সার্টিফিকেট থাকে তাহলে আপনার ভিসা পাওয়ার জন্য বেশি যোগ্য হিসাবে বিবেচিত হবেন। পর্তুগালে ব্যচেলর প্রগ্রামে অংশ গ্রহন করার জন্য উচ্চ মাধ্যমিক এবং masters এ আবেদনের জন্য চার বছরের ব্যচেলর আর PhD এর জন্য দুই বছরের masters করতে হবে।

এবার আলোচনা করা যাক আবেদনের সময়সীমা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কেঃ

আবেদনের সময়সীমা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ পর্তুগালে বছরে দুই বার সেশন হয়ে থাকে। প্রথম আবেদন শুরু হয় নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী আর দ্বিতীয়টির আবেদন শুরু হয় এপ্রিল থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত। প্রথমে আপনাকে online এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করতে হবে আর online এর মাধ্যমে আপনার সব কাগজপত্র পাঠাতে হবে। তারপর যদি ঐ বিশ্ববিদ্যালয় configuration letter পাঠায়। তাহলে আপনাকে আনুষাজ্ঞিক টিউশন ফি পাঠাতে হবে। আপনার টিউশন ফি কত আর এই টিউশন ফি কোথায় জমা দিতে হবে তা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ আপনাকে জানিয়ে দেবে।

পর্তুগালে যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ

১। সব একাডেমিক সার্টিফিকেট ও মার্কশীট।
২। মোটিভেশন লেটার ও রিকমেন্ডেশন লেটার।
৩।পাসপোর্টের কপি।
৪। পাসপোর্ট সাইজের এক কপি ছবি।
৫। ইউরোপাস ফরম্যাট CV।
৬। আবেদনের ফি পরিশোদের রশিদ ( সাধারনত ৫০-৬০ ইউরো হয়ে থাকে যা ফেরৎযোগ্য নয়)।
এসব কাগজপত্র ঠিকঠাক ভাবে জমা দিতে হবে। প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ই-মেল করে জেনে নিতে হবে।

পড়াশুনার খরচ বা টিউশন ফিঃ ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় পর্তুগালে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনে টিউশন ফি খুব কম। পর্তুগালে টিউশন ফি সাধারনত ৯০০-৬০০০ ইউরো হয়ে থাকে। পর্তুগালের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। আর অবশ্যই আবেদন করার আগে টিউশন ফি সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট থেকে জেনে নিয়ে আবেদন করবেন। তারপর আমি আপনাদের একটা ধারনা দিয়ে রাখি bachelor বা MASTERS এর জন্য প্রতি বছর ৯৫০-১২০০ ইউরো প্রতি একাডেমিক year এ টিউশন ফি খরচ হতে পারে আর PhD ক্ষেতে হতে পারে ২৫০০- ৩৫০০ ইউরো।

পর্তুগালে আবাসন ব্যবস্থাঃ পর্তুগালে বিশ্ববিদ্যালয়ে কম খরচে থাকার জন্য হোস্টেলের ব্যবস্থা রয়েছে। তাই আগে থেকেই হোস্টেলের জন্য আবেদন করে রাখা ভাল। পর্তুগাল অন্যান্য দেশের তুলনায় উন্নয়নে একটু পিছিয়ে আছে। এ জন্য এদেশে জীবন যাত্রার ব্যয় অনেক কম। তাই মাসে আপনি ৩০০-৩৫০ ইউরো দিয়ে থাকা খাওয়ার খরচ চালাতে পারবেন।

আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমানঃ পর্তুগালে পড়তে গেলে আপনার ব্যাংক solvency ভাল হতে হবে। এদেশে পড়তে গেলে আপনাকে ৬-৭ লক্ষ টাকা দিতে হবে। আর যে আপনার স্পন্সর, তার সাথে আপনার সম্পর্ক কি, তার ইনকাম সোর্স কি তা embassy কাছে স্পষ্ট জবাব দিহিতা করতে হবে। স্পন্সরের অধীনে কোন বড় ধরনের লেনদেন হলে তার সঠিক ব্যাখ্যা দিতে হবে।

স্কলারশিপের সুযোগঃ

পর্তুগালে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্কলার্শিপ। যা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারে। যেমন,
১। Erasmus mundus scholarship এটা ইউরোপীয় ইউনিয়ন কতৃক প্রদত্ত উচ্চশিক্ষা বৃত্তি।
২। FCT scholarship- fellowships and grants এটা পর্তুগালের খুব সম্মানজনক বৃত্তি।

PhD post এবং doctorate এর জন্য এটা প্রদান করা হয়ে থাকে। প্রতি বছর ২৫০-৩০০ ফাইনাল আবেদন তারা নিয়ে থাকে। এছাড়া প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ইন্টারনাল স্কলারশিপের ব্যবস্থা করে থাকে। ভাল রেজাল্টের দ্বারা আপনি ৫০%-৭৫% টিউশন ফি ছাড় পেতে পারেন।

ভিসা আবেদনের প্রক্রিয়াঃ

ভিসা আবেদনঃ বাংলাদেশে পর্তুগালের কোন embassy নেই। শুধুমাত্র আছে consulate office। তাই আপনার সুবিধার জন্য embassy Delhi তে যেতে হবে embassy এর ঠিকানা জানার জন্য। মনে রাখবেন ভিসা জমা দেওয়ার আগে আপনাকে একটা appointment latter নিতে হবে। এই ভিসা নিতে প্রায় ৩০দিন সময় লাগে। তাই আপনারা হাতে সময় রেখে কাজ শুরু করবেন। পড়াশুনা ও গবেষণার জন্য দীর্ঘমেয়াদি আবেদন করতে হবে।

এই দীর্ঘমেয়াদী আবেদন আবার দুই ভাগে হয়ে থাকে যেমন, যার একটি হল টাম্পোরারী স্টে এবং দ্বিতীয়টি হল রেসিডেন্স ভিসা। আপনাকে অবশ্যই দীর্ঘমেয়াদী রেসিডেন্স ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। হেলথ ইন্সুরেন্সের জন্য বাংলাদেশে অবস্থিত জার্মান embassy দ্বারা অনুমোদিত যে কোন ইন্সুরেন্স কোম্পানী থেকে সংগ্রহ করতে হবে। মনে রাখবেন কমপক্ষে ১২০দিনের ইন্সুরেন্স করতে হবে।

এজন্য আপনাকে এই ইন্সুরেন্স শুরুর তারিখ ক্লাস শুরু হওয়ার ৫ দিন আগে থেকে চালু হতে হবে। তারপর আপনাকে ফ্লাইটের টিকিট জমা দিতে হবে। আপনার কাগজপত্রে অবশ্যই ফ্লাইট confirm থাকতে হবে। এই ফ্লাইট বুকিং এর সময় মনে রাখবেন ঐ ফ্লাইটের তারিখ এবং ইন্সুরেন্সের তারিখ যেন মিল থাকে।

ভিসা আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ

১। পূরনকৃত আবেদন ফর্ম ও ভিসা ফি প্রদানের রশিদ ৯০ ইউরো যা স্কলারশিপধারীদের মওকুফ করা হয়ে থাকে।

২। পাসপোর্ট ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি ( ৩৫ মি.মি. ও ৪০ মি.মি )

৩। সিভি, মোটিভেশন ও রেফারেন্স

৪। সব সার্টিফিকেট ও মার্কশীট ( সাথে অরিজিনাল ও দুই কপি ফটোকপি )

৫। no objection certificate( যা শেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পেয়ে যাবেন )

৬। অফার লেটার ও টিউশন ফি প্রদানের রশিদ

৭। অ্যাকোমোডেশন পেপার

৮। ব্যাংক সলভেন্সি পেপার

৯। ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট ( অবশ্যই স্টেটমেন্ট ব্যাংক ম্যানেজারের স্বাক্ষর থাকতে হবে )

১০। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স

১১। হেলর্থ ইন্সুরেন্স

১২। one- way flight booking copy

উপরের সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। বর্তমানে পর্তুগাল সরকার উচ্চ শিক্ষা এর জন্য স্টুডেন্ট ভিসা প্রদানে অনুমতি দিয়েছে। পর্তুগালে বর্তমানে বিদেশী শিক্ষার্থীদের ভীড় জমে গেছে। আরেকটি বিষয় হল পড়াশুনার মধ্যে গ্যাপ চার বছরের বেশি হলে আপনার ভিসা পেতে সমস্যা হয়ে যাবে। আর সব থেকে ভাল হয় এই গ্যাপ এক থেকে দুই বছর মধ্যে হলে।

পর্তুগালের মাসিক খরচ ও পার্ট টাইম জবঃ ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় পর্তুগালে জীবন যাত্রার খরচ অনেক কম। আপনি পর্তগালে ৩০০-৩৫০ ইউরো তে থাকা খাওয়া শেষ করতে পারবেন। শিক্ষার্থী হিসাবে আপনি এই দেশে ২০ঘন্টা সপ্তাহে পার্ট টাইম জব করতে পারবেন। আর ছুটিতে পাবেন ফুল টাইম জব করার সুবিধা। আপনি যদি পর্তুগীজ ভাষা জানেন তাহলে আপনার জব পেতে অনেক সুবিধা হবে। তবে আপনি এটা মনে রাখবেন, পার্ট টাইম জব করে থাকা খাওয়া হলেও টিউশন ফি যোগার করা খুব কঠিন।

কোর্স শেষে পর্তুগালে চাকুরীর সু্যোগ ও স্থায়ী বসবাসঃ

পর্তুগালে একটানা বৈধ ভাবে ৫ বছর থাকলে আর ট্যাক্স জাতীয় স্বাস্থ পরিষদে নিবন্ধন ও ভাষা জানা থাকলে আপনি নাগরিকের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনি পর্তুগালে উচ্চ শিক্ষার জন্য স্টুডেন্ট ভিসায় আসলে প্রেসিডেন্টস ফার্মে ইস্যুর তারিখ থেকে ৫ বছর থাকতে পারলে যে কোন ক্যাটাগরিতে আপনি টি আর বা পর্তুগালে নাগরিকের জন্য eligible হবেন। তাহলে আর দেরি কেন আপনি এখনি আবেদন করে ফেলুন।

Tag
আরও খবর
পর্তুগালের উচ্চ শিক্ষার বিস্তারিত তর্থ্য

৬০৩ দিন ২৩ ঘন্টা ৪৫ মিনিট আগে