◾ নিউজ ডেস্ক
চা-শ্রমিকদের দাবি নিয়ে বাগান মালিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রাধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শনিবার বিকাল ৪টার পরপরই গণভবনে এ বৈঠক শুরু হয়। ১৩ জন বাগানমালিক এ বৈঠকে অংশ নিয়েছেন।
চা-শ্রমিকদের আজকের প্রত্যাশা, প্রধানমন্ত্রী মজুরি বৃদ্ধির দাবির একটি সুন্দর সমাধান দেবেন এবং তাদের কাজে ফেরার পরিবেশ তৈরি করে দেবেন।
দেশের ২৪টি চা বাগানে ১৮ দিন ধরে কর্মবিরতি পালন করেন শ্রমিকরা। প্রশাসন ও মালিকপক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পরও বিষয়টি সমাধান হয়নি। তাই প্রধানমন্ত্রী ও বাগানমালিকদের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছেন শ্রমিকরা।
তারা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি তাদের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। তাদের কষ্টের কথা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী একটি সিদ্ধান্ত নেবেন, তবে তিনি যে সিদ্ধান্তই নেন না কেন, সেটাই মেনে নিয়ে কাজে ফিরবেন তারা।
বৈঠকের বিষয়ে চান্দপুর চা-বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির প্রধান সাধন সাঁওতাল বলেছিলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে জীবন পরিচালনা করি। তাই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে আমরা মা বলে ডাকি। মা আমাদের বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করছেন জেনে আমরা খুবই আনন্দিত।’
বাংলাদেশ নারী চা-শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি খায়রুন আক্তার বলেন, ‘আমরা ১৮ দিন ধরে ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে আন্দোলনে আছি। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী আমাদের বিষয়টি নিয়ে মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন। যেহেতু আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনেক বিশ্বাস ও সম্মান করি এবং তিনি আমাদের নিজেদের লোক মনে করেন, তাই তিনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন, আমরা তা-ই মেনে নেব। আশা করি, তিনি ৩০০ টাকা না হলেও এর কাছাকাছি আমাদের মজুরি নির্ধারণ করবেন।’
দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে গত ৯ আগস্ট থেকে আন্দোলনে নামেন দেশের ১৬৬ চা-বাগানের দেড় লাখের বেশি শ্রমিক। সেদিন থেকে চার দিন পর্যন্ত ২ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন তারা।
এরপর গত ১৩ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পুরোপুরি কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। গত ১৯ আগস্ট রাতে মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করার বিষয়ে একটি চুক্তি হলেও সেটি প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যান শ্রমিকরা।
৩ ঘন্টা ২২ মিনিট আগে
১ দিন ১৩ মিনিট আগে
১ দিন ২ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে
১ দিন ৮ ঘন্টা ৫৯ মিনিট আগে
১ দিন ৯ ঘন্টা ৩ মিনিট আগে
১ দিন ৯ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে
১ দিন ২০ ঘন্টা ৪৯ মিনিট আগে
২ দিন ১৭ ঘন্টা ৭ মিনিট আগে